আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে জঙ্গিদের মধ্যে যে উৎসাহ দেখা গেছে সেটা গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহকেও প্রভাবিত করেছে বলে মন্তব্য করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
একই সঙ্গে তালেবান প্রসঙ্গে তার দেয়া বক্তব্য বিএনপির কথা কি না তা নিয়েও সংশয় রয়েছে মন্ত্রীর মনে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল) আয়োজিত আলোচনায় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তালেবানের উত্থানে দেশে কোনো প্রভাব পড়বে কি না তা জানতে চাওয়া হলে মন্ত্রী বলেন, ‘আফগানিস্তানের শান্তি-স্থিতি আঞ্চলিক ও বিশ্ব শান্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ অঞ্চলের কোনো দেশে যদি শান্তি-স্থিতি বিনষ্ট হয় বা জঙ্গিবাদের উত্থান হয়, পুরো অঞ্চলের ওপর তার প্রভাব পড়া স্বাভাবিক। আমরা সবসময় শান্তি প্রত্যাশা করি।’
ডা. জাফরুল্লাহর তালেবানদের মুক্তিযোদ্ধা আখ্যা দেয়ার বিষয়টি তথ্যমন্ত্রীর নজরে আনা হলে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা জানতে পেরেছি, তালেবানরা কাবুল দখলের পর এ অঞ্চলে জঙ্গিগোষ্ঠীর মধ্যে উৎসাহ দেখা দিয়েছিল। দেখা যাচ্ছে, সে উৎসাহ জাফরুল্লাহ সাহেবের মধ্যেও আছে। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি তালেবান নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা বিএনপিরও বক্তব্য কি না!’
নিজের বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে নিহত সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধুর জীবনের ওপর আলোকপাত করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মুজিব যেভাবে মানুষকে উদ্দীপ্ত করেছিলেন, তা শুধু এদেশে নয় বিশ্বেও বিরল। জাতির পিতার এক ডাকে মানুষের সবচেয়ে প্রিয় যে নিজের প্রাণ, তা হাতের মুঠোয় নিয়ে একাত্তরের জনযুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে বাঙালিরা।’
আর এ কারণেই বঙ্গবন্ধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।