বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাজে আসছে না পঞ্চগড়ের রাবার ড্যাম

  •    
  • ২৩ মে, ২০২১ ০৯:১০

তালমা রাবার ড্যাম নির্মাণের পর মামা-ভাগিনা ব্রিজ হয়ে উত্তরে বিশ মনি পর্যন্ত ও দক্ষিণে কুচিয়া মোড় পর্যন্ত কৃষকরা সেচসুবিধা পান। তখন কয়েক হাজার হেক্টর জমি সেচসুবিধার আওতায় আনা হলেও বর্তমানে ১০ হাজার হেক্টর জমি সেচসুবিধার আওতায় রয়েছে।

ঘন ঘন ত্রুটির কারণে পঞ্চগড়ের তালমা নদীর রাবার ড্যামের সুফল মিলছে না। সংস্কারে প্রকল্প কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাবার ড্যামটি অকেজো হয়ে পড়েছে। সেচের অভাবে ওই এলাকায় কমে এসেছে বোরোসহ অন্য ফসলের চাষ।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) জানায়, ২০০৬-০৭ অর্থবছরে মাঝারি নদীতে রাবার ড্যাম নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় পঞ্চগড় সদরের তালমা নদীতে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রাবার ড্যাম নির্মাণ করে এলজিইডি। নদীসংলগ্ন এলাকায় সেচ দেয়ার জন্য প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে পানি প্রবাহের নালা নির্মাণ করা হয়। পরের বছর থেকে স্বল্প খরচে সেচসুবিধা পেতে শুরু করেন স্থানীয় কৃষকেরা।

তালমা রাবার ড্যাম নির্মাণের পর মামা-ভাগিনা ব্রিজ হয়ে উত্তরে বিশ মনি পর্যন্ত ও দক্ষিণে কুচিয়া মোড় পর্যন্ত কৃষকরা সেচসুবিধা পান। তখন কয়েক হাজার হেক্টর জমি সেচসুবিধার আওতায় আনা হলেও বর্তমানে ১০ হাজার হেক্টর জমি সেচসুবিধার আওতায় রয়েছে।

কৃষকরা জানান, ড্যামটি বারবার কারিগরি সমস্যা ও সমিতির নেতাদের সংস্কারে অবহেলার কারণে তারা সেচসুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

প্রকল্প এলাকার কৃষক শাহজাহান আলী বলেন, ‘রাবার ড্যাম হওয়ার পর বোরো মৌসুমে কয়েক বছর নদী থেকে পানি দেয়ার ভালোই সুবিধা ছিল। এই পানি দিয়েই আমরা বোরো আবাদ করতাম। ২০১৪ সালের পর ড্যামটি বারবার ত্রুটির মুখে পড়ে। প্রতিবার মেরামতে সময় লাগে ২-৩ বছর। এ জন্য রাবার ড্যাম আমাদের কোনো কাজে আসছে না।’

ত্রুটি সংস্কারে অবহেলার কারণে হতাশ হয়ে পড়েছে কয়েক শ গ্রাহক। সেচসুবিধার অভাবে কমে এসেছে রাবার ড্যাম এলাকায় বোরো ধানসহ অন্য ফসলের আবাদ। কৃষকরা ড্যামের পানি না পেয়ে ফসল উৎপাদনে বিকল্প হিসেবে শ্যালো মেশিন ও পাম্প ব্যবহার করছে। একই অবস্থা মাছচাষিদেরও। এতে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় লাভের মুখ তো দূরের কথা, ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ২০০৭ সালে চালু হওয়া ড্যামটি সাত বছরের মাথায় ২০১৪ সালে অকেজো হয়ে যায়। পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে এটি মেরামত করা হয় দুই বছর পর। এক বছরের মাথায় ২০১৮ সালে আবার ত্রুটি দেখা দেয়। অকেজো পড়ে ছিল তিন বছর। বর্ষায় ড্যামের ছিদ্র দিয়ে পানি ঢুকে ফুলে ওঠে। এতে স্রোতের বিপরীত এলাকায় নদীর আশপাশে আবাদি জমির ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। পাশের বাড়িগুলোতে পানি ওঠায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে অনেক পরিবারকে।

তিন বছরের মাথায় গত ফেব্রুয়ারিতে ড্যামটি সংস্কার করা হলেও এখন শঙ্কায় আছেন কৃষকরা। তারা বলছেন, প্রকল্পটি ঠিকমতো দেখভাল না করায় কোনোমতে চলছে।

তালমা রাবার ড্যাম পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির আহ্বায়ক করিমুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক আগে রাবার ড্যামের ব্যাগটি ফুটো হয়ে গেছে। আমরা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় কিছু এলাকায় সেচব্যবস্থা চালিয়ে আসছি।’

পঞ্চগড় সদর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আতাউর রহমান বলেন, ‘রাবার ড্যামটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি সমিতি আছে। ড্যামের ছোট ছোট ত্রুটি সমিতির তহবিল থেকে সমাধান করবে। বড় কোনো সমস্যা হলে টেন্ডারের মাধ্যমে এলজিইডি মেরামত করে। এ মৌসুমে মেরামত করা হয়েছে। আশা করছি সামনের বছরে কৃষকেরা ড্যাম থেকে পর্যাপ্ত সুবিধা পাবেন।’

এ বিভাগের আরো খবর