বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির কর্মসূচিতে গিয়ে তোপে আ.লীগ নেতা

  •    
  • ২১ আগস্ট, ২০২১ ১৯:১৪

ঈশ্বরদী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মিন্টু জানান, গত বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদী পূর্বটেংরি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করেন পাবনা জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়ন। বিএনপির ওই কর্মসূচিতে যোগ দেন ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু।

বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নিজ দলে তোপের মুখে পড়েছেন পাবনার ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু।

শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের জন্য ওই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল বলে আওয়ামী লীগ নেতারা জানান।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছবিসহ ঘটনাটি ভাইরাল হয়েছে।

ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মিন্টু জানান, গত বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদী পূর্বটেংরি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করেন পাবনা জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়ন। বিএনপির ওই কর্মসূচিতে যোগ দেন আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ মিন্টু।

তিনি বলেন, ‘পূর্বটেংরি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোখলেছুর রহমান বাবুল এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা মাহবুবুর রহমান পলাশ। তারা দুজন ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদীতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামি। তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

‘শেখ হাসিনার ট্রেনে হামলা মামলার ওই আসামিদের জন্য বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর অংশগ্রহণের দুটি ছবি ও খবর ছড়িয়ে পড়লে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় ওঠে।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর জহুরুল ইসলাম এ নিয়ে তার ফেসবুক আইডিতে ছবি দুটি শেয়ার দিয়ে লেখেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনে গুলি করা আসামির মুক্তির দাবিতে বৃক্ষরোপণ করেন সাবেক মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, সাথে ছিলেন ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নয়ন, বিএনপি নেতা মনা বিশ্বাসসহ বিএনপির বিভিন্ন শাখার নেতৃবৃন্দ।’

মীর জহুরুল ইসলাম পুনো বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বশীল পদে থেকে আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বিএনপির এ ধরনের কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেন না। তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রনি বলেন, ‘শোকের মাসে আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বিএনপি নেতার সঙ্গে হেসে হেসে গাছ লাগাচ্ছেন- এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক ও কষ্টের।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মিন্টু বলেন, ‘রাজনৈতিক বিবেচনা ও নৈতিকতার দিক থেকে এটি গর্হিত অপরাধ।’

বৃক্ষরোপণের আয়োজক রফিকুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশে পূর্বটেংরী স্কুল। আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর সঙ্গে অনেক দিনের সম্পর্ক। স্কুল প্রতিষ্ঠাতা অনেকে এখন নেই। এদের মধ্যে কারাগারে রয়েছেন বা মারা গেছেন। শুধু তাদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করেছিলাম। এ জন্য তাকে অনুষ্ঠানে রাখা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এটা বিএনপির কোনো অনুষ্ঠান না। শোকের মাস আগস্টে প্রধানমন্ত্রীর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ এটা। আমি ওই স্কুলের সভাপতি। এ ছাড়া আমার স্কুলের শিক্ষকরা এ কর্মসূচিতে ছিলেন। একটি রাজনৈতিক কুচক্রী মহল আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এমনটা প্রচার করছে।’

এ বিভাগের আরো খবর