করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত মে মাসে স্থগিত হয়ে যায় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। ৬০ ম্যাচের মধ্যে ২৯টি ম্যাচ খেলে ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ বন্ধ করে দেয় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
বাকি ম্যাচ শুরু হচ্ছে সেপ্টেম্বরে। আইপিলের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হচ্ছে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে। বিশ্বের নানা দেশের ক্রিকেটাররা আইপিলের দ্বিতীয় পর্যায়ের ভেন্যু সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে এর আগেই হাজির হয়ে যাবেন। এর মধ্যে অনেকে পৌঁছে গেছেন সেখানে।
আইপিলে এবারে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের দুই তারকা সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। সাকিব কলকাতা নাইট রাইডার্স ও মুস্তাফিজ খেলেছেন রাজস্থান রয়্যালসে। দ্বিতীয় পর্বেও যোগ দেয়ার কথা দুই তারকার।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশনসের চেয়ারম্যান আকরাম খান রোববার জানান সাকিব ও মুস্তাফিজ এরই মধ্যে বিসিবির কাছে অনুমতিপত্র চেয়ে চিঠি দিয়েছেন।
আকরাম নিউজিবাংলাকে বলেন, ‘মুস্তাফিজ আগেই আমাদের চিঠি দিয়েছিল। সাকিব গতকাল দিয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর আমরা সিদ্ধান্ত জানাব। আমাদের জন্য ভালো একটা সুযোগ যে, আইপিএলের মতো একটা টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা খেলবে। টুর্নামেন্টের মান খুবই উঁচু।’
এর আগে বাংলাদেশের সিরিজ চলাকালীন সাকিবের আইপিএল খেলতে যাওয়ার অনুমতি নিয়ে বেশ অসন্তোষ ছিল বোর্ডে। এবারে অবশ্য বিসিবি ইতিবাচক। বিশ্বকাপের ভেন্যুতে বিশ্বকাপের আগে আইপিএলকে ভালো প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবেই দেখছে ম্যানেজমেন্ট।
আকরাম যোগ করেন, ‘আইপিএলে ওরা যদি ভালো পারফর্ম করে, তাহলে তো আমরা লাভবান হব। কারণ ওই কন্ডিশনে আমাদের খেলতে হবে। যেহেতু বিশ্বকাপ সামনে, তাই দুইজনের পারফরম্যান্স বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বোর্ড এই ব্যাপারে ইতিবাচক। মনে হয় না কোনো সমস্যা হবে।’
টুর্নামেন্ট পুনরায় শুরু হওয়ার পরদিনই রয়েছে সাকিবের দলের খেলা। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে কেকেআর মোকাবিলা করবে ভিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর।
২১ সেপ্টেম্বর মাঠে নামবেন মুস্তাফিজ। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ওই দিন খেলবে ক্রিস গেইলের পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে।
আইপিএলে খেলার অনুমতি পেলে নিউজিল্যান্ড সিরিজ শেষ করেই সাকিব ও মুস্তাফিজ যাবেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
১৭ অক্টোবর ওমানে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব। ২৩ অক্টোবর আরব আমিরাতে শুরু হবে মূল পর্বের খেলা।