বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই’

  •    
  • ৮ মে, ২০২১ ০০:৫৪

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে নিউজবাংলার বিশেষ অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল। আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান করেছে নিউজবাংলা।

‘তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই’ শিরোনামে শুক্রবার রাত ১০টায় এই অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল। আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জরুরি অবস্থা চলার সময়ে ২০০৭ সালের ৭ মে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা শেষে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেই দেশে ফিরে আসেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকন্যাকে দেশে ফিরতে বিভিন্নভাবে বাধা দিয়েও সফল হয়নি সে সময়ের তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

এরপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। এরপর আরও দুই দফা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পান শেখ হাসিনা।

নিউজবাংলার বিশেষ আয়োজনে দেশ পরিচালনায় বঙ্গবন্ধুকন্যার দক্ষ ও কুশলী নেতৃত্বের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন আলোচকেরা।

শেখ হাসিনা ভবিষ্যৎদ্রষ্টা

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান ২০০৭ সালের পরিস্থিতির উল্লেখ করে বলেন, ‘সেই সময়টায় সেনাশাসিত একটা সরকার চেপে বসেছিল এবং শেখ হাসিনার মতো একজন নেত্রী যদি দাঁড়িয়ে না যেতেন তাহলে সেটা হয়ত মিয়ানমারের মতো চলতেই থাকত। আরো অনেক অঘটন আমাদের এই দেশে দেখতে হতো। আমি খুব কাছে থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছি। তার সঙ্গে কাজ করেছি সেই সংকটকালে। তিনি ফিরে এলেন ২০০৭ সালে। তার কিছুদিনের মধ্যেই দেখলাম ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই তিনি গ্রেপ্তার হলেন।’

ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘জেলখানা থেকেও আমাদের সঙ্গে তার (শেখ হাসিনা) যোগাযোগ হতো এবং সেই সময়ে তিনি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি যে দিন বদলের সনদ তৈরি করেছিলেন, সেই প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমরা জড়িত ছিলাম। তিনি বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে, ভবিষ্যতের মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে কোন দিকে নিয়ে যাবেন সেসব বিষয়গুলো নিয়ে ভাবছিলেন এবং নোট রাখছিলেন।

‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে তার সুবিবেচনা দেখেছি। আমাদের বড়ই সৌভাগ্য যে এমন একজন নেত্রীকে আমরা পেয়েছি যিনি মানুষকে প্রধান গুরুত্ব দিয়ে থাকেন এবং তার সেই রূপকল্পের কথা, সেই রূপকল্পই শুধু নয়, তিনি আরও ভবিষ্যৎ দেখছেন, আরও অনেক দূর দেখতে পান শেখ হাসিনা। আমরা দেখতে পেয়েছি যে, তিনি ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়বার স্বপ্ন দেখছেন। যখন তিনি বিরোধী দলে ছিলেন তখনও তিনি এই সব বিষয় নিয়ে ভাবতেন।’

ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘আমার বড়ই সৌভাগ্য হয়েছিল যে শুধু সেই দিন বদলের সনদ প্রণয়নের কথা না, পরবর্তীকালে তার সঙ্গে অর্থনৈতিক টিমে কাজ করবার। তিনি আমাদেরকে তার সেই যাত্রায় যুক্ত করেছিলেন এবং বাংলাদেশের যে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, সেটি তারই নির্দেশনায় এগিয়ে গেছে এবং বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে একটি জনমুখী, মানবিক অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক করার পুরো প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ নেতৃত্ব তিনি দিয়েছেন।’

ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘আমাদের রিজার্ভ আজকে ৪৫ বিলিয়ন ডলারের উপরে। আমাদের প্রবাস আয় গত ১০ মাসে প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক দূর দেখতে পান। এবং সেই দেখতে পান বলেই তিনি কয়েকটি বিষয়ের উপরে খুব গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং আমার ধারণা আগামীতেও সেই গুরুত্বটি বজায় থাকবে।

‘২০০৮ সালে তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশকে ডিজিটাল করবেন। সেখান থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং আগামী দিনের অর্থনীতি হবে ডিজিটাল, আগামী দিনের সমস্ত বিকাশ হবে ডিজিটাল এবং সেটার সূত্রপাত কিন্তু তিনিই করেছেন।’

মেগা প্রকল্পের উল্লেখ করে ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘ইনফাস্ট্রাকচার যে দরকার এবং পদ্মা সেতু কী প্রক্রিয়ায় তৈরি হচ্ছে সেই সাথেও আমরা জড়িত ছিলাম। আমরা দেখছি একজন সাহসী নেত্রী কেমন করে ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি একটি প্রকল্পে বলেছেন যে, আপনাদের (বিশ্বব্যাংক) কোনো টাকা লাগবে না। আমরা আমাদের অর্থ দিয়েই এটা তৈরি করব এবং তিনি সেটা তৈরি করে দেখাচ্ছেন। এখন পদ্মা সেতু দৃশ্যমান।

‘একই সঙ্গে স্পেশাল ইকোনমিক জোন তিনি করেছেন। এই স্পেশাল ইকোনোমিক জোনগুলোর দিকে নজর দিলেই আমরা বুঝতে পারবো এগুলো বাংলাদেশের চেহারা বদলে ফেলবে।’

বঙ্গবন্ধুর গুণাবলি শেখ হাসিনার মাঝে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘আমি সেই দিনটির কথা ভুলতে পারব না। সেদিন সকালে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তখনও আমরা জানি না এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা আসছে বা আরোপ হয়েছে। সেনা সদর থেকে একজন বিগ্রেডিয়ার টেলিফোন করে খুব রূঢ় ভাষায় বলতে চাইলেন, আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ধরনের কোনো প্রতিবাদ, কোনো ধরনের কোনো আন্দোলনে যাবেন না। আপনাদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছি, আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈমিত্তিক কাজের মধ্যেই নিজেদেরকে সীমাবদ্ধ রাখবেন।’

ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘কিছুক্ষণ পরেই খবর আসতে শুরু করল যে, শেখ হাসিনাকে বিমানে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। সেই অনুযায়ী একটি প্রেসনোট জারি করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এবং শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিকভাবে সাক্ষাৎকার দিয়ে বলছেন যে, এটি আমার আধিকার, আমি আমার দেশে ফিরে যাব, এবং দেশে ফিরে যাওয়ার পরে যদি তারা মনে করে আমার কোন অপরাধ আছে, তারা আমাকে জেলে দেবে, বিচার করবে। কিন্তু তারা আমাকে আমার দেশে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে পারে না।’

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে দিতে বাধ্য হয়েছিল উল্লেখ করে ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘২০০৭ সালের ৭ মে তারিখে তিনি দেশে ফিরে আসলেন। সে দিন বিমানবন্দর থেকে শেখ হাসিনার বাসভবন পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে লোকে-লোকারণ্য। লক্ষ লক্ষ মানুষ সেখানে সমবেত হয়েছে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। ঠিক যে রকম দৃশ্য আমরা দেখেছিলাম ১৯৮১ সালে ১৭ মে তার প্রথম স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সময়।’

ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘নেতৃত্বের গুণাবলির মাঝে আছে দূরদর্শিতা, দূরদৃষ্টি, প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা, বুঝতে পারা যে কীভাবে দেশকে ও সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তার সঙ্গে থাকতে হবে মানবিক সংবেদনশীলতা, মানবতাবোধ, মানুষকে ভালোবাসা। যেটি বঙ্গবন্ধুর মাঝে দেখেছি আমরা সব সময় এবং স্বাভাবিকভাবেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মাঝেও এই গুণগুলোই আমরা দেখতে পাই।’

নতুন বাংলাদেশ তৈরি করেছেন শেখ হাসিনা

নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসার পর ২০০৮ সালের ডিসেম্বর নির্বাচনের পর ২০০৯ সালে শুরু হয় নতুন বাংলাদেশের যাত্রা। টানা তিন মেয়াদে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশ এখন আর স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশ নয়; এখন উন্নয়নশীল দেশ।’

ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগেই শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন রূপকল্প ২০২১। সেই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পরের গল্পটা শুধুই এগিয়ে যাওয়ার।

‘যে বাংলাদেশ এক সময় পরিচিত ছিল বন্যাকবলিত, দারিদ্রপীড়িত দেশ হিসেবে, সেই দেশই এখন সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল; অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশ্বের বিস্ময়। এটা কেবলই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী এবং জাদুকরি নেতৃত্বের কারণে।’

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘অর্থনৈতিক সূচকের পাশাপাশি সামাজিক সূচকেও বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে এই ১২ বছরে। অনেক ক্ষেত্রে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়েও এগিয়ে গেছে। দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি দেশের সীমা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও এখন ব্যাপক আলোচিত। অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেন সুযোগ পেলেই বাংলাদেশের এই সাফল্যের কথা দেশি-বিদেশি মানুষকে শোনান।’

ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারির আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়েই চলেছে। ২০০৮-৯ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ। ধারাবাহিক অগ্রগতির পথ ধরে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে বাংলাদেশ। যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি। গত এক দশকে জিডিপি প্রবৃদ্ধির গড় হার ছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। আর চার বছরে এই হার ছিল ৭ শতাংশের উপরে।

‘তবে কোভিড-১৯ এর ধাক্কায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমেছে, যা সারা দুনিয়াতেই কমেছে। তারপরেও বাংলাদেশে সেটা ছিল ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ।’

ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘জিডিপি প্রবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাথাপিছু আয়। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এখন ২০৬৪ ডলার। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ছিল ৭৫৯ ডলার। এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, এক যুগে মাথাপিছু আয় প্রায় তিন গুণ বেড়েছে।

‘অর্থনীতির অন্যতম প্রধান সূচক মূল্যস্ফীতি বেশ কিছুদিন ধরে সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। এখন তা কমে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশে নেমে এসেছে।’

রেমিট্যান্স বা প্রবাস আয়ের পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির সূচকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বা প্রবাস আয়। প্রতিবছরই বাড়ছে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক। এমনকি, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর বাজেটের আকার যেমন বেড়েছে, রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও তেমনি বেড়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ৬৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছিল। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা বেড়ে ২ লাখ ১৮ হাজার ৪০৬ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। চলতি অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) আদায় হয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ১০৪ কোটি টাকা।

‘কৃষিতেও সরকারে সাফল্য ঈর্ষণীয়। মহামারিতে বিভিন্ন খাতের ক্ষতি হলেও কৃষি খাতের তেমন ক্ষতি হয়নি আমাদের দেশে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কৃষিজমি কমতে থাকাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও বৈরী প্রকৃতির মধ্যেও খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহরণ। ধান, গম ও ভুট্টায় বিশ্বের গড় উৎপাদনকে পেছনে ফেলে ক্রমেই এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। সবজি উৎপাদনে তৃতীয় আর মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে। এগুলো সবই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে।’

ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) ফিরে এসেছেন বলেই আমরা আজ নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। আজকে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। আমি নিজের এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করি, আমরা আগে যখন বিদেশে ট্রাভেল করতাম তখন আমাদের পাসপোর্ট একটা নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হতো। আর এখন আমরা যখন ট্রাভেল করি, বিভিন্ন দেশে যাই, অন্য দৃষ্টিতে আমাদের দেখে। আমাদের এখনকার আইডেন্টিটি অনেক সম্মানের। শুধুমাত্র তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।

‘আজকে নতুন বাংলাদেশের যে উন্নয়ন পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল…। আমি যখন আমার অফিসে বসি তখন জানাল দিয়ে দেখতে পাই ঢাকায় আট লেনের সড়ক হয়েছে। এটা কোনোদিন চিন্তা করা যায়নি। যদি তিনি না আসতেন তাহলে এগুলো স্বপ্নের মতো থেকে যেত। এই বাংলাদেশকে তার বাবা দিয়ে গিয়েছিলেন, আর নতুন বাংলাদেশ তৈরি করেছেন শেখ হাসিনা।’

ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য যে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনেক দেশে সফর করার সুযোগ পেয়েছি। যে সম্মান আজকের বিশ্ব নেতৃত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেয়, সেটা তিনি অর্জন করে নিয়েছেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজের চেয়ার থেকে উঠে এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রধানমন্ত্রীর পাশে এসে কথা বলেছেন। এই সম্মানের জায়গায় বাংলাদেশকে তিনি এনে দিয়েছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর