বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জালিয়াতের ‘রাজা’ ফারুক, হতবাক দেড় হাজার তিতাস গ্রাহক

  •    
  • ৩১ জানুয়ারি, ২০২১ ২২:০৯

মিরপুরে উমর ফারুকের কাছে প্রায় দেড় হাজার গ্রাহকের জমা দেয়া বিলের টাকা জমা হয়নি তিতাসে। একেকজনের বকেয়া পড়েছে দেড় থেকে দুই বছরের বিল। আনুমানিক হিসেবে এই সময়ে ১০ কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছেন ফারুক।

রাজধানীর মিরপুর-২ এর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে তিন বছর আগে ‘ইন্টার্ন ব্যাংকিং এন্ড কমার্স’ নামে শুরু হয় একটি এজেন্ট ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের যাত্রা। সামনে সিটি ব্যাংক ও কন্টিনেন্টাল কুরিয়ারের এজেন্টশিপের সাইনবোর্ড। সেই সঙ্গে বিকাশ ও রকেটের ডিজিটাল সার্ভিস পয়েন্টের ব্যানারও ঝোলানো।

২০১৮ সালে এই প্রতিষ্ঠান চালু করেন মো. উমর ফারুক, যার পৈত্রিক ঠিকানা নোয়াখালীর কবিরহাট। ধীরে ধীরে এলাকায় পরিচিত হয়ে ওঠে ‘ইন্টার্ন ব্যাংকিং এন্ড কমার্স’। এলাকার প্রায় দেড় হাজার গ্রাহক নিয়মিত গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের বিল দিতেন ফারুকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। বিল নেয়ার সময় মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সিলসহ সংশ্লিষ্ট বিলের রশিদ সরবরাহ করতেন ফারুক।

তবে গত ২৩ জানুয়ারি থেকে উধাও উমর ফারুক। এলাকায় তার প্রতিষ্ঠানের তিনটি দোকানের প্রতিটিতেই ঝুলছে তালা। এর পরপরই এলাকায় তিতাস কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে জানায়, বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের গ্যাসের বিল দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া। এ কারণে শুরু হচ্ছে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযান।

এরপরেই বেরিয়ে আসে উমর ফারুকের ভয়ঙ্কর প্রতারণার তথ্য। তার কাছে প্রায় দেড় হাজার গ্রাহকের জমা দেয়া বিল জমা হয়নি তিতাসে। একেকজনের বকেয়া পড়েছে দেড় থেকে দুই বছরের বিল। আনুমানিক হিসেবে এই সময়ে ১০ কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছেন ফারুক।

উমর ফারুকের প্রতিষ্ঠানের সামনে ভিড় করেছেন এলাকাবাসী। ছবি: নিউজবাংলা

দিশেহারা গ্রাহকদের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে মিরপুর-২ মডেল থানায়। তিতাস কর্তৃপক্ষ বলছে, উমর ফারুকের সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। মার্কেন্টাইল ব্যাংকও বলছে, তাদের নাম ব্যবহার করে জালিয়াতি করা হয়েছে। আর বিকাশ কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে ব্যবহার করা ফোন নম্বরটি কোনো অনুমোদিত এজেন্টের নম্বর নয়।

কীভাবে এল ইন্টার্ন ব্যাংকিং এন্ড কমার্স

মিরপুর-২ এর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে উমর ফারুক কীভাবে ব্যবসা শুরু করলেন, তা জানতে রোববার দিনভর এলাকায় অনুসন্ধান করেছে নিউজবাংলা। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা জানান, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বারেক মোল্লার মোড় এলাকায় প্রতিষ্ঠানটি চালু করেন ফারুক। তবে এর আগে ওই এলাকার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে তার একটি ছোট দোকান ছিল। সেখানে তিনি সীমিত পরিসরে বিকাশ এজেন্টের ব্যবসা শুরু করেন।

ভুক্তভোগীরা জানান, ফারুক ২০১৮ সালের আগে যে ভবনের নিচতলায় ছোট একটি দোকান ভাড়া নিয়েছিলেন, সেই ভবনের মালিকের বউকে বিয়ে করেন তিনি।

১২ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব আহম্মদপুরের ওই বাসার ঠিকানায় গিয়ে জানা যায়, ভবনের তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে ফারুকের পরিবার থাকে। সেখানে গেলে এক তরুণ নিউজবাংলাকে জানান, উমর ফারুক তার সৎ বাবা। তার বাবা মারা যাওয়ার পর মাকে বিয়ে করেন ফারুক। এরপর থেকে ফারুক ও তার স্ত্রী এই ভবনে থাকেন না।

তারা কোথায় থাকেন জানতে চাইলে ওই তরুণ দাবি করেন, দুজনের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না থাকায় এ বাড়ির কেউ তাদের ঠিকানা জানেন না।

উমর ফারুকের স্থায়ী ঠিকানার তথ্য পেয়েছে নিউজবাংলা। এতে দেখা গেছে, তার বাড়ি নোয়াখালীর কবিরহাটের চাপরাশির হাটে।

ইন্টার্ন ব্যাংকিং এন্ড কমার্স-এর ওয়েবসাইটে ঢুকে যোগাযোগের একটি ফোন নম্বর পাওয়া যায়। সেখানে কল করা হলে জাকির হোসেন নামে একজন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি গত সেপ্টেম্বর থেকে এই জানুয়ারির ১০ তারিখ পর্যন্ত ইন্টার্ন ব্যাংকিং এন্ড কমার্স এ চাকরি করেছি। বেতন না পাওয়ায় চাকরি ছেড়ে দেই। তবে ইন্টার্ন ব্যাংকিং এন্ড কমার্স এখনও আমার নম্বরটা ব্যবহার করছে।’

জাকির দাবি করেন, বকেয়া বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের কার্যকলাপ তার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়েছিল। তিনি জানান, শ্যামলীর ২ নং রোডে হাবিবি মসজিদের পাশে ফারুকের একটি অফিস আছে। সেখান থেকে বিল পরিশোধ সংক্রান্ত বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ হতো।

জাকিরের দেয়া ঠিকানা অনুযায়ী, শ্যামলীর ২ নম্বর সড়কে গিয়ে নিউজবাংলা জানতে পারে, সেখানকার ৩৫/এফ ৬/এ ভবনের আট তলার একটি ফ্ল্যাটে স্ত্রী ও আট বছরের এক সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন উমর ফারুক। তবে সেখানে তার কোনো অফিস নেই।

ভবনের ব্যবস্থাপক সুলতান আহমেদ নিউজবাংলাকে জানান, তারাও ফারুকের প্রতারণার কবলে পড়েছেন।

তিনি বলেন, ‘পুরো ভবনের বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের বিল পরিশোধ করা হতো ফারুক সাহেবের মাধ্যমে। নিজেদের নতুন ফ্ল্যাটে উঠবেন জানিয়ে তিনি তাড়াহুড়া করে ১৫ জানুয়ারি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে যান। এর পরদিনই আমরা জানতে পারি, বিল্ডিংয়ে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের তিন মাসে আড়াই লাখ টাকার বিল বকেয়া আছে।’

সুলতান আহমেদ জানান, এরপর তারা জরিমানাসহ দুই মাসের জন্য প্রায় দুই লাখ টাকা বিল পরিশোধ করেছেন। বাকি টাকা সামনের মাসে পরিশোধ করা হবে।

ভুক্তভোগীরা কী বলছেন

মিরপুর-২ এর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে উমর ফারুকের প্রতিষ্ঠানের সামনে রোববার বিল পরিশোধের কপি নিয়ে ভিড় করেন অসংখ্য গ্রাহক। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, পাশাপাশি তিনটি দোকান নিয়ে চলছিল ইন্টার্ন ব্যাংকিং এন্ড কমার্স। প্রতিটি দোকানই এখন তালাবদ্ধ।

যার কাছ থেকে দোকান ভাড়া নেয়া হয়েছে সেই মোহাম্মদ করীম নিউজবাংলাকে জানান, জানুয়ারি মাসের ভাড়া পরিশোধ না করেই হঠাৎ উধাও হয়েছেন উমর ফারুক।

ভুক্তভোগী অন্তত ১৫ জন তিতাস গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা। তারা জানান, বিদ্যুৎ বা পানির বিলের ক্ষেত্রে ফারুক কোনো অনিয়ম করেননি, কারণ এ দুটি ক্ষেত্রে অপরিশোধিত বিলের হিসাব পরের মাসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গ্রাহকের হাতে পৌঁছায়। এ কারণে শুধু তিতাসের গ্যাসের বিলের ক্ষেত্রেই জালিয়াতি করেছেন ফারুক।

মো. সুমন নামের এক গ্রাহক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি গত ১১ মাস ধরে এখানে নিয়মিত গ্যাসের বিল দিয়েছি। টাকা দেয়ার পর বিলের কপিতে মাইক্যাশ এজেন্টের সিল এবং পরে ইন্টার্ন ব্যাংকিং এন্ড কমার্সের সিল ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের সিল দেয়া হতো। ১১ মাসে এভাবে আমার জমা দেয়া টাকার পরিমাণ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।’

হৃদয় কাজী নামে আরেকজন গ্রাহকের গ্যাসের বিল বাকি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইন্টার্ন ব্যাংকিং এন্ড কমার্স এলাকায় প্রচার করেছিল তাদের মাধ্যমে সহজে বিল দেয়া যাবে। এই বিল জমা দেয়ার পর আমাদের রশিদে ব্যাংকের সিল দেয়া হতো।’

ফারুকের সঙ্গে তিতাসের যোগসাজস আছে অভিযোগ করে হৃদয় বলেন, ‘এতদিন ধরে বিল জমা দিই, সেটা যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ না পায় তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে নোটিশ দিত বা লাইন বিচ্ছিন্ন করত। তারা কিন্তু সেটা করেনি, বরং যেদিন থেকে ফারুক উধাও হয়ে গেছে তার পর থেকেই তিতাস লাইন বিচ্ছিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে।’

কামরুন নাহার নামে আরেকজন গ্রাহকের বিল বাকি পড়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। তিনি গত ১৫ মাস ধরে ইন্টার্ন ব্যাংকিং এন্ড কমার্সের মাধ্যমে বিল জমা দিয়েছেন। কামরুনের ক্ষোভও তিতাসের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘আজ যখন টাকা নিয়ে ভেগে গিয়েছে তখন তিতাস জানাচ্ছে যে, আমাদের বিল জমা হয়নি।’

এলাকার হাজী মো. আবু তায়েব নিউজবাংলাকে জানান, তার বকেয়া বিলের পরিমাণ ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। তিনি বলেন, ‘এখানে মূলত বিভিন্ন ভবনের মালিকেরা বিল জমা দিতেন। পানি ও বিদ্যুতের বিল এক মাস জমা দেয়া না হলে নোটিশ দেয়া হয়, তাই এই দুটি বিল ঠিকঠাক দিয়েছে ফারুক। তবে গ্যাসের বিলের জন্য সহজে নোটিশ দেয়া হয় না, তাই আমাদের এত দিনের বিল জমা না হওয়ার পরেও আমরা কোনো নোটিশ পাইনি।’

এলাকাবাসীর কয়েকজনের অভিযোগ, উমর ফারুককে দোকান ভাড়া নিতে সহায়তা করেন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি। তার বাসাও ওই এলাকায়।

তবে এই অভিযোগের জবাবে রনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি তাকে (ফারুক) ভালোভাবে চিনি না। অনেক আগে উমর ফারুকের একটা দোকান ছিল আমার বাসার এখানে। সেখানে ফটোকপি আর প্রিন্টের কাজ করাতাম আমি। এরপর শুনি একটা ঝামেলার কারণে ওকে ওখান থেকে বের করে দেয়া হয়। তখন পুলিশও এসেছিল।

‘ফারুক যে বাসায় থাকত, সেখানে এক মহিলাকে বোন বলে পরিচয় দিত। পরে শুনেছি তাকে সে বিয়ে করেছে, কিন্তু তাদের ডিটেইলস আমি জানি না।’

সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, ‘গ্রাহকের টাকা নিয়ে ফারুক ভেগে যাবে এমন আমি কখনও ভাবিনি। আমি জানতাম, তার শুধু ফটোকপি আর বিকাশের দোকান আছে। কয়েক বছর আগে যখন তাকে ওখান থেকে বের করে দেয়া হয়, তারপর অনেকদিন তাকে এলাকায় দেখা যায়নি। এরপর তাকে আবার ওই দোকানসহ দেখা যায়।’

ফারুকের দোকান ভাড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে তার এমন কোনো পরিচয় নেই। যিনি ভাড়া দিয়েছেন, তিনি বলতে পারবেন কেন তাকে ভাড়া দিয়েছেন।’

যা বলছে কর্তৃপক্ষ

মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করেছে নিউজবাংলা। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, উমর ফারুক বা ইন্টার্ন ব্যাংকিং এন্ড কমার্স নামে তাদের কোনো এজেন্ট নেই। অন্যদিকে, সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।

ইন্টার্ন ব্যাংকিং এন্ড কমার্সের দোকানের ব্যানারে ব্যবহৃত ০১৮৩৫০১০১০১ ফোন নম্বরটি কোনো বিকাশ এজেন্টের নামে নিবন্ধিত নয়। এই নম্বরে একাধিকবার ফোন করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিয়ে তিতাসের মিরপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের কেউ বিস্তারিত কথা বলতে রাজি হননি। কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. রবিউল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি গত ২১ জানুয়ারি এই শাখায় যোগদান করেছি। আজই প্রথম ইন্টার্ন ব্যাংকিং এন্ড কমার্সের নাম শুনলাম। এর আগে যিনি আমার পদে ছিলেন তাকে বদলি করা হয়েছে।’

এই ভবনের মালিকের মেয়েকে বিয়ে করেন উমর ফারুক

কতদিনের বিল না পেলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তিন মাস বকেয়া পড়লেই নোটিশ পাঠানো হয়। তবে মাঝে মাঝে টাকার অংকের উপর বিষয়টি নির্ভর করে।’

বিষয়টি নিয়ে কার্যালয়ের রাজস্ব বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন মোল্লার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন রবিউল ইসলাম।

তবে রাজস্ব বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন মোল্লাও বলেন, ‘আমি গত ২৭ জানুয়ারি এই জোনে যোগদান করেছি। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’

ওই কার্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, ফারুকের প্রতারণার বিষয়ে তাদের কাছে সম্প্রতি কিছু অভিযোগ এসেছে, তবে এর আগে তারা ইন্টার্ন ব্যাংকিং এন্ড কমার্স নামে কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম শোনেননি।

দুই থেকে দেড় বছরের বকেয়া বিলের পরেও তিতাস এর আগে কেন গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের উদ্যোগ নেয়নি- তেমন প্রশ্নের কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি ওই কার্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর