ঈদের ছুটি শেষ হয়েছে শনিবার। তবে কর্মব্যস্ত হয়ে ওঠেনি রাজধানী। বর্ধিত লকডাউন আর পরিবহন বন্ধ থাকার কারণে ঢাকায় ঢুকতে বেগ পেতে হচ্ছে কর্মজীবী মানুষের।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আজ রবিবার অফিসে যোগ দেয়ার কথা। খুলছে ব্যাংক-বিমা, শেয়ারবাজারও।
রাজধানীর অনেক সরকারি ও বেসরকারি অফিসে রোববার উপস্থিতি ছিল কম। অনেকেই এখনও ঢাকায় ফেরেনি।
যারা রাজধানীতে ঈদ করেছেন, তাদের অনেকেই লকডাউনের জন্য রোস্টার সুবিধা নিয়ে অফিস করছেন।
সরকারি কর্মকর্তাদের সবচেয়ে বড় কর্মস্থল সচিবালয়ে সকালে অনেক দপ্তরই খোলা হয়নি। আনাগোনা দেখা যায়নি সরকারি কর্মকর্তাদের। প্রয়োজনে অফিসে এসেছেন কেউ কেউ।
এবার ঈদে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থল ত্যাগ না করতে সরকার থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী অফিস করতে বলায় ছুটি শেষের প্রথম দিন কর্মব্যস্ততা ছিল না।
এদিকে আন্তজেলা পরিবহন বন্ধ থাকায় রাজধানীতে ঢোকার পয়েন্টগুলোতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কর্মজীবী মানুষকে। ঘরমুখো মানুষজন ঢাকামুখী হচ্ছে। তবে সেটিও সীমিত আকারে।
গত ১৩ মে বৃহস্পতিবার থেকে সরকারি ছুটি শুরু হয়। এবার ঈদ শুক্রবার হয়াতে আলাদাভাবে ছুটি পায়নি কর্মজীবী মানুষ। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ছুটি শেষ করেই ফেরার পালা ছিল তাদের।
প্রতি ঈদের পর স্কুল-কলেজ খোলার তাড়া থাকলেও গত বছর থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য সেটি বন্ধ আছে। ২৩ মে থেকে স্কুল কলেজের ছুটি বাড়িয়ে ২৯ মে করেছে সরকার।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিধিনিষেধে সীমিত পরিসরে খোলা আছে ব্যাংক। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে লেনদেন। অন্যদিকে শেয়ারবাজারে লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ব্যাংকে রোস্টার আকারে কাজ করতে হয়েছে। আমার রোস্টারে আমি ছুটি পেয়েছি। তাই এখনও ঢাকায় ফেরা হয়নি।’
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সরোয়ার বাধন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি এখনও কুমিল্লা থেকে আসতে পারিনি। আমার অফিস লকডাউনের কারণে রোস্টার হিসেবে চলেছে। ঈদের পর যোগদান করার কথা থাকলেও পরিবহন সমস্যার কারণে সেটি হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘একটি প্রাইভেট কার ভাড়া করে আজ ঢাকায় ফিরব। সোমবার থেকে অফিস করব।’
ঈদের আগে বাস-ট্রেন-লঞ্চে যাত্রী পারাপারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে মানুষ নিজেদের মতো করে বাড়ি যায়। ফেরি ঘাটে ছিল উপচে পড়া ভিড়।