বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যে কারণে বাজার পেল না রাইস ব্র্যান অয়েল

  •    
  • ৫ মার্চ, ২০২১ ১৯:৩৪

বিপুল সম্ভাবনার রাইস ব্র্যান অয়েল প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। চালের কুঁড়া থেকে তৈরি এ তেল বেশি পুষ্টিকর হওয়া সত্ত্বেও সয়াবিন ও পাম অয়েলকে সরিয়ে বাজার তৈরি করতে পারেনি।   

বিপুল সম্ভাবনা নিয়ে দেশে যাত্রা শুরু করেছিল চালের কুঁড়া থেকে উৎপাদিত ভোজ্যতেল রাইস ব্র্যান অয়েল। কিন্তু দেড় দশক না যেতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে খাতটি। সয়াবিন ও পাম অয়েলের জায়গা দখল করতে পারেনি এটি। মুনাফা না থাকায় পিছু হটতে শুরু করেছেন উৎপাদকেরা।

একে একে দেশে ২০টি প্রতিষ্ঠান রাইস ব্র্যান অয়েল উৎপাদনে এসেছে। তবে ব্যবসা করতে পারছে না কেউই। বরং বাজার চাহিদা তৈরির প্রতিযোগিতায় রাইস ব্র্যানকে টেক্কা মেরে সয়াবিন ও পাম অয়েলের ব্যবহার আগের চেয়ে আরও বেড়েছে।

স্থায়ীভাবে ক্রেতা তৈরি করতে পারেনি রাইস ব্র্যান। ব্যাপক বাজার চাহিদা তৈরি করতে না পারায় বাস্তব রূপ পায়নি এ খাতের সম্ভাবনা।

অন্যদিকে রাইস ব্র্যানের তুলনায় সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম বেশ কম, সরবরাহ বেশি। ঘর থেকে বের হলেই বিভিন্ন আকৃতির বোতলে যেকোনো মুদি দোকানেই মেলে এসব তেল।

রাইস ব্র্যানের চিত্র এর বিপরীতমুখী। যারা আগ্রহ নিয়ে এই তেল ব্যবহারে এগিয়ে এসেছিলেন, তারা ফের সয়াবিনে ফিরে গেছেন। এর অন্যতম কারণ, দোকানগুলোতে এই তেল খুব বেশি পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও ক্রেতার চাহিদামতো বোতলের সাইজ পাওয়া যায় না। রাইস ব্র্যান অয়েলের বেশির ভাগ বোতলই পাঁচ লিটারের।

এখনও যারা এই ভোজ্যতেল ব্যবহার করছেন, তাদের অনেকেরই ঝোঁক দেশি রাইস ব্র্যানের পরিবর্তে বিদেশ থেকে আমদানি করা সানফ্লাওয়ার অয়েলে বা অন্য তেলে। ফলে ক্রেতা সংকটে দিন দিন বাজার হারাচ্ছে রাইস ব্র্যান। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে উৎপাদনে।

আশানুরূপ মুনাফার দেখা না পেয়ে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছেন উৎপাদকেরা। কেউ কেউ রাইস ব্র্যান উৎপাদন বন্ধ রেখেছেন। কেউ করছেন সক্ষমতার আংশিক উৎপাদন। সেটাও বছরের সব সময় হচ্ছে না। কেউ আবার বড় অংকের পুঁজি বাঁচাতে রাইস ব্র্যান অয়েল পরিশোধন বা রিফাইন থেকে মুখ ফিরিয়ে ওই কারখানায় সস্তা দরের সয়াবিন পরিশোধনের দিকে হাত বাড়িয়েছেন।

কেউ আবার রাইস ব্র্যানে থেকেও ব্যয়বহুল পরিশোধনে না গিয়ে এর অপরিশোধিত তেল বা ক্রুড অয়েল উৎপাদনে ঝুঁকছেন, যা উৎপাদকেরা অপেক্ষাকৃত কম দামে রপ্তানি করছেন ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশ থেকে ২০ হাজার টন ক্রুড রাইস ব্র্যান অয়েল রপ্তানি হয়েছে। এখানেও মিলছে না ন্যায্যমূল্য। যদিও ভারত, চীনসহ আমদানিকারক দেশগুলোয় চড়া দামে রাইস ব্র্যান অয়েল বিক্রি হচ্ছে। এসব দেশে এই তেলের জনপ্রিয়তা অন্য তেলের চেয়ে বেশি। ব্যতিক্রম শুধু বাংলাদেশে।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার খাতটির প্রতি ব্যাপকভাবে নজর না দিলে দেশে রাইস ব্র্যান অয়েলের স্থানীয় উৎপাদন ও বাজারজাত অচিরেই শূন্যের কোটায় নেমে আসতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যসব ভোজ্যতেলের তুলনায় চালের কুঁড়ার তেল বেশি স্বাস্থ্যসম্মত।

চালের কুঁড়ার তেল বেশি পুষ্টিকর

বাজারে প্রচলিত অন্যসব ভোজ্যতেলের তুলনায় চালের কুঁড়া থেকে উৎপাদিত তেল বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। বিশ্বের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর তেল হিসেবেও এর স্বীকৃতি আছে।

বাংলাদেশ শিল্প ও বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থা (বিসিএসআইআর) বলছে, ভোজ্যতেলে যেসব খাদ্যগুণ থাকা উচিত, তা জলপাই তেলের পর সবচেয়ে বেশি রয়েছে রাইস ব্র্যান অয়েলে। এতে আছে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট।

তাছাড়া, এই তেল শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, নানা ধরনের রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, রোগ প্রতিরোধী শক্তিকে উন্নত করে ফ্রি-র‌্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।

কাঁচামাল পুরোটাই দেশি উপজাত

সয়াবিন, সরিষা, সূর্যমুখী ও পাম অয়েলসহ এখন পর্যন্ত যত রকমের ভোজ্যতেল ব্যবহার হচ্ছে, তার কোনোটির কাঁচামালেই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় বাংলাদেশ। ফলে চাহিদা অনুযায়ী ভোজ্যতেলের সরবরাহ সচল রাখতে এসব তেলের কাঁচামাল অথবা ক্রুড বিদেশ থেকে আনতে হয়। এর বিপরীতে রাইস ব্র্যান অয়েলের কাঁচামাল অভ্যন্তরীণ উৎস থেকেই পুরোপুরি জোগান পাওয়া যায়। দেশের ধানকলগুলোয় উপজাত হিসেবে এটি তৈরি হয়।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিইএ) গবেষণা প্রতিবেদন মতে, বর্তমানে অটো, সেমিঅটো ও সাধারণ রাইস মিলে ৪৭ লাখ ৪৮ হাজার টন চালের কুড়া উৎপাদন হচ্ছে। এর থেকে তেল পাওয়ার হার গড়ে ১৬ শতাংশ ধরলেও বছরে ৭ লাখ ৬৮ হাজার টন রাইস ব্র্যান অয়েল পাওয়ার কথা। অথচ দেশে সবকটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মিলে বছরে ৩ লাখ টন কুঁড়া ব্যবহার করছে, যা থেকে বছরে গড়ে তেল তৈরি হচ্ছে ৪৫ হাজার থেকে ৪৮ হাজার টন। এটাও পুরোপুরি বাজারজাত করা যাচ্ছে না চাহিদার অভাবে।

রাইস ব্র্যান অয়েলের দাম সয়াবিন ও পাম অয়েল থেকে কিছুটা বেশি। ছবি: নিউজবাংলা

ভোক্তার অভ্যাস নেই, দামও বেশি

কেন দেশে এ তেলের বাজার সম্প্রসারণ করা গেল না, এমন প্রশ্নের জবাবে মজুমদার ব্র্যান অয়েল মিলস লিমিটেডের পরিচালক অর্জুন মজুমদার নিউজবাংলাকে জানান, দেশে অনেক দিন ধরে মানুষ রান্নার কাজে সয়াবিনের তেল ব্যবহার করে আসছে। অভ্যাস বদল করে ভোক্তারা এখনও রাইস ব্র্যানে আসক্ত হতে পারেনি।

তিনি বলেন, ‘এর অন্যতম কারণ হচ্ছে রাইস ব্র্যানকে গ্রহণযোগ্যমাত্রায় পরিশোধন করলে তা দেখতে কালচে লাল বা অনেকটা সরিষার তেলের মতো দেখায়। অথচ ক্রেতারা চকচকে রঙের স্বচ্ছ তেল পছন্দ করেন। আবার রাইস ব্র্যানকে বেশি চকচকে করতে গেলে এর ন্যাচারাল পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। অনেকে অবশ্য চকচকে করেই বাজারে ছাড়ছে। তবে এ প্রক্রিয়ায় রাসায়নিক পদার্থ অতিমাত্রার ব্যবহারের কারণে উৎপাদন খরচও অনেক বেশি পড়ছে।

‘প্রতি লিটার উৎপাদনেই খরচ পড়ে যাচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা। এটা খুচরা বাজারে কোম্পানিভেদে ১৬০ টাকা বা এর বেশি দাঁড়ায়। একদিকে ক্রেতার অনাগ্রহ, অন্যদিকে বাড়তি দামের নেতিবাচক প্রভাবে সয়াবিনের বিকল্প হয়ে উঠতে পারেনি রাইস ব্র্যান। বরং এখনও ভোজ্যতেল হিসেবে সয়াবিন-পাম অয়েলের নিয়মিত ক্রেতা ৯৯ ভাগেরও বেশি।’

অর্জুন মজুমদার জানান, এই দেশে হরহরামেশাই বিদেশি পণ্য বিক্রি হয়। বিদেশি বলে দ্বিগুণ দামে কিনতেও ক্রেতার আপত্তি হয় না। যত আপত্তি এই রাইস ব্র্যানে। ক্রেতার দৈন্যতা, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা আর বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর সয়াবিন-পাম অয়েলের বাজারজাতে আগ্রাসী তৎপরতা এর জন্য দায়ী।

অয়েল মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. জাকিরুল ইসলাম ডলার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশে করোনা টিকা সম্পর্কে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে যেভাবে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা হয়েছে, রাইস ব্র্যানকে ঘরে ঘরে নিয়ে যেতে এমন একটা গণপ্রচারণার প্রয়োজন ছিল।

‘এ ক্ষেত্রে উৎপাদকেরা তো পারেননি বটেই, রাষ্ট্রীয়ভাবেও রাইস ব্র্যানকে সেভাবে ব্র্যান্ডিং করা সম্ভব হয়নি। ফলে আমরা ভোক্তার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারিনি। এর বহুবিধ উপকারিতা সম্পর্কেও তাদের জানান দিতে ব্যর্থ হয়েছি।’

ভোক্তা কম হওয়ায় দোকানগুলোতে রাইস ব্র্যান অয়েল খুব একটা পাওয়া যায় না। ছবি: নিউজবাংলা

দেশি বাজারের চেয়ে রপ্তানিতে ঝোঁক

কেবিসি অ্যাগ্রো প্রোডাক্ট (প্রা.) লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক তাপস চন্দ্র দেবনাথ নিউজবাংলাকে জানান, দেশে ভোক্তারা এ তেল খেতে চায় না। চাহিদা কম। প্রতিযোগিতা বেশি। দামও বেশি।

তিনি বলেন, এসব কারণে প্রতিযোগিতায় রাইস ব্র্যানের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। ধাক্কা সামলাতে না পেরে ইতিমধ্যে কেবিসি এবং যমুনা অ্যাগ্রো প্রোডাক্ট লিমিটেড, আল নূর অয়েলসহ বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান এ তেল উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। এর পরিবর্তে কেউ কেউ রাইস ব্র্যানের ক্রুড অয়েল বিদেশে রপ্তানি করছেন। এসব কারণে দেশের বাজারে রাইস ব্র্যানের সরবরাহ কমে গেছে।

রাইস ব্র্যান অয়েলের কাঁচামাল চালের কুঁড়া আসে দেশের চালকলগুলো থেকে।

তাপস চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ চালের কুঁড়া পাওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে কুঁড়ার সরবরাহ সেভাবে মিলছে না। চাহিদা অনুযায়ী কুঁড়া সব সময় না পাওয়া এবং স্থানীয়ভাবে কুঁড়ার দাম বেশি হওয়ার কারণেও উৎপাদন পর্যায়ে দাম বেশি পড়ছে। তবে দেশে এর বাজার বড় না হলেও বিদেশে চাহিদা প্রচুর। আমরা এখন রপ্তানি বাজারটাকে ধরার চেষ্টা করছি। সে ভরসাতেই উৎপাদকরা এখন রপ্তানিতে মনোযোগী হতে শুরু করেছে। তবে এর জন্য সরকারের নীতিগত সহায়তা দরকার।’

ভোজ্যতেল আমদানিতে ১৬ হাজার কোটি টাকা

দেশে ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা ১৯-২০ লাখ টন। এ চাহিদার বিপরীতে তেলজাতীয় শস্য উৎপাদন হচ্ছে ১০ লাখ টন, যা থেকে ভোজ্যতেল পাওয়া যাচ্ছে ৪ থেকে ৫ লাখ টন। অর্থাৎ চাহিদার ৯২ শতাংশই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।

ভোজ্যতেল আমদানিতে প্রতিবছর দেশের খরচ হয় ১৫ থেকে ১৬ হাজার কোটি টাকা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ইকোনমিক রিভিউয়ে বলা হয়েছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ভোজ্যতেল আমদানিতে দেশের ব্যয় হয়েছে ১১৬ কোটি ১০ লাখ ডলার। আগের ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ১৮৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি।

সংশ্লিষ্টদের দাবি, রাইস ব্র্যানের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো গেলে এ চাহিদার অন্তত ৫০ ভাগ দেশীয় উৎস থেকে পূরণ করা যেত। এতে আমদানিতে বেঁচে যেত বৈদেশিক মুদ্রা।

রাইস ব্র্যানের সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গবেষণা হয়েছে। লক্ষ্যের পথে হাঁটতে একটি প্রকল্পও হাতে নেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (গবেষণা) প্রধান করে ছয় সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে খাতটির উন্নয়নে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার কথা। কিন্তু সময় গড়ালেও কাজের কাজ কিছু হয়নি।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশের কাছে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি এ সম্পর্কে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

এদিকে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ভোজ্যতেলের আমদানি ব্যয় কমাতে ২৭৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। তেলজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ এবং উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে স্থানীয় চাহিদা পূরণ ও আমদানি ব্যয় কমানোই এর মূল উদ্দেশ্য।

এই প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদন সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের লক্ষ্যে এ প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। যা বাস্তবায়িত হলে বাজারে ভোজ্যতেলের সিন্ডিকেট বলতে আমরা যা শুনি তার আধিপত্য কমাবে। এতে বাজার স্থিতিশীলতা বজায় থাকার পাশাপাশি দামও ক্রেতার সীমার মধ্যে থাকবে।’

কিন্তু সরকারের এই উদ্যোগেও দেখা মিলেনি রাইস ব্র্যানের বাজার সম্প্রসারণের কার্যকরী পরিকল্পনা।

বাজারে রয়েছে নানা ব্র্যান্ডের রাইস ব্র্যান অয়েল। ছবি: নিউজবাংলা

বাজারে যেসব ব্র্যান্ড

পাবনার ঈশ্বরদীতে ২০১১ সালে রশিদ অয়েল মিলস লিমিটেড ‘হোয়াইট গোল্ড’ নামে ধানের কুঁড়ার তেল উৎপাদন শুরু করে। প্রায় একই সময়ে উৎপাদনে আসে ময়মনসিংহে অ্যামারেল অয়েল ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের ‘স্পন্দন’। এছাড়া বগুড়ার মজুমদার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ‘স্বর্ণা’, কেবিসি অ্যাগ্রোর ‘হেলথ কেয়ার’, রশিদ অয়েল মিলস লিমিটেডের ‘হোয়াইট গোল্ড’, ফিড ইন্ডাস্ট্রিজের ‘বাসমতি’, আলি ন্যাচারাল অয়েলের ‘কল্যাণী’, মজুমদার ব্র্যান অয়েল মিলস লিমিটেডের ‘পিওর গোল্ড’, আল নূর অয়েলের ‘আল নূর’, ওয়েস্টার অ্যাগ্রোর ‘ব্রানোলা’, যমুনা অ্যাগ্রোর ‘সেরা’, এসিআই কোম্পানির ‘নিউট্রিলাইফ’, বাংলাদেশ এডিবল অয়েলের ‘ফরচুন’সহ আরও কয়েকটি রাইস ব্র্যান অয়েল বাজারে রয়েছে।

এছাড়া অ্যাগ্রোটেক ইন্টারন্যাশনাল, তামিম অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, আব্দুল মোনেম, রায় হার্ট অয়েল লিমিটেড, প্রধান অয়েল মিলস লিমিটেড উৎপাদনে এসেছে। তবে এখন সুপারশপগুলোয় দু-তিনটি ব্র্যান্ড ছাড়া বেশির ভাগ ব্র্যান্ডের উপস্থিতি চোখে পড়ে না বললেই চলে।

এ বিভাগের আরো খবর