বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এটা বঙ্গবন্ধুর দেশ, বিএনপিকে নানক

  •    
  • ১৮ আগস্ট, ২০২১ ২০:০২

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চন্দ্রিমা উদ্যানে অবস্থান নিলে তেজগাঁওয়ের ডিসি-এডিসির ওপর হামলা চালাতে পারতো না বিএনপি। এতগুলো গাড়ি ভাঙচুর করতে পারত না। তারা এই হামলার মাধ্যমে কি বোঝাতে চেয়েছেন? নিজেদের অবস্থা জানান দিতে চান? কিন্তু তাদের মনে রাখতে হবে এটা বঙ্গবন্ধুর দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে তাদের এ ধরনের চক্রান্ত কখনোই সফল হবেনা।’

বিএনপির কর্মসূচি থেকে ‘পুলিশের উপর হামলার’ ঘটনায় ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুরে শোক দিবসের এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ সময় নানক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হঠাৎ করে একটি আকস্মিক কর্মসূচি দিলেন। তাদের হঠাৎ এই কর্মসূচির খবর শুনে বুঝতে পেরেছিলাম ডাল মে কুচ কালা হে।

‘আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখলের কথা শুনেই পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে বিএনপি জানান দিয়েছে তারা মাঠে আছে। আসলে শোকের মাস আগস্টে বড় ধরনের নতুন চক্রান্ত করতেই কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে দলটি। তারই অংশ হিসেবে প্রশাসনের ২৭ কর্মকর্তার উপর হামলা এবং বহু গাড়ি ভাঙচুর করেছেন।’

এ সময় বিএনপি নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে নানক বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচি ঠেকাতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের যদি মোতায়েন করা হতো, তাহলে চন্দ্রিমা উদ্যানে তারা কর্মসূচি পালন করা তো দূরের কথা রাজধানীতেও দাঁড়াতে পারত না।

‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিলে তারা তেজগাঁওয়ের ডিসি-এডিসির উপর হামলা চালাতে পারতো না। এতগুলো গাড়ি ভাঙচুর করতে পারত না। তারা এই হামলার মাধ্যমে কি বোঝাতে চেয়েছেন? নিজেদের অবস্থা জানান দিতে চান? কিন্তু তাদের মনে রাখতে হবে এটা বঙ্গবন্ধুর দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে তাদের এ ধরনের চক্রান্ত কখনোই সফল হবেনা।’

এদেশে কখনোই মৌলবাদের স্থান হবে না জানিয়ে নানক বলেন, ‘কোন ধরনের ষড়যন্ত্র করলে তার দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম শেষ হলেও মুক্তির সংগ্রাম কিন্তু এখনো চলছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যখনই মুক্তির সংগ্রামের দ্বারপ্রান্তে এসেছে দেশ, ঠিক তখনই ওই পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।

‘যার মূলহোতা ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট হয়ে কাজ করা ওই জিয়াউর রহমান। ওই জিয়াউর রহমানের সৃষ্টি করা দল বিএনপির মধ্যে আবার ওই সাম্প্রদায়িক মৌলবাদের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। বিএনপি-জামায়াতের সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যদি আবার নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় তাহলে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা এর সমুচিত জবাব দেবে।’

সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, ‘আমরা বিএনপিকে মাঠে মোকাবিলা করতে পারব। কিন্তু ওই হেফাজত ইসলামের মতো মৌলবাদী সংগঠনগুলোকে মোকাবিলা করতে হলে দলের ত্যাগী এবং যোগ্য নেতাকর্মীকে দলীয় পদে স্থান করে দিতে হবে।

‘নতুন পৃথিবীতে নতুন মৌলবাদীরা যোগ দিয়েছে। বাংলাদেশের মৌলবাদী ও হেফাজতের প্রধান টার্গেট আওয়ামী লীগ। তারা সুযোগ পেলেই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের উপর হামলা চালাতে চেষ্টা করবে। আমাদের সকলকে মৌলবাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর