বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রহরীদের ভবনে হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের কাজ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৩ নভেম্বর, ২০২০ ১৩:৩৮

স্থান নির্ধারণ নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মতপার্থক্যের কারণে প্রতিষ্ঠার প্রায় ১০ বছর পরও নির্মাণ করা যায় নড়াইলের পাঁচগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ ভবন।

নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় পাটেশ্বরী বিলের স্লুইসগেট প্রহরীদের জন্য ৪০ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল দুই কক্ষের একটি ভবন। কিন্তু প্রহরীরা নয়, এক দশক ধরে সেই ভবনে চলছে পাঁচগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কার্যক্রম।

স্থান নির্ধারণ নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মতপার্থক্যের কারণে প্রতিষ্ঠার প্রায় ১০ বছর পরও নির্মাণ করা যায়নি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। এতে ভোগান্তি হচ্ছে সাধারণ মানুষের।

ইউনিয়ন পরিষদ সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয়রা জানান, ২০১১ সালে উপজেলার বৃহত্তর ১১ নম্বর পেড়লী ইউনিয়ন ভেঙে পাঁচগ্রাম ইউনিয়ন গঠন করা হয়। এরপর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ওই ভবনেই চলছে পরিষদের কার্যক্রম।

সরেজমিন দেখা যায়, ভবনের ছাদসহ দেয়ালের চারপাশের পলেস্তারা খসে পড়ছে। দরজা-জানালার কাঠে ঘুণ পোকা ধরেছে। ভবনের চারপাশও ভরে আছে বন-জঙ্গলে।

ছাদের পলেস্তারা খসে ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ সচিবসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে।

ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যরা জানান, সাবেক চেয়ারম্যান মো. সাইফুজ্জামান কারও সঙ্গে আলোচনা না করে তার বাড়ি সংলগ্ন ২৫ শতাংশ জমি ইউনিয়ন পরিষদের নামে লিখে দিয়ে ভবন নির্মাণের জন্য সরকারি কার্যক্রম শুরু করেন।

বিষয়টি জানার পর সব ইউপি সদস্য এর বিরোধিতা করেন। নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হককেও বিষয়টি জানান তারা।

পরবর্তী সময়ে কবিরুল হক এলাকাবাসীর মতামতের ভিত্তিতে ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে পরিষদ ভবন নির্মাণের পরামর্শ দেন।

তবে চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান তা না মেনে উচ্চ আদালতে রিট করেন। আদালত এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত না দেয়ায় আটকে গেছে পরিষদ ভবন নির্মাণের কার্যক্রম।

পাঁচগ্রামের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বলেন, ‘এক জন জনপ্রতিনিধির হটকারি সিদ্ধান্তের কারণে ইউনিয়নের ২০ হাজার মানুষ সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন। পরিষদ সংশ্লিষ্ঠ সবাই ঝুঁকি নিয়ে ৪০ বছর আগের ভবনে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ইউনিয়নবাসীর মতামতের ভিত্তিতে ২০১৫ সালে স্থানীয় উসমান গণি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও পাটেশ্বরী বাজারের মধ্যবর্তী স্থানে তার নিজের ৩০ শতাংশ জমি পরিষদের নামে লিখে দিয়েছেন।

ওই স্থানে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ করে এলাকাবাসীর ভোগান্তি দূর করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

এ বিষয়ে কথা বলতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামানের বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিভাগের আরো খবর