বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রমনা বোমা হামলার আপিল ঘুরছে সাত বছর

  •    
  • ১৪ এপ্রিল, ২০২১ ০৮:৩২

কয়েক দফা বেঞ্চ পরিবর্তন হয়েছে। মামলা শেষ করতে আইনজীবীদের আগ্রহের অভাবকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বহুল আলোচিত রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা মামলার আপিল শুনানির জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক তৈরি হয়েছে। তবে সাত বছরেও শেষ হয়নি এ মামলার আপিল।

সাক্ষ্যপ্রমাণ শুনানি শেষে মামলাটি একসময় যুক্তিতর্কের পর্যায়ে গেলেও শেষ পরিণতি পায়নি। ফলে মামলাটি এখনও হাইকোর্টে শুনানির পর্যায়ে রয়ে গেছে।

কয়েক দফা বেঞ্চ পরিবর্তন এবং মামলাটি শেষ করতে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের আগ্রহের অভাবকেই দায়ী করছেন মামলার সংশ্লিষ্টরা। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দাবি করেছেন, চলতি বছরের মধ্যেই হাইকোর্টে আপিল শুনানি শেষ হবে। এ জন্য আগামী ৩০ মে মামলার শুনানির জন্য দিন ঠিক করা রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কয়েক দফা আদালত পরিবর্তন। এরপর আবার নতুন করে আদালত নির্ধারণ। আইনজীবীদের প্রস্তুতির জন্য সময় লাগছে।

‘করোনা সংক্রমণ কমে এলে এবং নিয়মিত আদালত চালু হলে আশা করি চলতি বছরের মধ্যে মামলাটি শেষ হবে। আগামী ৩০ মে মামলার শুনানির জন্য দিন ঠিক রয়েছে। আশা করছি সব ঠিক থাকলে ওই দিন বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলাটি শুনানি শুরু হবে। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আমাদের সম্পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে। আশা করছি চলতি বছরের মধ্যেই মামলাটি শেষ হবে। রায়ে সর্বোচ্চ সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের দণ্ড বহাল থাকবে।’

২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হয়। এরপর ওই বছরের ১৪ মার্চ চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ঠিক করা হয়। কিন্তু এরপর আর এগোয়নি মামলাটি।

পরে আদালত মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়। এরপর দীর্ঘদিন পর প্রধান বিচারপতির নির্দেশে আলাদা আরেকটি বেঞ্চে দেওয়া হয়। ওই বেঞ্চের বিচারক পরিবর্তন হওয়ায় সেখানেও শুনানি হয়নি।

এভাবে কয়েক দফা আদালতের বেঞ্চ পরিবর্তন, বিচারক পরিবর্তন হয়ে অবশেষে বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়।

রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার রায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঘোষণা করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন।

রায়ে নিষিদ্ধঘোষিত হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, বিএনপি নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ আট জনের ফাঁসি ও ছয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয় আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়। অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেয় আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা।

মুফতি হান্নান ছাড়াও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন মাওলানা তাজউদ্দিন, মওলানা আকবর হোসেন, মুফতি আব্দুল হাই, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মুফতি শফিকুর রহমান ও মাওলানা আরিফ হাসান সুমন।

এর মধ্যে অন্য একটি মামলায় মুফতি আবদুল হান্নানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা সাব্বির ওরফে আব্দুল হান্নান সাব্বির, হাফেজ মওলানা ইয়াহিয়া, মওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মওলানা আব্দুর রউফ ও শাহাদত উল্লাহ ওরফে জুয়েল।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলাকালে নিষিদ্ধঘোষিত হরকাতুল জিহাদের (হুজি) জঙ্গিদের বোমা হামলায় ১০ জন নিহত ও অনেকে আহত হন। এ ঘটনায় থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়।

২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে সিআইডি হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে দীর্ঘ শুনানি নিয়ে হত্যা মামলাটি বিচারিক আদালতে শেষ হয়।

এ বিভাগের আরো খবর