বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি ও শিক্ষার অবনতিতে ধুঁকছে ঢাকা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৯ জুন, ২০২১ ১৮:০৬

ইকনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) দুটি বছরের তালিকার তুলনা করলে দেখা যায়, স্থিতিশীলতা ও অবকাঠামো ছাড়া প্রতিটি মানদণ্ডেই ঢাকার পরিবেশের অবনতি ঘটেছে। অবনতি ঘটা মানদণ্ডগুলো হলো, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ এবং শিক্ষা। এর ফলে সামগ্রিকভাবে ‘বসবাসযোগ্য শহর’ এর তালিকায় ঢাকার অবস্থান এবার ১৩৭।

বিশ্বে বসবাসযোগ্য ১৪০টি শহরের যে তালিকা প্রকাশ করেছে ইকনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ), সেটি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে দুই বছরের ব্যবধানে ঢাকায় স্থিতিশীলতা এবং অবকাঠামোগত সেবা অপরিবর্তিত আছে। বাকি সব মানদণ্ডেই অবনতি ঘটেছে এই শহরের।

অবনতি ঘটা মানদণ্ডগুলো হলো, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ এবং শিক্ষা। এর ফলে সামগ্রিকভাবে ‘বসবাসযোগ্য শহর’ এর তালিকায় ঢাকার অবস্থান এবার ১৩৭।

ঢাকার নিচে রয়েছে পাপুয়া নিউগিনির পোর্ট মোর্সবি, নাইজেরিয়ার লাগোস ও সবশেষে সিরিয়ার দামেস্ক।

ইআইইউর বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে আছে নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শহর অকল্যান্ড। এর পরের অবস্থানে জাপানের ওসাকা। তৃতীয় অবস্থানে আছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড।

কয়েকটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে 'দ্য গ্লোবাল লিভাবিলিটি ইনডেক্স ২০২১' প্রকাশ করেছে ইআইইউ। এগুলো হলো স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামো।

সূচকে এবার ১৩৭ নম্বরে থাকা ঢাকার মোট পয়েন্ট ৩৩.৫। মানদণ্ডগুলোর মধ্যে স্থিতিশীলতায় ঢাকা পেয়েছে ৫৫ পয়েন্ট। অন্যদিকে স্বাস্থ্যে ১৬.৭, সংস্কৃতি ও পরিবেশে ৩০.৮, শিক্ষায় ৩৩.৩ ও অবকাঠামোতে ২৬.৮ পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী।

২০১৯ সালে এ তালিকার ১৩৮ নম্বরে ছিল ঢাকা, তার আগের বছর বাংলাদেশের রাজধানী তালিকার ১৩৯ নম্বরে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত বছর কোনো তালিকা প্রকাশ করেনি ইআইইউ।

২০১৯ সালের তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সেবার ঢাকার সামগ্রিক পয়েন্ট ছিল ৩৯.২। মানদণ্ডগুলোর মধ্যে স্থিতিশীলতায় ঢাকা পেয়েছিল ৫৫ পয়েন্ট। অন্যদিকে স্বাস্থ্যে ২৯.২, সংস্কৃতি ও পরিবেশে ৪০.৫, শিক্ষায় ৪১.৭ ও অবকাঠামোতে ছিল ২৬.৮ পয়েন্ট। দুটি বছরের তুলনা করলে দেখা যায় স্থিতিশীলতা ও অবকাঠামো ছাড়া প্রতিটি মানদণ্ডেই ঢাকার পরিবেশের অবনতি ঘটেছে।

এবারের তালিকায় বাসযোগ্য শহরের শীর্ষে থাকা অকল্যান্ডের পয়েন্ট ৯৬। শহরটি স্থিতিশীলতায় ৯৫, স্বাস্থ্যসেবায় ৯৫.৮, সংস্কৃতি ও পরিবেশে ৯৭.৯, শিক্ষায় ১০০ ও অবকাঠামোতে ৯২.৯ পয়েন্ট পেয়েছে।

ইআইইউ বলছে, করোনাভাইরাস মহামারিতে স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবা দিতে শহরগুলো কতটা সক্ষম ছিল, সেটি জরিপে এবার অনেক বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।

তালিকার শীর্ষে থাকা নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহর কোভিড ১৯ এর ধাক্কা অল্প সময়ের মধ্যেই সামলে নিয়েছে এবং এই শহরের জীবনযাত্রা প্রায় স্বাভাবিক।

করোনা মোকাবিলায় নিউজিল্যান্ডের কৌশলের প্রশংসা করে ইআইইউ বলছে, করোনা মাহামারির শুরুতেই সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া এবং আক্রান্তের সংখ্যা কমতে থাকায় দেশটি প্রেক্ষাগৃহ, রেস্তোঁরা এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক আকর্ষণ উন্মুক্ত রাখতে সক্ষম হয়।

অকল্যান্ডে শিক্ষার্থীরা শতভাগ স্কুলে যেতে পারায় শহরটি শিক্ষা সূচকে ১০০ স্কোর পেয়েছে। এর ফলে অকল্যান্ড তার আগের ষষ্ঠ অবস্থান থেকে তালিকার প্রথমে উঠে গেছে। একই কারণে নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনও আগের ১৫তম অবস্থান থেকে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে।

আর জোরাল স্থিতিশীল পরিবেশের কারণে জাপানি শহর ওসাকা ও টোকিও যথাক্রমে দ্বিতীয় এবং চতুর্থ স্থান পেয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর