তিন দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে সাকিব আল হাসান ফিরেছেন অনুশীলনে। আর বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে মাঠে দেখাটা নিশ্চিতভাবেই স্বস্তি দিচ্ছে ভক্তদের।
মাঠে সাকিবের থাকা মানে প্রতিপক্ষের জন্য বাড়তি চিন্তা ও সতর্কতা। ব্যাটে-বলে পারফরম্যান্স তো বটেই, নিজের ক্ষুরধার মস্তিষ্কের জন্যও বিশ্বখ্যাত আইসম্যান খ্যাত এই অলরাউন্ডার। মাঠ ও মাঠের বাইরে সোজাসাপ্টা মনোভাবের জন্য সাকিবের প্রশংসা ও সমালোচনা দুই-ই জুটেছে।
অনেকটা একই কারণে বর্তমানের আরেক সুপারস্টারকে দারুণ পছন্দ সাকিবের। ভিরাট কোহলি। কাছাকাছি সময়ে দুজনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক।
ব্যাট হাতে খারাপ সময় কাটাচ্ছেন কোহলি। তার পরও তার শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার মানসিকতার প্রশংসা করেন সাকিব।
ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক জানান, মাঠে হার না মানা স্বভাবের জন্য ভারতীয় অধিনায়ককে ভালো লাগে তার।
সাকিব বলেন, ‘মাঠের ভেতরে আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখায় কোহলি। তার উদযাপনেই বুঝা যায়, শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে চায় সে। এটাই আমার পছন্দ। খেলা শেষ হওয়ার আগে কখনও সে হাল ছাড়ে না।’
বিশ্বের উঠতি অলরাউন্ডারদের রোল মডেল সাকিবের প্রিয় ক্রিকেটার কারা ছিল? কাদের আদর্শ মনে করতেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা এই ক্রিকেটার?
সাকিব জানান, ছেলেবেলায় অনুসরণ করতেন ভারত ও পাকিস্তানের দুই বিখ্যাত স্পিনারকে।
দুসরার জনক সাকলায়েন মুশতাক আর ভারতের টার্বুনেটর খ্যাত হরভজন সিংকে আদর্শ মানতেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয়।
ব্যাটিংয়েও তার আদর্শ ছিল এক ভারতীয় ও এক পাকিস্তানি।
সাকিব বলেন, ‘আমি সাঈদ আনোয়ারের ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি রাহুল ড্রাভিডের ব্যাটিং অনুসরণ করতাম। বোলিংয়ের ক্ষেত্রে, হরভজন সিং ও সাকলাইন মুশতাকের দিকে খেয়াল রাখতাম।’
আপাতত খেলার মাঠে আরও একবার দলের হয়ে জ্বলে ওঠার সুযোগ সাকিবের সামনে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যান অফ দ্য সিরিজ বিশ্বের এই ১ নম্বর অলরাউন্ডার নিশ্চিতভাবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজকে স্মরণীয় করে রাখতে চাইবেন।