ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে নারীদের সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সেমিনার।
গত বৃহস্পতিবার হলের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
হলের প্রভোস্ট ড. লাফিফা জামালের সভাপতিত্বে বিশেষজ্ঞ প্যানেল সেমিনারে অংশ নেন।
সেমিনারে আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের স্পেশাল পুলিশ সুপার (ইন্টারনাল অ্যাফেয়ার্স) মাহফুজা লিজা।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যদি ম্যাসেজের মাধ্যমে আপত্তিকর অথবা হুমকির বার্তা পায়, অনলাইনে যদি তাদের ব্যাপারে গুজব ছড়ানো হয়, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটে যদি হুমকিস্বরূপ পোস্ট অথবা মেসেজ ছড়ানো হয় তবে তারা অবশ্যই যেন থানায় জিডি করেন এবং সম্ভব হলে অনলাইনে রিপোর্ট করেন।’
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মেখলা সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, টেইক ব্যাক দ্য টেক (টিবিটিটি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সমন্বয়ক মাহবুবা সুলতানা এবং বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজির (বিডব্লিউআইটি) সহ-সভাপতি কানিজ ফাতেমা।
শিক্ষা, বিনোদন ও জীবনযাপনে বর্তমান শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি অনলাইনের উপর নির্ভরশীল। যত বেশি অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার হয়, ততই সাইবার ওয়ার্ল্ডের সমস্যাগুলো বেড়ে যায়। এ জন্য সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়।
এই আয়োজনে উঠে আসে- ফেক লিঙ্ক এবং সাইবার ক্রাইম থেকে সুরক্ষা, সাইবার নিরাপত্তা, অনলাইন হয়রানি, অপরাধ এবং সমাধান, সাইবার বুলিং, সাইবার অপরাধীদের মনোবিজ্ঞান, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাষা ব্যবহারের পদ্ধতির মতো বিষয়গুরো।
ইন্টারনেট সুবিধাসহ প্রযুক্তির নানামাত্রিক ব্যবহার যতোই সহজলভ্য হচ্ছে ততোই সাইবার জগতে নারীদের সহিংসতার ঘটনা বাড়ছে। সাইবার জগতের ৬৮ শতাংশ নারী সাইবার অপরাধের শিকার হয়।
বাংলাদেশে সাধারণত ১৬ থেকে ২৪ বছরের নারীরা সবচেয়ে বেশি সাইবার অপরাধের শিকার হয়। অনলাইনে নারীদের ৭৩ শতাংশ বুলিংয়ের শিকার হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নারীরা তাদের এ সমস্যা প্রকাশ করে না; বরং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বলে সেমিনারে তুলে ধরা হয়।
প্যানেল ডিসকাশনটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজি এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক।
ভেন্যু সহযোগিতায় ছিল শামসুন নাহার হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।