ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনার মাঝে এবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে(আইপিএল) স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ক্রিকবাজ।
খবরে বলা হয়েছে, চলমান উত্তেজনার মাঝে আইপিএলে অংশ নেওয়া বিদেশি খেলোয়াড়দের উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছিল। তাদের প্রাথমিক উদ্বেগগুলোর মধ্যে ছিল নিরাপদে চলাচলের মতো বিষয়।
গতরাতে ধর্মশালায় দিল্লি ক্যাপিটালসকে আতিথ্য দেয় পাঞ্জাব কিংস। প্রথম ইনিংসের অর্ধেক খেলা হতেই কারিগরি ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায় ম্যাচ। শুরুতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ম্যাচ বন্ধ থাকলেও পরে নিরাপত্তার কারণে ১০ মিনিটের মাথায় ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর দল, খেলোয়াড়, সম্প্রচারকর্মী ও অন্যান্য লিগ স্টাফসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে ধর্মশালা থেকে নয়াদিল্লিতে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
আজ (শুক্রবার) সংশ্লিষ্টদের ধর্মশালার হোটেল থেকে বাসে ওঠার নির্দেশ দেওয়া হয়, কিন্তু তারা কোথা থেকে দিল্লিগামী ট্রেনে উঠবেন, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৩৩ মিনিটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ক্রিকবাজ জানিয়েছে, এই প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত তারা বাসেই আছেন এবং গন্তব্য সম্পর্কে তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।
টুর্নামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আসরের বাকি ম্যাচগুলোর ভেন্যু পরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়। সব বিকল্প খতিয়ে দেখার পরই সাময়িকভাবে আইপিএল স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই।
ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, খুব শিগগিরই এ বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।
সংঘাত শুরু হওয়ার পর আইপিএল সভাপতি অরুণ ধুমাল জানিয়েছিলেন, পরবর্তী যেকোনো সিদ্ধান্ত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছি। এটি একটি চলমান অবস্থা এবং সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো নির্দেশনা পাইনি। অংশীদারদের সর্বোত্তম স্বার্থের দিকটি মাথায় রেখে এবং সব রকম কৌশলগত বিষয় বিবেচনা করেই যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ধর্মশালার বাতিল হওয়া ম্যাচটিসহ আইপিএলের এবারের আসরে এ পর্যন্ত ৫৮টি ম্যাচ খেলা হয়েছে। গ্রুপ পর্বে এখনও ১২টি ম্যাচ খেলা বাকি।