বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘মৃত’ থেকে জীবিত হতে চান আরও চারজন

  •    
  • ২৩ এপ্রিল, ২০২১ ১০:৩৩

এর আগে নেত্রকোণার মদন পৌরসভার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের আব্দুল আওয়াল ৯ বছর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্যে মৃত ছিলেন। আউয়াল ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকার প্রতিনিধি। নির্বাচন অফিসের তথ্যে তার মৃত থাকার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। বুধবার নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্যে জীবিত হন আওয়াল।

দীর্ঘ ৯ বছর নির্বাচন অফিসের তথ্যে ‘মৃত’ থাকার পর বুধবার জীবিত হন আব্দুল আওয়াল। তার মতো বাবা-ছেলেসহ জীবিত আরও চারজনের ‘মৃত’ থাকার তথ্য মিলেছে।

তারাও চান শিগগির জীবিত হতে। তারা চান জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে কেটে দেয়া নাম আবার ফিরিয়ে দেয়া হোক। তারাও বছরের পর বছর ধরে নির্বাচন অফিসে ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত।

আব্দুল আওয়াল নেত্রকোণার মদন উপজেলার বাসিন্দা। অন্য চারজনও একই উপজেলার বাসিন্দা।

এই চারজন হলেন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কেশজানী গ্রামের রামকৃষ্ণ দেবনাথ, তার ছেলে প্রভাত চন্দ্র দেবনাথ এবং মদন ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাপাসাটিয়া গ্রামের হাবিবুল রহমান ও মদন পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িভাদেরা গ্রামের মোসা. রেজিয়া আক্তার।

রামকৃষ্ণ দেবনাথ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি ছেলেডারে সাথে নিয়া নির্বাচন অফিসে গেছিলাম। তারা কইছে, আমরা বাপপুতেরে মৃত ঘোষণা করা অইছে। তালিকায় নাম নাই। অফিসের লোকেরা আমারে ও আমার ছেলেরে দেখে অবাক অইয়া যায়। আমি ও আমার ছেলে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে ২০১৭ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আবেদন করছি।

‘চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্রসহ ছয় ধরনের দরকারিসহ কাগজ দিছি। বারবার যাইতাছি। কিন্তু এখনও সুরাহা পাই নাই। আমি ভোট দিতাম পারতাছি না। শিগগিরই আমরার আইডি কার্ড ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানাই।’

হাবিবুল রহমান আবেদন করেছেন ২০১৭ সালের ২৮ আগস্ট আর মোসা. রেজিয়া আক্তার ২০১৯ সালের ২৩ জুন।

হাবিবুল বলেন, ‘ভোট দিতা গিয়া দেহি নাম নাই। পরে নির্বাচন অফিসে যাই। হেইখানে গিয়া দেহি আমারে মৃত ঘোষণা কইরা তালিকা থেইক্যা বাদ দিছে। আইডি না থাহনে কত ঝামেলা পোহাইতাছি। সব কাগজ দিয়া আবেদন করছি। অফিসে গেলে খালি কয় অইয়া যাইব। নিশ্চিন্তে গিয়া বইয়া থাহো। অইবো অইবো কইয়া ঘুরাইতাছে।’

এর আগে মদন পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের আব্দুল আওয়াল দীর্ঘ ৯ বছর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্যে মৃত ছিলেন। আউয়াল ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকার প্রতিনিধি। নির্বাচন অফিসের তথ্যে তার মৃত থাকার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। বুধবার নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্যে জীবিত হন আওয়াল।

এতে তিনি খুবই খুশি। আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘আমি উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে আমার জাতীয় পরিচয়পত্রের নিবন্ধন কাগজটি সংগ্রহ করেছি। এখন থেকে আমি আর মৃত নই। কাগজটি পেয়ে আমি খুবই খুশি।’

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হামিদ ইকবাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভোটার হালনাগাদ করার সময় তথ্য সংগ্রহকারী এবং তথ্য প্রদানকারীদের কারণে এমন জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। সাংবাদিক আওয়ালের ভোটার আইডি নিয়ে যে জটিলতা ছিল তা সংশোধন হয়েছে। আমি এখানে নতুন যোগ দিয়েছি। আমার আগের কর্মকর্তা এগুলো যাচাইবাছাই করে কমিশনে পাঠিয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এগুলো দেখছেন। আশা করছি, এই চারজনেরটাও দ্রুত সমাধান হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর