দলীয় প্রধানের মুক্তির দাবিতে কার্যকর আন্দোলন কর্মসূচি করতে না পারা বিএনপি এখন গণ-অভ্যুত্থানের রঙিন খোয়াব দেখছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার আওয়ামী লীগের মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপকমিটির জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কাদের বলেন, ‘যারা দলীয় প্রধানের মুক্তির জন্য একটি মিছিল পর্যন্ত করতে পারে না, তারা নাকি আবার গণ-অভ্যুত্থানের রঙিন খোয়াব দেখছে।
‘গণ-অভ্যুত্থান বিএনপি নেতাদের দিবাস্বপ্ন। জনগণ তো দূরের থাক, তাদের দলের কর্মীরাও এখন মাঠে নামে না। কারণ বিএনপির নেতৃত্বের প্রতি কর্মীদের কোনো আস্থা নেই।’
বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নেতারা বলছেন, সরকার নাকি জনবিচ্ছিন্ন। সরকার নয়, বিএনপিই জনবিচ্ছিন্ন এবং জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত। বিএনপি এই বাস্তবতা বোঝারও সক্ষমতা হারিয়েছে।
‘বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের চেতনার সঙ্গে আওয়ামী লীগ নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। পক্ষান্তরে বিএনপি ক্ষমতাকেন্দ্রিক সুবিধাবাদী রাজনীতি ও লুটপাটে বিশ্বাসী। বিএনপিরই পায়ের তলায় মাটি নেই, তাই তো তারা কোথাও দাঁড়াতেই পারছে না।’
বিএনপির সমালোচনা করে কাদের বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর শুরু হয় ইতিহাসের উলটো পথে যাত্রা, ফিরে আসে পাকিস্তানি ভাবাদর্শের প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতির ধারা। জাতীয় জীবন ও রাষ্ট্রীয় পরিসর থেকে নির্বাসিত হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ।
‘স্বাধীনতার ঘোষণার পাঠককে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর অপচেষ্টা চালানো হয়। ইতিহাসের ফুটনোট জিয়াউর রহমানকে ইতিহাসের নায়ক বানানোর ব্যর্থ চেষ্টাও করা হয়।’
কাদের বলেন, ‘সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। লক্ষ্য অর্জনে হতে হবে নিবেদিতপ্রাণ।’
এ সময় পদ্মা সেতুর অগ্রগতি নিয়েও কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমাদের বহুল প্রতীক্ষিত ও স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে আজ সকালে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের সব ক'টি স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে।
‘এর মাধ্যমে পদ্মার দুই তীরের রাস্তার সংযোগ স্থাপিত হলো। এ বছরের অক্টোবর মাসের শেষ দিকে পিচঢালাইয়ের কাজ শুরু হবে। এ পর্যন্ত পদ্মা সেতুর সার্বিক অগ্রগতি ৯৪ দশমিক ২৫ শতাংশ।’