রাজধানীর আগারগাঁওয়ের চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় করা মামলায় বিএনপির ২৬ জন নেতা-কর্মীকে দুইদিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
বুধবার বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জেল হোসেন শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
একই মামলায় আরও ১৯ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
আসামিদের পক্ষে রিমান্ড আবেদন বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার, জিয়া উদ্দিন জিয়া ও জয়নাল আবেদিন মেসবাহসহ প্রায় ৩০ জন আইনজীবী।
শুনানিতে তারা বলেন, শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানে পুলিশ বাধাদান ও মারপিট করেছে। আবার একাধিক মামলায় তাদেরকে আসামিও করা হয়েছে।
পুলিশ ইচ্ছে করে নিরীহ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে মারপিট করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই আহত।
রাষ্ট্র পক্ষে মহনগর আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দীন হিরন রিমান্ড দেয়ার দাবি জানান এবং জামিনের বিরোধিতা করেন।
তিনি বলেন আসামিরা সন্ত্রাসি ও নাশকতার উদ্দেশ্যে ঘটনা ঘটিয়েছেন, সরকারি গাড়ি ভাংচুর করেছেন। এ ছাড়াও ওই এলাকায় চলমান মেট্রোরেলের কাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক এই রিমান্ড ও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় ৪৫ জনের প্রত্যেকে পাঁচদিন করে রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার দুই কিশোরকে কিশোর সংশোধনগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ১৭ আগস্ট রাতে পুলিশ একটি মামলা করে। এরপর বুধবার মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ আরও দুটি মামলা করে।
জানা যায়, চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি ও আমিসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এবং পুলিশ আহত হয়েছেন। এই তিন মামলায় ৪০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়াও বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মীকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।’
গত ১৭ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে জিয়ার মাজারে যাওয়া নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দলটির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
তবে বিএনপির অভিযোগ, শুধু টিয়ারশেল নয়, গুলিও চালিয়েছে পুলিশ। এতে বেশ কয়েকজন হন।