বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বরিশালে কেউ প্রশ্রয় পাবে না: কাদের

  •    
  • ২০ আগস্ট, ২০২১ ১৭:২১

‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সব সময় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। দলীয় পরিচয়ের আড়ালে কোনো অপরাধী কোনো দিন প্রশ্রয় পায়নি, পাবেও না। বরিশালের ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।’

বরিশালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে হামলার ঘটনায় দলীয় পরিচয়ের কারণে প্রশ্রয় দেয়া হবে না বলে নিশ্চয়তা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা। যদিও তিনি এই বিবৃতিটি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়।

কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সব সময় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। দলীয় পরিচয়ের আড়ালে কোনো অপরাধী কোনো দিন প্রশ্রয় পায়নি, পাবেও না। বরিশালের ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।’

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপির আমলে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের দুঃসহ স্মৃতি জাতি এখনও ভোলেনি।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিসহ সার্বিক পরিস্থিতি পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করে দেয়া বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে এই বিবৃতি দেয়া হয়।

কাদের বলেন, ‘বর্তমান সরকার কোনো সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেনি। বরং সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় পরিপুষ্ট সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতির বিস্তার প্রতিরোধে কাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত এক যুগের বেশি সময় ধরে আর্থসামাজিক সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি অভূতপূর্ব, যা বিশ্বদরবারে প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্ব নেতৃত্ব ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলা বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।’

বৈশ্বিক করোনা মহামারির মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে দাবি করে কাদের বলেন, “এমনকি পাকিস্তানি গণমাধ্যমেও শেখ হাসিনা সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করে সে দেশের বিশেষজ্ঞরা তাদের শাসক গোষ্ঠীকে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেন। এমন পরিস্থিতিতে কেবল ‘সবকিছুতে পাকিস্তানি প্রেম’ ভাবাদর্শের মানুষই এমন তুলনা করতে পারেন।”

বঙ্গবন্ধু হত্যা-পরবর্তী অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের সংবিধান ও সেনা আইন লঙ্ঘন করেছিলেন বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, ‘জিয়া সেনাছাউনিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠা করেছিল, যা ছিল সম্পূর্ণভাবে বেআইনি। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় উদগত সন্ত্রাসের সর্বগ্রাসী রূপ দেশবাসী দেখেছে। বিএনপি যতবারই রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে, ততবারই তাদের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী। তাদের হাত ধরেই এ দেশের মাটিতে সন্ত্রাসের বিষবৃক্ষ মহিরুহে পরিণত হয়েছিল, যার সর্বশেষ সংস্করণ ছিল উগ্র-জঙ্গি মৌলবাদী সন্ত্রাস।’

বিএনপির শাসনামলে ১০ ট্রাক অস্ত্র এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার প্রসঙ্গটিও উঠে আসে কাদেরের বিবৃতিতে।

তিনি বলেন, ‘২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গণতান্ত্রিক কাঠামোর সব শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে বিরোধী মতকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ মদদে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশের পাঁচ শতাধিক স্থানে বোমা হামলা চালানো হয়।’

শোকের মাস আগস্টে শোককে শক্তিতে পরিণত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

এ বিভাগের আরো খবর