বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তামিমের না থাকা বড় ধাক্কা: জাভেদ ওমর

  •    
  • ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:২৭

বিশ্বকাপের আগে এমন একটা খবর দলের জন্য নেতিবাচক হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তামিমের সাবেক ওপেনিং পার্টনার ও জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের ওপেনার জাভেদ ওমর বেলিম।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত, তখনই যেন বোমা ফাটালেন তামিম ইকবাল। নিজের ফেসবুক পেজে ঘোষণা দিলেন বিশ্বকাপে খেলতে চান না। টি-টোয়েন্টি খেলার মতো ম্যাচ ফিটনেস নেই তার।বিশ্বকাপের আগে এমন একটা খবর দলের জন্য নেতিবাচক হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তামিমের সাবেক ওপেনিং পার্টনার ও জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের ওপেনার জাভেদ ওমর বেলিম।জাভেদের মতে তামিম না থাকায় দল মানসিকভাবে কিছুটা হলেও ধাক্কা খাবে। নিউজবাংলাকে এই সাবেক ওপেনার বলেন, ‘কারও জন্য তো কিছু আটকে থাকে না। তবে মানসিকভাবে একটা ধাক্কা তো অবশ্যই। কে কেমন পারফর্ম করবে এটা কেউ জানে না। কিন্তু আত্মবিশ্বাসের একটা বিষয় থাকে। তামিমের মতো একটা বড় নাম থাকলে মানসিক একটা ভরসা থাকে যে বাংলাদেশ পুরো শক্তি নিয়ে নামছে।’বাংলাদেশের হয়ে তামিম এর আগের ৫টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছেন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিও এসেছে এই অভিজ্ঞ বাঁ-হাতির কাছ থেকে। বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে তামিমের অভিজ্ঞতা দলের জন্য বোনাস হিসেবে কাজ করত বলে বিশ্বাস জাভেদ ওমরের।তিনি বলেন, ‘দলে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকা সব সময় ভালো। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আমরা দেখেছি ব্যাটসম্যানদের রানের জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছে। সেখানে তামিম থাকলে ভালো হতো।’২০১৮ সালের পর থেকে মাত্র ৩টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তামিম। যে কারণে মূলত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জানান তিনি। হাঁটুর চোট সেরে উঠলেও ম্যাচ খেলার অবস্থায় নেই তামিম। আর ম্যাচ না খেলে বিশ্বকাপে সরাসরি নামতেও চান না বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক।জাভেদ ওমর মনে করেন আবেগের বশে যদি তামিমের এমন সিদ্ধান্ত হয় তাহলে সেটা হবে দুঃখজনক।‘চোটের কারণে সরে দাঁড়ালে ঠিক আছে। জোর করে খেলা তো সম্ভব না। কিন্তু যদি আবেগের বশে এই সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে আমি ব্যক্তিগতভাবে কষ্ট পাব। মন খারাপ হবে,’ বলেন তিনি।তামিম জানিয়েছেন ম্যাচ না খেলার পাশাপাশি তরুণ যারা পারফর্ম করে এসেছে বিশ্বকাপে, তাদের জায়গা করে দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। জাভেদ ওমর এই ধারণার সঙ্গেও একমত নন। তরুণদের পারফর্ম করেই দলে জায়গা পেতে হবে, সিনিয়রদের সরিয়ে নয় এমনটা মনে করেন তিনি।বলেন, ‘তামিম পারফর্ম করেই এতদূর এসেছে। সিনিয়র খেলোয়াড় হয়েছে। লম্বা সময় ধরেই দলে আছে। তাকে কেন জায়গা করে দিতে হবে নতুনদের? নতুনরা যখন পারফর্ম করবে তখন নতুনরা এমনিই জায়গা পাবে।’সবশেষে উপমহাদেশে সিনিয়রদের প্রতি বোর্ডের বিমাতাসুলভ আচরণের সমালোচনা করেন সাবেক টাইগার ওপেনার। তামিম যদিও বলেছেন বিশ্বকাপ দলে তার জায়গা নিয়ে কোনো সন্দেহ ছিল না, তারপরও জাভেদ ওমর মনে করেন সিনিয়রদের আরও সম্মানের চোখে দেখা উচিত বোর্ডের।তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের উপমহাদেশের একটা খারাপ সংস্কৃতি। সিনিয়রদের জায়গা নিয়ে প্রশ্ন তোলা। শচীন টেন্ডুলকারের জায়গা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।’

এ বিভাগের আরো খবর