শিগগিরই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগের নেত্রী বেগম আইভি রহমানের ১৭তম মত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর এ কথা জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিচারিক আদালতে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার ও রায় হয়েছে, উচ্চ আদালতে আপিল হয়ে গেছে। আইনমন্ত্রীর কাছ থেকে আমি জানতে পেরেছি, কোভিডের কারণে বিলম্বে হলেও অচিরেই শুনানি হবে। আপিল নিষ্পত্তি শুনানি হবে অচিরেই, তার মধ্য দিয়ে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হবে।’
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী’ সমাবেশে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা ও গুলি চালানো হয়।
হামলার লক্ষ্য ছিল তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হামলায় তিনি বেঁচে গেলেও নিহত হন ২৪ জন।
গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন বেগম আইভি রহমান। আহতাবস্থায় ২৪ আগস্ট সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
আইভি রহমানর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বনানীতে তার কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানাতে আসা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ অন্যরা।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মীরা আইভি রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৯৭৫ সালের বুলেট ২০০৪ সালে গ্রেনেড হয়ে ফিরে আসে। এ দুটিই একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতার অংশ। এ দিন প্রাইম টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ করতে গিয়ে আামাদের নেত্রী সেদিন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের টার্গেট হন।’
এ সময় তিনি আইভি রহমানসহ ২১ আগস্ট নিহত ২৪ জনের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আইভি রহমানের মধ্যে কখনো কোনো অহংবোধ দেখিনি। এত নিরহংকার ও নির্লোভ নেতা বাংলাদেশে খুব কমই আছে। তিনি কখনো সভামঞ্চে বসতেন না। নেত্রীর সভায় তাকে দেখতাম তিনি কর্মীদের নিয়ে মাঠে বসে আছেন।’