আর প্রায় এক মাস। এরপর শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপের মূল আসরে বাংলাদেশের জায়গা করে নেয়ার মিশন। ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সেই মিশনে বাংলাদেশকে লড়তে হবে ওমান, স্কটল্যান্ড ও পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে।
ঘরের মাঠের স্লো উইকেটে টানা দুটি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। চলতি নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর বাংলাদেশের আর কোনো সিরিজ না থাকায় এটি শেষ করে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা সরাসরি চলে যাবে ওমানে, বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে।
ওমান, আরব আমিরাতের উইকেট আর বাংলাদেশের উইকেটের ভেতর বিস্তর ফারাক। ঘরের মাঠে স্পিন বেশ কার্যকর হলেও ওমান বা আমিরাতের উইকেটে খুব একটা কার্যকর না বাংলাদেশের বোলিংয়ের মূল শক্তির জায়গা স্পিন। সেখানে দাপট থাকবে ব্যাটসম্যানদের।
বিশ্বকাপ যেহেতু একেবারে কাছে তাই পেইসারদের নিয়ে বাড়তি ভাবনা শুরু করে দিয়েছেন জাতীয় দলের কোচরা। পেইসারদের সক্ষমতা বাড়াতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো ও পেইস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন।
যার প্রমাণ মিলেছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনুশীলনে। দলের সবাই ওয়ার্ম আপ করে ইনডোর ও পাশের মাঠে অনুশীলনে চলে গেলেও মূল মাঠে মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদকে নিয়ে লেগে থাকেন গিবসন।
এই দুইজনকে নিয়ে লম্বা সময় ধরে নিবিড় অনুশীলন চালিয়ে যান তিনি। একই সঙ্গে বোলিংয়ের ধার বাড়াতে দিয়ে যাচ্ছিলেন নানা টোটকাও।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে স্কোয়াডে পাঁচ স্পিনারের সঙ্গে পেইসার আছেন মুস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন ও সাইফউদ্দিন।
নির্বাচক হাবিবুল বাশার জানিয়েছেন বিশ্বকাপে একজন বাড়তি পেইসার নিয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ দল। তবে কোনো কিছুই চূড়ান্ত নয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের তিনজন স্পিনার আছে, পেইসার চারজন। সেখানে আর একজন পেইসার নিয়ে যাওয়া হবে, নাকি আরও একজন ব্যাটসম্যানের অন্তর্ভুক্তি ঘটবে, সে চিন্তাও চলছে।’