বরিশালে আওয়ামী লীগের রাজনীতি অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা চলছে জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন দলের নেতারাই। তারা বলছেন, সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের মধ্যে রাগ অভিমানের সুযোগ নিচ্ছে তৃতীয় পক্ষ।
নগরীর কালিবাড়ি রোডে মেয়রের বাসভবনে মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি একে এম জাহাঙ্গীর দলের ভেতর অনুপ্রবেশকারীদের অস্তিত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘বরিশালের স্থানীয় রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে কেউ কেউ। তারা কারা তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি।’
ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে কারো অপরাজনীতি কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
তবে এ বিষয়ে জানতে বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
১৩ আগস্ট বরিশাল নগরীর বটতলায় জাহিদ ফারুকের বাসার সামনে জাতীয় শোক দিবসের প্রস্তুতি সভা চলাকালে দুই গ্রুপে হাতাহাতি হয়। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ।
মেয়রের দাবি, যারা সেদিন সংঘর্ষে জড়িয়েছেন তারা আওয়ামী লীগের কেউ নয়, অনুপ্রবেশকারী। প্রতিমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে যারা ওই সভা করেছেন, তারা কথিত আওয়ামী লীগার বলেও দাবি তার।
মেয়র বলেন, ‘সদর আসনের সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের সঙ্গে রাগ অভিমান চললেও সেটি ব্যক্তিগত। এ নিয়ে কেউ জল ঘোলা করলে তা মেনে নেবো না।’
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রতিমন্ত্রীর বাসার সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষে বিবৃতি পাঠ করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার রাজিব।
দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, বরিশালের রাজনীতিতে সিটি মেয়র ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীকে দুই মেরুতে দেখা গেলেও কখনো প্রকাশ্যে সংঘাত হয়নি।