শীতের শুরুতেই খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু-কর্নার ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে বেড়েছে করোনা রোগীর সংখ্যা। শুধু সিলিন্ডার অক্সিজেন দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে চলছে এসব রোগীর চিকিৎসা।
করোনা রোগীদের নিরবিচ্ছিন্ন ও উচ্চমাত্রায় অক্সিজেন সরবরাহের জন্য সরকার সারাদেশে জরুরি ভিত্তিতে লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নিলেও খুলনা মেডিক্যালে এখনও তা বসেনি।
ভেন্টিলেটর চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় কমপ্রেসড এয়ার মেশিনও এখানে নেই। সিলিন্ডার অক্সিজেন দিয়ে কোনোরকমে চালানো হচ্ছে ভেন্টিলেটর। এতে কাঙ্ক্ষিত সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু-কর্নার ও আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে জানা যায়, গত কয়েক দিন থেকে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত সপ্তাহে ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা কম থাকলেও এখন প্রতিদিন বাড়ছে।
চিকিৎসকরাও জানান, শীতের শুরুতেই ফ্লু-কর্নারে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
খুলনার দীঘলিয়া থেকে আসা বাবু নামের এক জন জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া তার বাবার শ্বাসকষ্ট রয়েছে। হাসপাতালে আসার পর অক্সিজেন দেয়ার পর এখন কিছুটা ভালো।
সাতক্ষীরা কলারোয়া থেকে আসা ফাহিম নামের আরেকজন জানান, তার নানীর করোনা পজেটিভ হওয়ায় ফ্লু-কর্নারে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাকে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে।
ফ্লু-কর্নারের দায়িত্বে থাকা মো. জুম্মান বলেন, ‘আমাদের এখানে সিলিন্ডারের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত অক্সিজেন মজুদ আছে।’
তবে ফ্লু-কর্নারের দায়িত্বে থাকা খুলনা মেডিক্যাল কলেজের আরএমও মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের অক্সিজেন সংকট আছে। লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট খুলনা মেডিক্যালে এখনও বসেনি। এটি আমরা জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্থাপন করতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ভেন্টিলেটর চালানোর জন্য দরকার কমপ্রেসড এয়ার মেশিন, সেটিও আমাদের নাই। বর্তমানে ভেন্টিলেটর চালানো হচ্ছে সিলিন্ডার অক্সিজেনের মাধ্যমে। কমপ্রেসড এয়ার মেশিন স্থাপনের জন্য ইতিমধ্যেই মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।’
লিক্যুইড অক্সিজেন প্লান্ট ও কমপ্রেসড এয়ার মেশিন না থাকায় পর্যাপ্ত হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা থাকলেও তা সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে না বলেও জানান ডা. মিজানুর।
শীতের শুরুতে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে বলে স্বীকার করলেও ডা. মিজানুর বলেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে যে সব রোগি ফ্লু-কর্নারে আসছে, তাদের সংখ্যা বাড়লেও করোনা পজেটিভের সংখ্যা খুব বেশি বাড়েনি।