তালেবান আফগানিস্তান দখলে নেয়ার পর থেকে বেশ অস্থিতিশীল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশটি। অন্য সব ক্ষেত্রের মতো শঙ্কায় পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির ক্রীড়াঙ্গন।
কিছুদিন আগে এক নারী ফুটবলার জীবনের হুমকি পান। প্রাণ বাঁচাতে তিনি পাড়ি দেন ডেনমার্কে।
অন্যদিকে আফগান নারী ফুটবলার, তাদের পরিবার ও অফিসিয়ালসহ মোট ৭৫ জন আশ্রয় নিলেন অস্ট্রেলিয়াতে।
উত্তর আমেরিকার ক্রীড়াবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য অ্যাথলেটিকের প্রতিবেদনে আফগান নারী ফুটবলারদের দেশ ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
তালেবান কাবুলের দখল নেয়ার পর থেকেই নারী ফুটবলারদের সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করে বিশ্বজুড়ে পেশাদার ফুটবলারদের সংগঠন ফিফপ্রো। গত ১০ দিনে ফিফপ্রো অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, বেলজিয়াম ও কানাডাসহ ছয়টি দেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে নারী ফুটবলারদের আশ্রয়ের জন্য।
অবশেষে চার দিন আগে তারা অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার নিশ্চয়তা পায়। ফিফপ্রোর সঙ্গে কাজ করে নারী দলকে নিরাপদে অস্ট্রেলিয়ায় আনার পেছনে অন্যতম ভূমিকা ছিল আফগান নারী ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক খালিদা পোপালের।
৭৫ জনকে অস্ট্রেলিয়া নিয়ে আসার পর পোপাল অ্যাথলেটিককে বলেন, ‘গত কিছুদিন বেশ ধকল গিয়েছে, কিন্তু আজ আমাদের জয় হয়েছে।’
অস্ট্রেলিয়া সরকারের এ উদ্যোগটি বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে আন্তর্জাতিক ফুটবল মহলে। অজি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ফিফা ও ফিফপ্রো।
ফিফপ্রোর সাধারণ সম্পাদক ইয়োনাস বিয়ের-হফমান আরও বলেন, ‘ফুটবলার ও খেলোয়াড়দের দলটি আজ আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ায় আমরা স্বস্তিবোধ করছি। তাদের দেশ ছাড়ার প্রক্রিয়াটি এর সঙ্গে জড়িত সকলের জন্য অত্যন্ত জটিল ছিল। সেই দেশে এখনও যারা নিজেদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটকে আছেন তাদের প্রতি আমার সহানুভূতি রয়েছে।’
তালেবান শেষবার যখন ক্ষমতায় এসেছিল, তখন নারীদের ওপর কড়া বিধিনিষেধ আরোপ কড়া হয়। তাদের আড়াল করে রাখা হতো সবসময়। প্রায় সবসময় নারীদের শিকার হতে হয়েছে নির্যাতনের।
সে ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটার আগেই জীবন বাঁচাতে সুবিধাজনক স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন নারী খেলোয়াড়রা। পরিচয় আত্মগোপনের পাশাপাশি দেশ ছাড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তারা।