গত দেড় দশক টেনিস রাজ্যে রাজত্ব রজার ফেডেরার, রাফায়েল নাদাল ও নোভাক জকোভিচের। টেনিস ইতিহাসে ‘বিগ থ্রি’ হিসেবে পরিচিত এই তিন মহাতারকা প্রত্যেকেই জিতেছেন ২০টি করে গ্র্যান্ডস্ল্যাম।তবে জকোভচের সামনে সুযোগ থাকছে সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘সর্বকালের সেরা’ হতে আর মাত্র তিনটি ম্যাচ জিততে হবে জকোভিচকে।
ফেডেরার ৪০ ছুঁয়ে ফেলেছেন। ৩৫-এর নাদালকে প্রায়ই লড়তে হচ্ছে চোটের সঙ্গে। এই সুযোগে অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটছেন জকোভিচ। বর্তমান টেনিস সার্কিটে এই সার্বিয়ান গ্রেটকে থামানোর মতো আপাতত কেউ নেই।
ইউএস ওপেনের চতুর্থ রাউন্ডে সেই চেষ্টা করেন যুক্তরাষ্ট্রের জেনসন ব্রুকসবি। অবাছাই এই আমেরিকান প্রথম সেট জিতে যান ৬-১ গেমে।
বছরের আগের তিনটি গ্র্যান্ডস্ল্যাম জেতা জকোভিচ প্রথম সেটটাকে যেন নিয়েছিলেন ওয়ার্মআপ হিসেবে। পরের তিন সেটে ব্রুকসবিকে পাত্তাই দিলেন না ওয়ার্ল্ড নাম্বার ওয়ান।
৬-৩, ৬-২, ৬-২ গেমে পরের তিন সেট জিতে পৌঁছে যান কোয়ার্টার ফাইনালে।
এই বছর ইউএস ওপেন জিতলে জকোভিচ গ্র্যান্ডস্ল্যাম সংখ্যায় ফেডেরার-নাদালকে পেছনে ফেলার পাশাপাশি ৫২ বছর পর প্রথম পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে ক্যালেন্ডার স্ল্যাম অর্জন করবেন। ১৯৬৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি রড লেভার সবশেষ এক বছর সবগুলো গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয় করেন।
কোয়ার্টার ফাইনালে জকোভিচের সামনে আছেন ইতালির মারকো বেরেত্তিনি। ফ্রেঞ্চ ওপেন ও উইম্বলডনের পর টানা তৃতীয় গ্র্যান্ডস্ল্যামে দেখা হচ্ছে এই দুইজনের। এর মধ্যে উইম্বলডনের ফাইনালে জকোভিচের কাছে হেরেছেন বেরেত্তিনি।
ইউএস ওপেনেও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চান জকোভিচ। বেরেত্তিনিকে টেনিসের সবচেয়ে হার্ডহিটার হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
জকোভিচ বলেন, ‘ওর সার্ভ সবচেয়ে ভয়াবহ। সেরা খেলোয়াড়দের একজন ও। মারকোর সবচেয়ে বড় অস্ত্র সার্ভিস। সেটা ভালোমতো করলে ওর বিপক্ষে খেলা খুব কঠিন। যে কোনো কোর্টেই। আশা করি এবারের ফলটাও আগের দুই ম্যাচের মতো হবে।’