বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আরমান যেন আরেক জাহালম

  •    
  • ৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ২৩:৪১

২০০৫ সালে আটকের সময় শাহাবুদ্দিনের বয়স ছিল ৩২ বছর। সে অনুযায়ী ২০১৬ সালে তার বয়স হবে ৪৩ বছর। তার পরিবর্তে ২০১৬ সালে গ্রেফতার আরমানের বয়স ছিল ৩৬ বছর।

৬০ বছরের বৃদ্ধা বানু খাতুন। রাজধানীর পল্লবীর বিহারি ক্যাম্পের ছোট্ট একটা ঘরে ছেলের বউ আর নাতি-নাতনি নিয়ে বসবাস তার। এই বয়সেও সংসার চালাতে ছেলের বউয়ের পাশাপাশি নিজেও মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

বছর চারেক আগেও এমন বাজে অবস্থা ছিল না বানু খাতুনের। ছেলে বেনারসি কারিগর মো. আরমানই যথেষ্ট ছিল তার সংসারের জন্য। তখন বানু খাতুনের সময় কাটতো নাতনিকে নিয়ে। ছেলের বউ ব্যস্ত থাকতেন সংসার নিয়ে।

২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি সকালে হঠাৎ বিহারি ক্যাম্পে শুরু হয় মাদকবিরোধী অভিযান। আরমান নাস্তা খেয়ে ঘর থেকে বেরুতেই পল্লবী থানার এসআই রাসেল তাকে আটক করেন।

‘আমার অপরাধ কী?’ - আরমানের এমন প্রশ্নে মা-স্ত্রী-সন্তানের সামনেই তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে নিয়ে যান এস আই রাসেল। আরমানের স্ত্রী তখন দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ অবস্থায় শাশুড়িকে নিয়ে স্বামীর খোঁজে টানা দুই দিন পল্লবী থানায় বসে ছিলেন তিনি। কিন্তু কোনো খবর পাচ্ছিলেন না।

তদের এমন অবস্থা দেখে এক পুলিশ তথ্য দেন আরমান ঢাকা মেডিকেলে আছেন। হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, গুরুতর জখমে কাতরাচ্ছেন হাতকড়া লাগানো আরমান। তখনই তারা জানতে পারেন আরমানকে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এরপর খোঁজ নিয়ে তারা জানতে পারেন, পল্লবী থানার ২০০৫ সালের এক মামলায় ১০ বছরের সাজা পরোয়ানায় গ্রেফতার করা হয়েছে আরমানকে।

এ খবর ছিল স্বামীহারা বানু খাতুনের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো।

এর কিছুদিন পর অসুস্থ্ অবস্থাতেই আরমানকে পাঠানো হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। তার কয়েক দিন পর আরমানের জায়গা হয় কাশিমপুর কারাগারের ৪ নম্বর ভবনে; কয়েদি নম্বর হয় ৩৮৪৮।

মামলার নথি ঘেঁটে দেখা যায়, ২০০৫ সালে মোহম্মদপুর থানার বিস্ফোরক আইনের এক মামলায় ককটেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

আরমানের মেয়ে, স্ত্রী, ছেলে ও মা। ছবি: নিউজবাংলা।

 

আসামিদের তথ্যে তাদের সহযোগীদের ধরতে ডিবির এসআই নূরে আলম সিদ্দিকী পল্লবীর বিহারী ক্যাম্পের এক বাসায় অভিযান চালায়। অভিযানে ৪০ বোতল ফেনসিডিলসহ শাহাবুদ্দিন বিহারী ও তার দুই সহযোগী আটক হয়।

এ ঘটনায় পল্লবী থানায় মামলা হয় মাদক আইনে। ২০০৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর শাহাবুদ্দিনসহ গ্রেফতার তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। ২০০৭ সালের ৫ মার্চ জামিনে মুক্ত হন শাহাবুদ্দিন।

২০১১ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করে আবার জামিন আবেদন করেন তিনি। এতে জামিন মেলে তার। এরপর ফেরারী হয়ে যান শাহাবুদ্দিন; দুই সহযোগী থেকে যান কারাগারে।

২০১২ সালের ১ অক্টোবর মামলায় শাহাবুদ্দিন ও তার দুই সহযোগীর প্রত্যেককে ১০ বছরের জেল ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা হয়।

রায় অনুযায়ী পলাতক শাহাবুদ্দিনকে ধরতে জারি হয় পরোয়ানা। এর ৪ বছর পর সেই পরোয়ানায় পল্লবী থানার এসআই রাসেল গ্রেফতার করেন বিহারী ক্যাম্পের বেনারসি কারিগর আরমানকে।

এ ঘটনা কোনোভাবেই বিশ্বাস হচ্ছিল না আরমানের মা বানু খাতুন ও তার স্ত্রী মোছাম্মত বানুর।

ছেলেকে ছাড়াতে আইজীবীর মাধ্যমে সাধ্যমতো চেষ্টা শুরু করেন বানু খাতুন। তখনই শুরু হয় মূল আসামি শাহাবুদ্দিন বিহারীর হুমকি-ধামকি। কখনও টেলিফোনে, কখনও বাসায় লোক পাঠিয়ে শাহাবুদ্দিন বিহারী আরমানের মা-স্ত্রীকে শাসাতে থাকেন। বলেন, এ নিয়ে ‘বাড়াবাড়ি’ না করতে; করলে সাজা বাড়বে।

একবার শাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী কাশিমপুর কারাগারে গিয়ে দেখা করেন আরমানের সঙ্গে। তারা তাকে বলেন, মুক্তি পেতে চাইলে মুখ খোলা যাবে না।

মামলার নথি ঘেঁটে আরও দেখা যায়, ২০০৫ সালের ৮ আগস্ট শাহাবুদ্দিনকে আটক করেন ডিবির এসআই নূরে আলম সিদ্দীকী। প্রাথমিক বিবরণীতে তিনি শাহাবু্দ্দিন বিহারীর যে নাম-ঠিকানা উল্লেখ করেন তার সবই সঠিক ছিল; শুধু বাবার নাম ছিল ভুল। আরমানের প্রয়াত বাবা ইয়াসিনের নাম ব্যবহার করা হয় শাহাবুদ্দিনের বাবা হিসেবে।

পরে মামলা তদন্তের ভার পান ডিবির আরেক এসআই সিরাজুল ইসলাম খান। দুই দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের নাম-ঠিকানা যাচাই প্রয়োজন বলে তাদের হাজতে রাখার আবেদন করেন আদালতে।

এরপর ‘রহস্যজনক কারণে’ অভিযোগপত্রে অন্যদের নাম-ঠিকানা অপরিবর্তিত থাকলেও শাহাবুদ্দিন বিহারির নামের পাশে যুক্ত হয় ‘ওরফে আরমান’ কথাটি।

সিরাজুল ইসলাম খানের এই অভিযোগপত্রে শাহাবুদ্দিন বিহারি ওরফে আরমানের (৩২ বছর) বাবার নাম বলা হয় প্রয়াত ইয়াসিন ওরফে মহিউদ্দিন।

নিউজবাংলার অনুসন্ধানে জানা গেছে, শাহাবুদ্দিন বিহারীর বাবার আসল নাম মহিউদ্দিন বিহারি। আর প্রয়াত ইয়াসিন আসলে আরমানের বাবা।

সিরাজুল ইসলাম এখন পুলিশ সদরদপ্তরে কর্মরত। এটা কি নিছক ভুল, না সচেতনভাবেই করেছেন- জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে আগ্রহী নন বলে এই প্রতিবেদকের ফোন কেটে দেন তিনি।

২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি শাহাবুদ্দিনের পরিবর্তে আরমানকে আটক করেছিলেন পল্লবী থানার এসআই রাসেল।

এর কারণ জানতে চাইলে নিউজবাংলাকে টেলিফোনে এসআই রাসেল বলেন, ‘ভুল আসামি ধরা হলে তার দায় তদন্ত কর্মকর্তার। কারণ আমি ওয়ারেন্টের নাম-পরিচয় মিলিয়ে আসামি চালান দেই।’

নিউজবাংলার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আসামি গ্রেফতারের আগে ওয়ারেন্ট যথাযথভাবে যাচাই করতে আদালতের নির্দেশ থাকলেও এসআই রাসেল তা পালন করেননি।

কারণ একই এলাকা হলেও শাহাবুদ্দিন ও আরমানের ঠিকানা ভিন্ন। শাহাবুদ্দিনের ঠিকানা সেকশন ১১, ব্লক বি, ওয়াপদা বিল্ডিং, বিহারি ক্যাম্প, পল্লবী, ঢাকা। আরমানের ঠিকানা ১০ নং সেকশনের এ ব্লকের হাটস্ ১৩ নম্বর বাড়ি।

২০০৫ সালে আটকের সময় শাহাবুদ্দিনের বয়স ছিল ৩২ বছর। সে অনুযায়ী ২০১৬ সালে তার বয়স হবে ৪৩ বছর। তার পরিবর্তে গ্রেফতার আরমানের বয়স ছিল ৩৬ বছর। এছাড়া আরমান নিরক্ষর। তাই জাতীয় পরিচয়পত্রে টিপ সই ব্যবহার করেছেন। আর শাহাবুদ্দিন তার ওকালতনামায় নিজে স্বাক্ষর করে জামিন আবেদন করেন।

এইসব অমিল আমলে নেননি এসআই রাসেল।

আরমান নিরক্ষর। ভোটার আইডিতে তার আঙ্গুলের ছাপ। শাহাবুদ্দিন ওকালতনামায় নিজে স্বাক্ষর করেন।

 

শাহাবুদ্দিনের হয়ে কাজ করা আরেক মাদক কারবারী আলাউদ্দিনের দাবি, পল্লবী থানার তৎকালীন এসআই রাসেলসহ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই চলতো তাদের কারবার।

২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে শাহাবুদ্দিন বিহারির সঙ্গে কয়েকদফা টেলিফোনে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তখন তিনি অকপটে স্বীকার করেন, মামলার মূল আসামি তিনিই। তার বদলে জেল খাটছেন আরমান।

আরমানকে ছাড়া পেতে হলে তো আপনাকে আত্মসমর্পণ করত হবে- এই প্রতিবেদকের এমন বক্তব্যে শাহাবুদ্দিন বলেছিলেন, ‘লাগলে হাম করবে সারেন্ডার, কোই বাত নাহি।’ কবে করবেন জানতে চাইলে বলেছিলেন, ‘এক মাস বাদ ঈদ আছে না, ঈদের বাদ সারেন্ডার হোঙ্গে।’

এরপর শাহাবুদ্দিন সম্পর্কে খবর নিয়ে জানা যায়, বিহারি ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক কারবারি তিনি। নির্দোষ আরমান তার নামে জেল খাটছেন। আর তিনি পল্লবী ও মোহম্মদপুরের বিহারি ক্যাম্প এলাকা জুড়ে বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছেন তার মাদক কারবার।

আগে শাহাবুদ্দিন পরিবার নিয়ে পল্লবীর বিহারি ক্যাম্প এলাকায় থাকলেও ফেরারী হওয়ার পর সাভারে জায়গা কিনে বাড়ি বানিয়ে থাকতে শুরু করেছেন।

সেখানে গিয়ে শাহাবুদ্দিনের খোঁজ নিতেই বেরিয়ে আসেন তার ছেলে সাহেদ। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ক্ষেপে যান তিনি। বলেন, ‘আপনারা কেন আসছেন, ঠিকানা কে দিল? আমার বাবা জেলে, আমাদের বিরক্ত করবেন না।’

আপনার বাবার বদলে জেলে খাটছে তো আরেকজন- প্রতিবেদকের এমন তথ্যে বাইরে আসেন শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী মরজিনা।

প্রথমে শাহাবুদ্দিনের বিষয়ে কিছুই জানেন না বললেও আস্তে আস্তে মুখ খোলেন তিনি। বলেন, ‘আমার স্বামীর নাম আরমান নয় শাহাবুদ্দিন বিহারী। মামলার পর দারোগারাই এমন করছে।’

কোন কোন দারোগা নাম বদলেছে জানতে চাইলে মরজিনা বলেন, ‘জানি না।’

শাহাবুদ্দিন কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সে পলায়-পলায় থাকে, কোথায় থাকে জানি না, মেলা দিন দেখা হয় না।’ তবে প্রতিবেশীরা জানান, তিনি স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গেই থাকেন।

মামলার এজাহারে পল্লবীর বিহারী ক্যাম্পে শাহাবুদ্দিনের যে ঠিকানা উল্লেখ আছে, সেখানে গিয়ে কথা হয় তার আপন ভাই মানিক ও বোন পারভিনের সঙ্গে।

তারা বলেন, তাদের ভাইয়ের নাম আরমান নয় শাহাবুদ্দিন বিহারী। তাদের পিতা মৃত মহিউদ্দিন বিহারী। আরমানের ছবি দেখালে মানিক জানান, সেটা তার ভাই শাহাবুদ্দিনের ছবি নয়।

ফেরারী হওয়ার আগে আদালত শাহাবুদ্দিনকে এই মানিকের জিম্মাতেই জামিন দিয়েছিল। তিনি জানান, মামলার তদন্তের সময় তার ভাইয়ের নাম-ঠিকানায় গরমিল করা হয়। তবে কারণ জানা নেই তার। 

শাহাবুদ্দিনের মাদক কারবার অনুসন্ধানে জানা যায়, তার সিন্ডিকেট নদীপথে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে আসে। এরপর তা মিরপুর পল্লবীর ও মোহম্মদপুরের বিহারি ক্যাম্প ঘুরে খুচরা কারবারিদের মাধ্যমে চলে যায় মাদকসেবীদের হাতে।

পল্লবীর বিহারি ক্যাম্প এলাকায় মাদকের চালান নিয়ন্ত্রণ করেন শাহাবুদ্দিনের আপন ছোট ভাই মানিক। আর মোহম্মদপুরের ক্যাম্পে যারা শাহাবুদ্দিনের হয়ে কাজ করেন, তাদের অন্যতম সাজ্জাদ।

শাহাবুদ্দিন বিহারি। ছবিটি তিনি গ্রেফতার হওয়ার আগে তোলা। 

 

অনুসন্ধানে প্রতিবেদকের হাতে আসে সাজ্জাদ ও শাহাবুদ্দিনের কথোপকথনের একটি ফোনালাপ। সেখানে তার রমরমা মাদক কারবারের প্রমাণ রয়েছে।

এই ঘটনায় ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে আরমানকে মুক্ত করতে হাইকোর্টে রিট করে ল’ এন্ড লাইফ ফাউন্ডেশন। এর ধারাবাহিকতায় বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন দাখিল করতে পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয় আদালত। নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশি তদন্তেও নির্দোষ প্রমাণিত হন আরমান।

ল’ এন্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে আরমানের হয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন ব্যারিস্টার হুমায়ূন কবির পল্লব। নিউজবাংলাকে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ছিল। পরবর্তী শুনানি হবে ৯ ডিসেম্বর।

‘আরমানের মুক্তির বিষয়ে আমরা শতভাগ আশাবাদী। কারণ সকল তথ্য-প্রমাণ আরমানের পক্ষে। তার ঘটনাও অনেকটা জাহালমের মতো’, বলেন এই আইনজীবী।

প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইলের নাগরপুরের জাহালম ভুল আসামি হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের ২৬ মামলায় তিন বছর কারাগারে থাকার পর হাইকোর্টের আদেশে গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পান। তিনি ছিলেন নরসিংদীর একটি পাটকলের শ্রমিক।

ছেলের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ডুকরে কেঁদে ওঠেন বানু খাতুন। বলেন, ‘যার সাজা তারে দেন বাবা। আমার ছেলের মিরকী বেরাম আছে, হাজতে থাকি থাকি মরে যাবে। আমার ছেলে দোষ করলে তারে সাজা দেন, না করলে ছেড়ে দেন।’

আরমানের স্ত্রী মোসাম্মত বানু বলেন, ‘আমার স্বামী তো কিছু নিয়া ধরা পড়ে নাই, তাইলে আরেকজনের সাজা কেন পাইব?

‘আমার স্বামী যখন জেলে যায়, তখন আমি পোয়াতি। এখন ছোট বাচ্চাডার ৪ বছর হইতে গেল বাপের কোল পায় নাই। আপনারাই এর বিচার করেন।’

গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিহারি ক্যাম্প এলাকার নিজ বাসার পাশ থেকেই বিপুল মাদকসহ আটক হন শাহাবুদ্দিন বিহারী। তাকে আটক করেন পল্লবী থানার এসআই মো. শরীফ।

অভিযোগ রয়েছে, শাহাবুদ্দিনকে থানায় না নিয়ে ১ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেন শরীফ। বিষয়টি তৎকালীন ওসি নজরুল ইসলামকে জানান সাংবাদিকরা। এর পরদিন সাভারের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাহাবুদ্দিনকে।

এ বিভাগের আরো খবর