বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রকৃত জন্ম তারিখ কোনটি, তা দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে তথ্য-প্রমাণসহ জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে যুব মহিলা লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রশ্ন করেন।
সম্প্রতি খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যকে ‘অরাজনৈতিক ও শিষ্টাচারবিবর্জিত’ বলে অভিহিত করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ওই বক্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একজন জাতীয় নেত্রী, একাধিকবারের প্রধানমন্ত্রী, একটা দলের এতো দিনের চেয়ারপারসন; তার জন্মতারিখ কোনটি? এই প্রশ্নের জবাব জানতে চাইছি।’
‘ফখরুল সাহেব বলেছেন আমি শিষ্টাচার বহির্ভূত কথা বলেছি বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে! এখানে শিষ্টাচারের সৌজন্যতা কী? এটা তো হাওয়া থেকে পাওয়া কোনো তথ্য না। খালেদা জিয়ার জীবনী থেকে পাওয়া।’
এ সময় খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মতারিখের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘তার মেট্রিকুলেশন সার্টিফিকেট অনুযায়ী জন্মতারিখ একটি, ম্যারেজ রেজ্রিস্টেশনের একটি, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর একটি, পাসপোর্টে ওনার জন্মতারিখ একটি, ৯৫ সালে হঠাৎ করে উনার জন্ম তারিখ হলো ১৫ আগস্ট। ২৬ বছর ধরে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। সর্বশেষ করোনা টেস্টি ৮ মে ১৯৪৬।’
‘ফখরুল সাহেব এটা আপনি কীভাবে উড়িয়ে দিচ্ছেন। এটা শিষ্টাচারবহির্ভূত কেন হবে? এটা তো উনার জীবনী থেকে পাওয়া। একজন নেত্রী যে আপনাদের চেয়ারপারসন তার জন্মদিন যদি ছয়টি হয় এমন দলনেত্রী-দেশনেত্রীর প্রতি মানুষের কি কোনো আস্থা থাকে?’
এ সময় মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তার (খালেদা জিয়া) জন্মদিবস কোনটি এটা একটু জানতে চাই। এটা প্রমাণ দিয়ে, তথ্য দিয়ে বলুন। আমি যা বলেছি তা তথ্যের ভিত্তিতে বলেছি।’
১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যকাণ্ডে জিয়াউর রহমানকে দায়ী করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এই ঘটনা ঘটানোর দুঃসাহস খুনিদের ছিল না। জিয়াউর রহমনাই তাদের শক্তি জুগিয়েছিলেন, সাহস দিয়েছিল। সেখানে হত্যকাণ্ডের পর ডালিমকে বলেছিলেন জিয়া, ‘ওয়েল ডান! ইউ হ্যাভ ডান ও গ্রেট জব! সেই ইতিহাস বড় বেদনার ইতিহাস।’
যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকী, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল বক্তব্য রাখেন।