বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিমানের রুট বাড়াতে করোনার বাধা

  •    
  • ৩ এপ্রিল, ২০২১ ০৮:৫৫

ঢাকা থেকে জাপানের নারিতা হয়ে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং কানাডার টরন্টো হয়ে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে আকাশপথে যুক্ত হতে জাপান এয়ার এবং এয়ার কানাডার সঙ্গে চুক্তি করেছিল রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান। করোনার কারণে তা আটকে আছে।

কানাডার টরন্টো ও জাপানের নারিতা হয়ে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সঙ্গে ঢাকাকে যুক্ত করার বিমানের পরিকল্পনা আপাতত বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় বলছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে বিমানের রুট সম্প্রসারণ পরিকল্পনা আপাতত আটকে আছে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল এই মার্চেই ঢাকা-টরন্টো ফ্লাইট শুরু করার। কিন্তু কোভিডের উপর সব কিছু নির্ভর করবে।’

একই পরিস্থিতি জাপানের নারিতা ও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ফ্লাইট শুরুর ক্ষেত্রেও।

ঢাকা থেকে জাপানের নারিতা হয়ে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং কানাডার টরন্টো হয়ে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে আকাশপথে যুক্ত হতে জাপান এয়ার এবং এয়ার কানাডার সঙ্গে চুক্তিও করে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান।

ফলে বিমানের ফ্লাইটে টিকিট কেটে ঢাকা থেকে যাওয়া যাবে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কসহ যে কোনো গন্তব্যে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।

এভিয়েশনের পরিভাষায় এয়ারলাইন্সগুলোর এ ধরনের জোটকে বলা হয় কোড শেয়ার। দুটি এয়ারলাইন্সের মধ্যে এ ধরনের চুক্তি থাকলে একজন যাত্রী কোনো একটি এয়ারলাইন্সের টিকিট কেটেই অন্য এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে পারেন।

কানাডার টরন্টো ও জাপানের নারিতা হয়ে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং এশিয়া প্যাসিফিকের সঙ্গে ঢাকাকে যুক্ত করতে বিমানের পরিকল্পনা আপাতত হচ্ছে না। ফাইল ছবি

বিশ্বের বিভিন্ন এয়ারলাইন্স এ ধরনের চুক্তির ভিত্তিতে ফ্লাইট পরিচালনা করলেও বাংলাদেশ এই প্রথম এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে।

বিমানের শীতকালীন ও আসন্ন গ্রীষ্মকালীন সূচিও সাজানো হয়েছিল এ পরিকল্পনাকে ভিত্তি করে। সম্ভাব্য যাত্রী হিসেবে ধরা হয়েছে দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীদের।

বর্তমানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গন্তব্যে পয়েন্ট টু পয়েন্ট সেবা দিয়ে থাকে বিমান। এক সময় অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ফ্লাইট চলাচল করলেও এখন সেগুলো বন্ধ।

বিমানের বহরে লম্বা দূরত্বে উড়তে সক্ষম অন্তত ১০টি উড়োজাহাজ থাকলেও রুট না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে সেগুলোর সক্ষমতার পুরোটা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ছয়টি বোয়িং সেভেন এইট সেভেন ও চারটি বোয়িং ট্রিপল সেভেন মডেলের উড়োজাহাজ। এর প্রত্যেকটি টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম।

লম্বা দূরুত্বের মধ্যে বর্তমানে ফ্লাইট চালু রয়েছে শুধু লন্ডন রুটে। এ রুটে সরাসরি যেতে সময় লাগে প্রায় ১১ ঘণ্টা।

ঢাকা থেকে সরাসরি আকাশপথে নারিতা যেতে সময় লাগে প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা। আর সরাসরি টরন্টো যেতে সময় লাগে প্রায় ১৪ ঘণ্টা। নতুন এ রুট দুটি চালু হলে উড়োজাহাজগুলোর সক্ষমতা ব্যবহার করা যাবে বলে মনে করছেন বিমান কর্মকর্তারা।

বিমানের পরিকল্পনা অনুযায়ী, একজন যাত্রী ঢাকা থেকে নারিতা বা টরন্টো যাবেন বিমানের ফ্লাইটে। এরপর সেখান থেকে জাপান এয়ার বা এয়ার কানাডার ফ্লাইটে যাবেন তার পছন্দের গন্তব্যে। যাত্রী যে গন্তব্যে যাবেন, তার টিকিটও সংগ্রহ করবেন বিমানের কাছ থেকেই।

বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ‘কানাডার একটি প্রতিনিধি দল এখানে এসে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের কথা আছে। আমরা জাপানের সাথে আবার ফ্লাইট শুরু করার সব কিছুই সম্পন্ন করে রেখেছি। কিন্তু কোভিডের কারণে তাদের ফ্লাইট চলাচলে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে।

‘এটা উঠে গেলে আমরা সেখানে ফ্লাইট শুরু করব। নিউইয়র্কে ফ্লাইট চালুর বিষয়েও আমাদের সব প্রস্তুতি নেয়া আছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটির (এফএএ) একটি টিম আসার কথা, কোভিডের কারণে সেটিও দেরি হচ্ছে। এর বাইরেও গোয়াংজু ও চেন্নাইয়ে ফ্লাইট চালু করার কথা। গুয়াংজুতে যদিও আমরা কার্গো ফ্লাইট করছি, কিন্তু কোভিডের কারণে যাত্রী পরিবহন শুরু করা যায়নি।’

তিনি বলেন, ‘টরন্টো থেকে যে প্রতিনিধি দল আসার কথা, তারা হয়ত এর মধ্যেই চলে আসত। কিছুদিন আগেও সংক্রমণ কম ছিল, এখন আবার সংক্রমণ বেশি। এটার উপরও নির্ভর করছে।

‘জাপানের ক্ষেত্রে সব অনুমোদন হয়ে আছে। আমরা ফিফথ ফ্রিডমও পেয়েছি। অর্থাৎ মধ্যে কোনো একটা স্টেশনেও আমরা ফ্লাইট চালাতে পারব- এভাবেই অনুমোদন নেয়া আছে। কিন্তু তাদের যে বিধিনিষেধ রয়েছে, এটা শুধু আমাদের জন্য না, সবার জন্যেই। এটা তারা তুলে নিলে আমরা আবার ফ্লাইট শুরু করতে পারব।’

ঢাকা থেকে যে এয়ারলাইন্সগুলো নিয়মিত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করে, তারা সাধারণত মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন বিমানবন্দরে ট্রানজিট দিয়ে যাত্রী পরিবহন করে। এতে অনেক সময় যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগে অনেক বেশি।

কোনো এয়ারলাইন্সেরই ঢাকা থেকে সরাসরি টরন্টোতে ফ্লাইট নেই। বিমান আশা করছে, নারিতা ও টরন্টোতে ফ্লাইট শুরু করলে মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার অনেক আন্তর্জাতিক যাত্রী তারা পাবে। তবে এখন সব কিছুই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর।

এ বিভাগের আরো খবর