বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মীরজাফরের ভূমিকায় মোশতাক, জিয়া ‘রায় দুর্লভ’

  •    
  • ১৯ আগস্ট, ২০২১ ২০:১২

জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর রাষ্ট্রপতি হন মোশতাক। আর জিয়া হন প্রধান সেনাপতি। পরে রাষ্ট্রক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি। আর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার থেকে মুক্ত রেখে জারি করা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ তিনি সংবিধানের অংশ করেন। খুনিদের বিদেশে দূতাবাসে উচ্চপদে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃতও করেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধের আগে বিশ্বাসঘাতকতার তুলনা টানলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘পলাশীর যুদ্ধে যেমন প্রধান বিশ্বাসঘাতক ছিলেন মীর জাফর, তেমনই ১৫ আগস্ট সেই ভূমিকায় ছিলেন খোন্দকার মোশতাক আহমেদ। অন্যদিকে সেনাপতি রায় দুর্লভের ভূমিকায় ছিলেন জিয়াউর রহমান।’

জাতীয় শোক দিবস স্মরণে বৃহস্পতিবার মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোকসভায় বক্তব্য রাখছিলেন কাদের।

তিনি বলেন, ‘আমি বারবার একটা কথা বলব যে, ইতিহাসের অনেক সত্য অজানা রয়ে গেছে। ‘খুনিদের সঙ্গে জিয়ার সহযোগিতা না থাকলে এমন ঘটনা ঘটানো যেত না। ইতিহাসের এই বেদনাদায়ক সত্য অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই।’

১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধে সেনাবাহিনীর শক্তির বিচারে নবাব সিরাজউদ্দৌলা অনেক এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু মীরজাফর আলী খান, রায় দুর্লভ, উমিচাঁদসহ সে সময়ের প্রভাবশালী কয়েকজনের বিশ্বাসঘাতকতায় হেরে যান বাংলার নবাব। প্রায় ২০০ বছরের জন্য ব্রিটিশ শাসনে চলে যায় বাংলা। পরে ভারতীয় উপমহাদেশও তাদের দখলে চলে যায়।

বঙ্গবন্ধুও খোন্দকার মোশতাককে মন্ত্রিত্ব দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমানকে করেছিলেন উপসেনাপ্রধান।

জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর রাষ্ট্রপতি হন মোশতাক। আর জিয়া হন প্রধান সেনাপতি। পরে রাষ্ট্রক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি। আর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার থেকে মুক্ত রেখে জারি করা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ তিনি সংবিধানের অংশ করেন। খুনিদের বিদেশে দূতাবাসে উচ্চপদে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃতও করেন।

পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যান্য রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এসব হত্যাযজ্ঞে কোনো অবলা নারী হত্যা হয়নি। কোনো অবুঝ শিশু হত্যার শিকার হয়নি। কোনো অন্তঃসত্ত্বা নারীকে হত্যা করা হয়নি। ১৫ আগস্ট দুনিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে নির্মম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।’

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর নানা ঘটনাপ্রবাহে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা জিয়াউর রহমানের ভূমিকাও তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, ‘জিয়া হত্যাকারীদের পুনর্বাসিত ও পুরষ্কৃত করেছেন।

“জিয়াউর রহমান তাদেরকে বলেছিলেন, ‘ওয়েল ডান, ওয়েল ডান’। তিনি আইন পরিবর্তন করেছিলেন তাদের রক্ষার জন্য। এরপরেও আপনারা প্রমাণ চান?”

কাদের বলেন, ‘জিয়া ক্ষমতায় যাওয়ার পর সব নিষিদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ নিষিদ্ধ, ২৬ মার্চ পালন নিষিদ্ধ, ৭ মার্চ পালন নিষিদ্ধ, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় উল্লাস নিষিদ্ধ। এইসব অপকর্মের নায়ক কে? এইসব ঘটনায় প্রমাণ হয় জিয়াউর রহমান ঘটনাক্রমে মুক্তিযোদ্ধা।’

জিয়াকে উদ্দেশ করে কাদের বলেন, “তিনি কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ‘জয় বাংলা’র বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারেন যদি তার ভেতরে চেতনার মুক্তিযুদ্ধ থাকে?”

তিনি বলেন, ‘যদি জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করতেন, তাহলে খুনিচক্র তাকে খুন করার দুঃসাহস পেত বলে আমি মনে করি না।’

খালেদার জন্মদিনের প্রমাণ দিন

১৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন- এমন দাবির পক্ষে প্রমাণ দিতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন কাদের।

তিনি বলেন, ‘তাদের নেত্রী ছয়টা জন্মদিন পালন করেন। করোনা টেস্টে তার জন্মদিন দিয়ে ছয়টা জন্মদিন।

‘খালেদা জিয়ার ম্যাট্রিক সার্টিফিকেটে একটা, পাসপোর্টে একটা, বিয়ের রেজিস্ট্রারে একটা, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে একটা, আবার ৯৬ সালের ১৫ আগস্ট থেকে একটা নতুন জন্মদিন। অথচ কয়েক দিন আগে করোনার সার্টিফিকেটে একটা।

‘ফখরুল সাহেব, সত্যকে চাপা দিয়ে লাভ নেই। ভুয়া জন্মদিন পালন করে আপনারা বিএনপি বাংলাদেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি সৃষ্টি করেছেন। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। তার প্রমাণ ১৫ আগষ্স্ট ভুয়া জন্মদিন। আপনার এখন কাগজপত্র দিয়ে তার আসল জন্মদিনের প্রমাণ দিন।’

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমও এ সময় বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর