আলোচিত ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরের মেয়ে জেসি আনাম জানিয়েছেন, তাদের বাড়ি থেকে যে মদ জব্দ করা হয়েছে, তা তার ভাইয়ের। আর তার মদ পানের লাইসেন্স আছে।
তবে পরিবারের অন্য কেউ মদ পান করেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। ওয়ারেন্ট ছাড়া তল্লাশি চালানোয় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অভিযোগ করেছেন, অভিযানের সময় তার মায়ের অলংকার ছুড়ে ফেলা হয়েছিল।
রাজধানীর গুলশানে বৃহস্পতিবার রাতে এ ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার পর র্যাব জানায়, সেই বাড়ি থেকে মদ, বিদেশি মুদ্রা আর হরিণের চামড়া পাওয়া গেছে।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের প্রতিনিধির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন হেলেনার মেয়ে।
মদের বিষয়ে জেসি বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা যদি এতই শুনতে ইচ্ছে করে আমি বলে দেই আপনাকে…উই আর অল অ্যালকোহল ফ্রি ফ্যামিলি (আমাদের পরিবার অ্যালকোহল পান করে না)। করোনাকালীন সময় আমরা কোনো অ্যালকোহল খাই নাই। হ্যাঁ আমার ভাইয়া, হি হ্যাড লাইক অ্যা কালেকশন (তার একটি সংগ্রহ আছে)। তবে ওর কাছে ওর লাইসেন্সও আছে।’
জেসি জানান, র্যাবকে এই লাইসেন্সও দেখানো হয় এবং মদের সঙ্গে সেই লাইসেন্সটাও নিয়ে গেছে বাহিনীটি।
হরিণের চামড়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, তার ভাইয়ের বিয়েতে এটি উপহার হিসেবে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ইট ওয়াজ অ্য গিফট, ইট ওয়াজ অ্যা গিফট ফ্রম লিগ (এটা ছিল উপহার যা আওয়ামী লীগের একজন দিয়েছিল।)
‘আম্মুর কোনো নেতা বা নেত্রী মিক্স করে সবাই আমার ভাইয়ের বিয়েতে দিয়েছিল। তখন উনারা গিফট করেছিল।’
বৈদেশিক মুদ্রা রাখার বিষয়ে জেসি বলেন, তারা ধারাবাহিকভাবে বিদেশ সফর করেন। আর সফর শেষে কিছু মুদ্রা থেকে যায়। এগুলো তাই।
তিনি বলেন, ‘আমরা কনস্ট্যান্টলি দেশের বাইরে যাই…একটা না। আপনি দেখবেন অনেকগুলো কান্ট্রি লিস্ট আছে যে আমরা কোথায় কোথায় গিয়েছি। পাসপোর্টও আছে আমাদের কাছে। এখন যদি আমরা দেশের বাইরে যাই, ফেরত আসি, টাকা যখন থেকে যায়। টাকাটা কি আমরা রেখে দিব না লাইক ফেলে দেব?’
র্যাব জানিয়েছে, হেলেনার বাসায় ক্যাসিনো চিপস পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হেলেনার মেয়ে বলেন, ‘মানুষ গেম খেলে, গেম খেলতে পারে না?‘
তবে এটি দিয়ে ক্যাসিনো চালানো সম্ভব নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ক্যাসিনো করার জন্য মানুষের কী লাগে? টেবিল লাগে। আরও ডিফারেন্ট এক্সেসরিজ লাগে। দিস ইজ সিম্পলি অ্যা ব্রিফকেস, ফুল অফ চিপস অ্যান্ড কার্ডস (এটি চিপস ও কার্ডসহ একটি ব্রিফকেস মাত্র)।’
‘আমরা কি তাস খেলতে পারি না? এটার মধ্যে কি টাকা ইনভলভ করা খুব নেসেসারি? ইজ নট ভেরি নেসেসারি’, বলেন হেলেনার মেয়ে।
হেলেনাকে নিয়ে যাওয়াকে পরিবার কীভাবে দেখছে, এমন প্রশ্নের জবাবে জেসি বলেন, ‘মনে হয় এখানে অবভিয়াসলি দেয়ার ইজ সামথিং রং (এখানে অবশ্যই ভুল হয়েছে)। উই অ্যাকসেপ্ট অল দ্য এলিগেশন (আমরা সব অভিযোগ মেনে নিচ্ছি)। হ্যাঁ আমাদের বাসায় ইলিগ্যাল (অবৈধ) জিনিসপত্র ছিল। কিন্তু মানে আউট অব নো হোয়ার (কথা নেই, বার্তা নেই) এসে হ্যারাসম্যান্ট (হয়রানি) করাটা, দিস ওয়ান আই ডোন্ট এগ্রি উইথ (এটা আমি মেনে নিতে পারি না)।
পরোয়ানা ছাড়া তল্লাশি কেন
কোনো ধরনের পরোয়ানা ছাড়া এ অভিযান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন হেলেনার মেয়ে; অভিযোগ করেন অন্যায্য আচরণের।
তিনি বলেন, ‘এভাবে চেক করা হয়েছে। অন্যভাবে চেক করা যায়। আপনাদের কাছে ওয়ারেন্ট ছিল না; কিছু ছিল না। আপনারা এটলিস্ট আমাদের সাথে কোঅপারেট করতে পারতেন। বাট কোঅপারেশন ছিল না।’
তার অভিযোগ, র্যাব কর্মকর্তারা তার মায়ের অলংকার ছুড়ে মারছিল।
‘ডু ইউ থিংক দ্যাট ইজ অ্যা নরমাল থিং (আপনি কি মনে করেন এটা কোনো স্বাভাবিক ঘটনা)?’, গণমাধ্যমকর্মীদের পাল্টা প্রশ্ন করেন হেলেনার মেয়ে।