আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালেবানের দখলের প্রভাব আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে কেমন হবে, তা পরিষ্কার হতে সময় লাগবে বলে মনে করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।
তিনি বলছেন, দুই দশক আগের তালেবান এবং এখনকার তালেবানের মধ্যে বিভিন্ন দিক থেকে পার্থক্য রয়েছে। এ সময়ে বিশ্বশক্তি কাঠামো এবং রাজনীতিতেও পরিবর্তন ঘটেছে। এর বড় প্রভাব পড়তে পারে আফগানিস্তানে তালেবানকেন্দ্রিক সরকারে। তালেবানের কারণে বাংলাদেশে চরমপন্থিদের চাঙা হওয়ার বাস্তবতা নেই বলেও মনে করেন ড. ইমতিয়াজ।
নিউজবাংলাকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি কথা বলেছেন তালেবান ইস্যুর বিভিন্ন দিক নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রহমান মাসুদ।
আফগানিস্তানে তালেবানের পুনরুত্থানকে কীভাবে দেখছেন?
ড. ইমতিয়াজ আহমেদ: একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, গত ২০ বছরেও আমেরিকা ও ন্যাটো পুরো আফগানিস্তান দখল করতে পারেনি। বলা হয়ে থাকে, আফগানিস্তানের ৫০ থেকে ৬০ ভাগ অঞ্চলই তালেবানের দখলে ছিল।
যদি এটা ৩০ ভাগও ধরি, তাও বিশাল এরিয়া। আবার যদি সেটা সত্যিই ৫০ ভাগের বেশি হয়, তবে বুঝতে হবে আফগানিস্তানের জনগণের বড় একটি অংশের সমর্থন রয়েছে তালেবানের প্রতি। এটা তো অস্বীকার করলে চলবে না। এটা আরো পরিষ্কার হলো যখন মাত্র দু-তিন দিনের মাথায় দেশটির একেকটি বড় শহর তালেবানের দখলে চলে গেল একেবারে বিনা বাধায়, বিনা প্রতিরোধে, বিনা সংঘর্ষে।
এমনকি কাবুলের পতন হলো, কোনো সংঘর্ষ হলো না। আমেরিকা আফগান আর্মিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে, সুসজ্জিত করেছে। সেগুলো কোনো কাজে লাগেনি, বরং তারা একেবারে স্যারেন্ডার করে মিশে গেছে। এতে বোঝা গেছে, সেখানে জনগণের সমর্থন কোনো দিনই আমেরিকার প্রতি ছিল না। সেটা থাকারও কথা না। কারণ সেটা কলোনিয়াল ফোর্স। আর কলোনিয়াল ফোর্সের একটা বিপদ আসবেই।
২০ বছর আগে যা হয়েছিল, তখন আমেরিকাই কিন্তু তালেবানদের সাহায্য করেছিল। তখন আমেরিকার সহযোগিতায় ছিল সৌদি আরব ও পাকিস্তান। আমেরিকা তখন তালেবানকে সহায়তা করেছিল কারণ, তালেবান তখন আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নকে সরাতে চাচ্ছিল। তারা সাকসেসফুলও হয়েছিল।
সোভিয়েত ইউনিয়নকে সরাতে যেহেতু আমেরিকা, সৌদি আরব তালেবানকে সহযোগিতা করল, তখন সেই সুযোগে ওসামা বিন লাদেন আল-কায়েদা ও ওহাবি মতাদর্শ নিয়ে আফগানিস্তানে ঢুকে গেল। এর ফলে আমরা যে অত্যাচারের কথা শুনি সেই ২০ বছর আগের, তার সঙ্গে কিন্তু সৌদি আরবও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই ২০ বছরে কিন্তু সৌদি আরবেও অনেক পরিবর্তন এসে গেছে। সৌদি যুবরাজও এখন অনেক কথা বলেন, যা আমরা আগে শুনিনি। আবার তালেবানও যে সুরে কথা বলছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে এই তালেবান সেই ২০ বছর আগের তালেবান না।
এর মধ্যে আমরা দেখলাম তারা একাধিকবার কাতারে নেগোসিয়েশন করছে। এখন যখন কথা বলছি, তখনও তারা নেগোসিয়েশন করছে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে। তারপর আমরা দেখলাম তারা মস্কোতে নেগোসিয়েশন করেছে। এমনকি চায়নাতেও। সেখানে তারা তিয়েনজিয়েনে গিয়ে কথা বলেছে। ইরানের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করেছে। এগুলোর কিছুই ছিল না ২০ বছর আগে। সেই জায়গায় আমাদের দিক থেকে আমরা একটা আশা করছি, একটা পরিবর্তন হয়তো আসছে।
যতক্ষণ সরকার প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততক্ষণ আমরা দেখব কী হচ্ছে! তবে যে ফুটেজ আমরা আল-জাজিরা, সিএনএন, রয়টার্স বা অন্যান্য মাধ্যমে দেখছি, তাতে কিন্তু মনে হচ্ছে না মানুষ ভয় পাচ্ছে। জনগণ কিন্তু ওই ধরনের আতঙ্কিত না, কেবল বিমানবন্দর ছাড়া। রাস্তায় তারা হাঁটছেন, ঘুরছেন। দোকানপাট খোলা।
বিমানবন্দরে যা হচ্ছে তাহলো যারা আমেরিকার সঙ্গে অন্য দেশে যেতে চাচ্ছে, পালাতে চাচ্ছে। কারণ তারা এত বেশি আমেরিকার সঙ্গে ছিল যে, এটা তাদের ভয়। আবার অনেকে হয়তো সুযোগটাকে ব্যবহার করে পশ্চিমা দেশে স্থায়ী হতে চাচ্ছে। এ জন্যই আমরা হট্টগোল দেখছি। যেমন গতকালও কয়েকজন বিমানবন্দরে মারা গেল বলে আমরা দেখছি। সেই মৃত্যু কি নিছক দুর্ঘটনা, না সংঘর্ষ- তা আমি জানি না। তবে মূল আফগানিস্তানে যে বড় কোনো সংঘাত হয়নি, এটাই বড় ধরনের একটা সংবাদ। এ জন্যই আমি মনে করি হয়তো একটা নতুন ধরনের তালেবান আমরা দেখব। তবে যতক্ষণ না এটা হচ্ছে, আমরা তা দেখতে না পাচ্ছি, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
তালেবান, আল-কায়েদা, আইএস আবার তালেবান- পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে?
ড. ইমতিয়াজ আহমেদ: আমি বলব না যে, ওই ধরনের সহজ সমীকরণ করা ঠিক হবে। কারণ যে সময়ে তালেবান, আল-কায়েদা বা আইএস এসেছিল, তখনকার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। তখন আফগানিস্তানে ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে যে সম্পর্ক ছিল, তার সঙ্গে আমেরিকা জড়িত ছিল। সিআইএ জড়িত ছিল। প্রচুর অস্ত্র দিয়েছে। স্ট্রিংগার মিসাইল দিয়েছে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ওখান থেকে সরানোর জন্য। সেই পরিস্থিতি কিন্তু ভুললে চলবে না। সেই সঙ্গে সৌদি আরবও জড়িত ছিল। একাধিক মুসলিম দেশ জড়িত ছিল। কারণ সোভিয়েত ইউনিয়ন একটা কমিউনিস্ট পাওয়ার ছিল। সেই পাওয়ার হাউসও নেই। এখন রাশিয়া বলতে যে রাষ্ট্র আছে সেও কমিউনিজমের মধ্যে নেই, যেসব জায়গায় কমিউনিজম ছড়াতে হবে। সব মিলিয়ে রাশিয়ার মধ্যেও পরিবর্তন ঘটে গেছে। তাই সহজ সমীকরণ করলে চলবে না।
এখন এই তালেবান, আপাতত যেটা দেখছি, তা হলো গত ২০ বছর থেকে তারা শিক্ষা নিয়েছে। আমি মনে করি, অল্প সময়ের মধ্যে তারা আন্তর্জাতিক রিকগনাইজেশন চাইবে। তারা বুঝতে পেরেছে আন্তর্জাতিক কমিউনিটির সমর্থন তাদের দরকার। এ ছাড়া আফগানিস্তানের উন্নয়ন হবে না। আর আফগানিস্তানের উন্নয়ন যদি না হয়, তখন দেখা যাবে আফগান জনগণই আবার তাদের তাড়াবে। তাই সেই জায়গায় একটি পরিবর্তন বোধ হয় আমরা দেখব। আর একটা জিনিস বলা উচিত, যেহেতু এই ২০ বছরে আবার তিনটি মুসলিম দেশ ওয়েল রিকগনাইজড হয়েছে, তারা ইসলামি রাষ্ট্রের একটা মডেল হয়তো তৈরি করেছে।
এর একটা হলো ইরান। সেই ইরান কিন্তু করোনার টিকা পর্যন্ত আবিষ্কার করে ফেলেছে। এতে ইন্টারন্যাশনাল একটা এক্সেপটেন্সি কিন্তু বেড়েছে। আমরা দেখেছি ইরানের একটা বড় ক্ষমতা ওই অঞ্চলে। আর একটি দেশ তুরস্ক। তুরস্ক কিন্তু এরদোয়ানের সময় একটি ইসলামি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে এবং সেও কিন্তু একটি মুসলিম দেশের মডেল। অন্য দেশটি হলো মালয়েশিয়া। তারাও ইসলামের মধ্যে থেকে একটি রেসপেক্টেবল রাষ্ট্র গড়ে তুলেছে।
তাই আজ আফগানিস্তান বা তালেবানদের কাছে কিন্তু মডেলও তৈরি হয়ে আছে। যে মডেল আগে ছিল না, বা আগে কেবল সৌদি আরবই একটা মডেল ছিল, যা ওহাবি মতাদর্শ দ্বারা তৈরি ছিল। যার মাধ্যমে আল-কায়েদা, আইএস সবাই কিন্তু সৌদির মতো ওহাবি মতাদর্শে বিশ্বাসী এবং ওহাবি ইডিওলজি দ্বারা পরিচালিত হতো।
আমি এই ২০ বছরের অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে এসব কথা বলছি। আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে, কিন্তু যেভাবে এখন পর্যন্ত তালেবান কথা বলছে, শহরের পর শহর দখল করছে, প্রেসিডেন্ট প্যালেস দখল করেছে, আমরা যেসব ফুটেজ দেখেছি তাতে বড় লড়াই হয়নি, রক্তারক্তি হয়নি, প্যালেসের গার্ডরাও যেভাবে ওরা এলো আর ছেড়ে দিয়ে চলে গেল, তাতে বোঝা যায় একটা পরিবর্তন আসছে।
এখন দেখা দরকার তারা কীভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে, কী ধরনের রাষ্ট্রীয় কাঠামো তৈরি করবে, তা এখনই বলা মুশকিল। তবে তালেবানের মুখপাত্র যে কথা বলেছেন, ‘আমরা আমাদের সঙ্গীসাথি বা শাখা বিদেশের মাটিতে ছড়াতে বসে নেই, ছড়াবও না। আবার আমরা চাইও না যে, বিদেশিরা এসে আমাদের এখানে কাজের মধ্যে এসে নাক গলাক।’
এখন এই স্টেটমেন্টের মধ্যে অনেক কিছু আছে। এখন দেখতে হবে তারা কীভাবে রাষ্ট্র কাঠামো দাঁড় করায়। কে প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন, কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন, কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন। কে প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। এটা দেখা দরকার। এখনও কিছু দূতাবাস কাবুলে রয়ে গেছে। যেমন রাশিয়া রয়েছে, চীন বলেছে তারা থাকবে। তুরস্ক সমর্থন দিয়েছে। এগুলো বলে দিচ্ছে আমরা হয়তো নতুন ধরনের তালেবান পাব। এ জন্য বলছি, ওই সমীকরণটা টানা হয়তো ঠিক হবে না।
ভূরাজনৈতিক কাঠামোয় কি কোনো পরিবর্তন আসতে পারে?
ড. ইমতিয়াজ আহমেদ: ভালো প্রশ্ন। যেহেতু আফগানিস্তানে আমেরিকার একটা পরাজয় হয়েছে এবং বড় পরাজয়, এটা কেবল আমেরিকাই নয়, ন্যাটোরও। তাদের ভিয়েতনামের পর এত বড় পরাজয় হয়নি। সে হিসেবে আমেরিকা কীভাবে এটা হজম করবে, তা বোঝা দরকার। ন্যাটোও কীভাবে এই পরাজয়ের সমাধান খুঁজবে, তাও একটা বিষয়। তারা বিপুল পরিমাণে ট্যাক্স পেয়ারদের টাকা খরচ করেছে, দুই ট্রিলিয়নেরও ওপর ডলার। তাদের মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রি কমপ্লেক্স, সেখানেও তারা প্রচুর মুনাফা করেছে। এই জিনিসটা আমেরিকা যে খুব সহজে সামলাবে, আমার তা মনে হয় না। এটাও মনে রাখতে হবে, আমেরিকার কেবল দুই ট্রিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে তা নয়। আফগানিস্তানেরও ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ মারা গেছে। এর মধ্যে নারী, শিশু আছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে আমেরিকার বিরুদ্ধে একটা ক্রিমিনাল কেসও আছে। ক্রাইমস অ্যাগেইস্ট হিউম্যানিটি।
এর সবই আমেরিকার বিরুদ্ধে গেছে। আমেরিকা এটা কীভাবে নেবে, আমেরিকার মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রি কী করবে, সেটা কিন্তু এই মুহূর্তে বলা মুশকিল। তবে এটা যে সহজে হজম করার বিষয় না, সেটা বোঝা যাচ্ছে। কারণ, আমেরিকা এখনও বিশ্বের একটি প্রধান শক্তি। এটা আমাদের পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
আপাতত বোঝা যাচ্ছে, আমেরিকার এই পরাজয়ের ফলে আফগানিস্তানের আশপাশের যে রাষ্ট্রগুলো আছে, সেটা রাশিয়া, চীন এবং ইরান, তারা কিন্তু এখন বড় আকারের স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে। চীনের সঙ্গে আফগানের ৯০ কিলোমিটারের সীমান্ত আছে। তারাও হয়তো তালেবানের সঙ্গে বড় ধরনের সম্পর্ক গড়তে চাইবে, বিশেষ করে উন্নয়নের। আমরা দেখেছি তালেবান একাধিকবার চীনের সঙ্গে বৈঠক করেছে। এসব দেখে মনে হয় পশ্চিমা দেশগুলোর একটা সেটব্যাক হলো। এ বিষয়ে তারা কীভাবে রিঅ্যাক্ট করে যতক্ষণ আমরা তা না দেখি, ততক্ষণ আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। রিঅ্যাকশন দুই ধরনের হতে পারে। এক হলো, আমি সব ছেড়েই দিলাম; দুই, না হয় আমি অন্যভাবে রাজনীতি করব।
বাংলাদেশের কী করা উচিত?
ড. ইমতিয়াজ আহমেদ: আমার মনে হয়, বাংলাদেশ আরও অপেক্ষা করবে। তড়িঘড়ি করার কিছু নেই। বাংলাদেশ দেখবে তালেবান কী ধরনের সরকার গঠন করে। তাদের কেবিনেট কেমন হয়। তাদের মুখপাত্র বিদেশে কার সঙ্গে কেমন মেলামেশা করে। সেগুলো পর্যবেক্ষণের পরই আমি মনে করি সিদ্ধান্ত নেবে।
আমাদের এমন কোনো সম্পর্ক নেই আফগানিস্তানের সঙ্গে যে, এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যেটা হয়তো ভারতের বা কিছুটা ইরানের দরকার আছে। ভারতের তো অবশ্যই নিতে হবে। কারণ, ভারত ২০ বছরে প্রচুর ইনভেস্ট করেছে সেখানে। সেই ইনভেস্টমেন্টটা তারা রক্ষা করার চেষ্টা করবে। আমি মনে করি, ভারতের এখন ভালো ম্যাচিউর ডিপ্লোম্যাট আছে, তারা নিশ্চয়ই দ্রুত একটা লাইন বের করবে।
বাংলাদেশে চরমপন্থার ভয় কতটা?
ড. ইমতিয়াজ আহমেদ: আমি মনে করি না ২০ বছর আগের সেই পরিস্থিতি ফিরে আসার কোনো সুযোগ আছে। সেই প্রেক্ষাপটও নেই। বিশেষ করে হোলি আর্টিজান হামলার পর সরকার জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে, তাতে জঙ্গিবাদের শক্ত ঘাঁটি গাড়ার সুযোগ নেই। এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কয়েক স্তরের কাঠামো তৈরি করেছে, যা আগে ছিল না। তারা মাঝেমধ্যেই কেউ ডানা মেলার চেষ্টা করলে ধরছে, বিচারের মুখোমুখি করছে।