দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার মজুত ফুরিয়ে আসছে। যে পরিমাণ টিকা আছে তাতে চাহিদা মেটানো যাবে বড়জোর দুই সপ্তাহ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানালেন, নতুন টিকা না এলে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে যাচ্ছেন তারা।
এখন পর্যন্ত করোনা প্রতিরোধী পাঁচটি ব্র্যান্ডের টিকার প্রয়োগ চলছে বিশ্বজুড়ে। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার, মডার্না, যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা, রাশিয়ার স্পুতনিক-ভি ও চীনের সিনোভ্যাক।
বাংলাদেশে চলছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রয়োগ, যা কোভিশিল্ড নামে উৎপাদন করছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট।
প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৩ কোটি ডোজ টিকা কিনেছে বাংলাদেশ সরকার, যা ধাপে ধাপে দেশে পৌঁছানোর কথা। কিন্তু দুই ধাপে কেনা টিকার ৭০ লাখ ডোজ টিকা আসলেও বাকি টিকা পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে বড় অনিশ্চয়তা। কেননা ভারতেই অভ্যন্তরীণ টিকার চাহিদা মেটাতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে উৎপাদক প্রতিষ্ঠান সিরাম।
বাংলাদেশি ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকোকে সঙ্গে নিয়ে গত ৫ নভেম্বর সিরামের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করে সরকার। চুক্তি অনুষ্ঠানে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
চুক্তি অনুসারে প্রতিমাসে বাংলাদেশে ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর কথা সিরামের। এভাবে ছয়মাসে ৩ কোটি ডোজ টিকা দেয়ার কথা।
জানুয়ারিতে প্রথম চালানে ৫০ লাখ টিকা আসলেও ফ্রেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় চালানে টিকা আসে ২০ লাখ ডোজ। এরমধ্যে অবশ্য ভারত সরকার উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ৩২ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে। সব মিলিয়ে সরকারের হাতে এসেছে ১ কোটি ২ লাখ ডোজ টিকা।
বাকি ডোজগুলো পাঠানো নিয়ে চুক্তি অনুযায়ী কথা রাখছে না সিরাম ইনস্টিটিউট। এই সময়ে কেনা টিকার মধ্যে বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা ২ কোটি ডোজ। সে হিসাবে ঘাটতি আছে ১ কোটি ৩০ লাখ ডোজ।
করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশে প্রয়োগ চলছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত কোভিশিল্ড টিকার। ছবি: নিউজবাংলা
সিরাম নিয়ে হতাশ সরকার
জানুয়ারিতে ৫০ লাখ টিকা আসলেও পরের মাসেই চুক্তি ভঙ্গের ইঙ্গিত মেলে। ফেব্রুয়ারিতে সিরাম টিকা পাঠায় ২০ লাখ ডোজ। তখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, মার্চে তৃতীয় চালানে ফেব্রুয়ারির ঘাটতি পুষিয়ে দেবে সিরাম। মার্চ শেষে এপ্রিলও শেষের পথে। কিন্তু কোনো টিকা পাঠাচ্ছে না সিরাম।
দেশে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় গণটিকা। বর্তমানে দ্বিতীয় ডোজের সঙ্গে প্রতিদিন প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম চলমান আছে। অবশিষ্ট যে টিকা আছে তা কিছুদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ফলে টিকা ব্যবস্থাপনা নিয়ে সংকট দেখছে তারা।
সিরাম কবে টিকা পাঠাবে সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই সরকারের কাছে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার এখনও ডেট পাইনি। আমাদেরকে এখনও ডেট জানায়নি।’
এ মাসের মধ্যে আসবে কি না জানতে চাওয়া হলে মন্ত্রী বলেন, ‘সেটা তো বলতে পারছি না। আশা তো সবসময়ই করছি। আমরা রোজই খোঁজখবর নিচ্ছি। তবে ডেট এখনও পাইনি। এখনও বিষয়টা এ পর্যায়েই আছে। কারণ নতুন কোনো ডেট দেয়নি। কবে পাব সেটাও বলেনি।’
এমন বাস্তবতায় সিরাম ইনস্টিটিউটের টিকা নিয়ে সরকারের ভাবনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আপাতত কোনো খবর নেই।’
সরাসরি না বললেও সিরামের আচরণ নিয়ে অনেকটা অসন্তুষ্টিই প্রকাশ পায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কণ্ঠে। জানালেন, বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানালেন, টিকার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে সরকার
বিকল্প উৎসের খোঁজে কমিটি
সিরামের পিছুটানে করোনার টিকার জন্য বিকল্প উৎস খুঁজতে শুরু করেছে সরকার। এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘অন্যগুলো (টিকার বিকল্প উৎস) এখন আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। সবগুলো নিয়ে এখন আমরা খোঁজখবর রাখছি। যেমন চায়নার ভ্যাকসিনগুলো, রাশান ভ্যাকসিনগুলো, আমেরিকার ভ্যাকসিনগুলো।’
বিকল্প উৎস থেকে টিকা আনতে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
‘যারা যারা ইন্টারেস্টেড, বিশেষ করে যারা ভ্যাকসিন দিতে চায়, যারা আনতে পারবে- এদেরকে নিয়ে একটা বৈঠক হয়েছে। একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে। আমরা বলেছি দ্রুত তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে।’
কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন কে? জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে পাঁচ-সাত জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের কোন টিকা নিয়ে সরকার আগ্রহী, জানতে চাওয়া হয় মন্ত্রীর কাছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যারা যারা আমাদেরকে অ্যাপ্রোচ করেছে- মর্ডানা অ্যাপ্রোচ করেছে, মর্ডানারটা নিয়ে কথাবার্তা চলছে। ফাইজার নিয়েও কথা চলছে। রাশান স্পুৎনিক নিয়েও কথা চলছে। চায়নারটাও আছে- সবগুলো নিয়ে এখন কথা চলছে।’
তবে বিষয়টি সময়সাপেক্ষ বলে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘সময় তো লাগবে। আলোচনা শুরু হল। তারপর আলোচনা একটা পর্যায়ে আসলে, যারা সাপ্লায়ার, যারা ম্যানুফ্যাকচারার তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। কথা হলে, কবে দেবে না দেবে এ সমস্ত বিষয়- এটুকু সময় তো লাগবে। এগুলো তো আর এত তাড়াতাড়ি হয় না। তবে আলোচনা শুরু হয়েছে। পজিটিভলি কথাবার্তা চলছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবিত ফাইজার আর মডার্নার টিকা সংরক্ষণে রয়েছে সীমাবদ্ধতা। এই টিকা রাখতে হয় অনেক কম তাপমাত্রায়, সে অবকাঠামো বাংলাদেশে খুব একটা নেই।
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘(তাপমাত্রা) সেটা তো দেখে নিতে হবে। বাংলাদেশের যা পরিস্থিতি আছে, হাই টেম্পারেচার বা লো টেম্পারেচার- এগুলো তো আমরা নিতে পারব না। যদি খুব লো টেম্পারেচার হয় তাহলে আমরা নিতে পারব না। আমাদের যে সক্ষমতা আছে সেটার মধ্যে থাকতে হবে।’
ফাইজারের টিকা কী আনা সম্ভব? উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘সেটা যদি লো টেম্পারেচারে সংরক্ষণ করতে হয় তাহলে কীভাবে সম্ভব? আমাদের যে সক্ষমতা আছে সেটার মধ্যে যদি সম্ভব হয় তাহলে আসবে, না হলে কীভাবে আসবে?’
বিকল্প উৎস থেকে টিকা নিশ্চিত করতে সরকারের কেমন সময় লাগতে পারে সেটা নিয়ে কোনো সদুত্তর নেই মন্ত্রীর কাছে। তিনি বলেন, ‘আলোচনা তো শুরু হয়েছে এখন যত তাড়াতাড়ি করা যায় আর কী। সময় তো বলা মুশকিল কবে, কে কী দেবে। কাজ যেহেতু শুরু হয়েছে, আমরা চাইব, আমাদের যে টিকা আছে, আমরা যা পাচ্ছি সেটার সঙ্গে এটাও আসতে থাকুক। আমরা মাল্টি সোর্সও চিন্তা করছি।’
দেশে বেড়েই চলছে করোনার সংক্রমণ, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টিকার সংকটও। ছবি: নিউজবাংলা
টিকা সংকট দেশ
সিরামের সঙ্গে চুক্তি থাকলেও গেল দুই মাসে কোনো টিকা আসেনি দেশে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সবশেষ হিসাবে (২২ এপ্রিল পর্যন্ত) দেখা যাচ্ছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধী সিরামের টিকা নিয়েছেন ৫৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮৬ জন। এর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন হয়েছে ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৯৯৫ জনের।
এই দুইয়ের যোগফলে দেখা যায়, মজুত টিকার ৭৭ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬১ ডোজ টিকা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে সরকারের হাতে এই মুহূর্তে টিকা মজুত আছে ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩৯ ডোজ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব থেকে দেখা যাচ্ছে ২২ এপ্রিল প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ৭৭২ জন।
সেই হিসাব ধরে দেখা যাচ্ছে, সরকারের টিকার মজুত শেষ হতে পারে দুই সপ্তাহের মধ্যেই। অর্থাৎ এর মধ্যে যদি নতুন কোনো টিকার সংস্থান করতে না পারে তাহলে বড়জোড় ৭ মের পর টিকাদান কর্মসূচি বাধ্য হয়ে বন্ধ করতে হবে সরকারকে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যতটুকু আছে আমরা সেটা দিতে থাকব। আর আনার চেষ্টা চলছে। অন্য সোর্স থেকেও আনার চেষ্টা চলছে। সে চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি। আমরা যদি তাড়াতাড়ি পেয়ে যাই তাহলে তো কোনো সমস্যায় থাকল না। চেষ্টা করলে তো পাওয়া যায়, চেষ্টা এখন চালাচ্ছি। আগেও করেছি এখন আরও বেশি করে চেষ্টা চালাতে হচ্ছে।’
এই অল্প সময়ের মধ্যে সেটা সম্ভব হবে? জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘অন্যান্য সোর্স থেকে আনার বিষয়ে আগে আমাদের যেভাবে চেষ্টা চলছিল, এখন আর একটু জোরেশোরে করতে হচ্ছে আরকি।’
সিরাম টিকা পাঠালে সংকট অবশ্য কেটে যেতে পারে। সেই প্রত্যাশা এখনও করছে সরকার। এ বিষয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে কোনো আলাপ হয়েছে কি না সেটা জানতে চাওয়া হয় জাহিদ মালেকের কাছে।
তিনি বলেন, ‘ভারত সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী যখন দেশে এসেছিলেন, তখন এই বিষয়ে কথা হয়েছে। বেক্সিমকোর মাধ্যমে যোগাযোগটা হচ্ছে। সিরামকে আমরা চিঠিপত্র দিচ্ছি।’
কিন্তু আমাদের টিকা তো ফুরিয়ে যাচ্ছে?-ফের প্রশ্ন রাখা হয় মন্ত্রীর কাছে। তিনি বলেন, ‘(সিরামের টিকা রপ্তানিতে) ভারত সরকারের অনুমোদন লাগবে তো, সেই অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে তারা।’
বেক্সিমকোর পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে কি-না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘ওরা ওইটাই বলেছে, আমি যেটা বললাম ওটাই বলছে। তাদের মাধ্যমেই তো খবরটা পাই আমরা।’
আশ্বাস দিলেও এখনও কোনো টিকা পাঠায়নি কোভ্যাক্স
কোভ্যাক্স নিয়েও আশার আলো নেই
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) উদ্যোগে ন্যায্যতার ভিত্তিতে করোনার টিকা বণ্টনে গড়ে তোলা জোট কোভ্যাক্স প্রত্যেক দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের জন্য বিনা মূল্যে টিকার ব্যবস্থা করার কথা।
এই জোটের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশ ১ কোটি ২৭ লাখ ডোজ টিকা পাবে।
৯ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আব্দুল মান্নান জানিয়েছিলেন, ‘এ মাসের শেষের দিকে দেশে কোভ্যাক্সের ১ লাখ ৩১ হাজার ডোজ টিকা আসবে, যা বিনা মূল্যে মিলছে।’
শুরুতে বলা হচ্ছিল, কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশকে দেয়া হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারের উদ্ভাবিত টিকা। সংরক্ষণ প্রক্রিয়া অনেকটা দুঃসাধ্য জেনেও এই টিকা নিতে আগ্রহ দেখায় সরকার।
কিন্তু পরে জানানো হয়, ফাইজারের নয়, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে কোভিশিল্ড নামে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাই দেবে কোভ্যাক্স।
কিন্তু সেখানেও মিলেছে না কোনো আশার আলো। মন্ত্রী এক কথায় জানালেন, ‘সেটির কোনো খবর নেই।’
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত রোববার সংস্থাটির পক্ষ থেকে টিকার চাহিদা চেয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। আগামী শনিবারের মধ্যে চিঠির মাধ্যমে সেটা তাদের জানাতে হবে।’
বিষয়টি দেখভাল করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের কী পরিমাণ টিকা লাগবে তা নিরুপণ করে বা তা জানিয়ে আগামী শনিবারের মধ্যে চিটির জবাব দেবেন তিনি।’