বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপি-জামায়াতের প্রশ্রয়েই সিরিজ বোমা হামলা: কাদের

  •    
  • ১৭ আগস্ট, ২০২১ ২০:৫৪

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একযোগে বোমা হামলার জন্য দীর্ঘ প্রস্তুতি ও জনবল এক দিনে জোগাড় করা হয়নি। তৎকালীন সরকার নীরব ছিল কেন? নিশ্চয় তারা এ ঘটনার আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা ও পৃষ্ঠপোষক। তারা এটা করেছিল ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। মুক্তচিন্তাকে নিশ্চিহ্ন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে দেয়ার জন্য। তাদের কাছে রাষ্ট্র ও স্বাধীনতা কখনোই নিরাপদ ছিল না। এখনও নেই।’

১৬ বছর আগে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের প্রশ্রয়েই জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) সিরিজ বোমা হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিরিজ বোমা হামলা দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ এ সভা আয়োজন করে।

নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা চালায়। এই সিরিজ বোমা হামলায় দুইজন নিহত হন, আহত হন অন্তত ১০৪ জন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই দেশের রাজনীতিতে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড, ১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলা ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা অভিন্ন ষড়যন্ত্রের অংশ। এগুলোর মাস্টারমাইন্ড হলো বিএনপি। সব ঘটনায় প্রমাণ হয় বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হচ্ছে তারা।

‘একযোগে বোমা হামলার জন্য দীর্ঘ প্রস্তুতি ও জনবল এক দিনে জোগাড় করা হয়নি। তৎকালীন সরকার নীরব ছিল কেন? নিশ্চয় তারা এই ঘটনার আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা ও পৃষ্ঠপোষক। তারা এটা করেছিল ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। মুক্তচিন্তাকে নিশ্চিহ্ন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে দেয়ার জন্য। তাদের কাছে রাষ্ট্র ও স্বাধীনতা কখনোই নিরাপদ ছিল না। এখনও নেই।’

তিনি বলেন, ‘১৭ আগস্টের বোমা হামলা ছিল উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর শক্তি পরীক্ষা। একযোগে তারা শক্তি জানান দিয়েছিল। এর মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসে এই দেশে জঙ্গি কার্যক্রম।’

সভায় বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন আমাদের নাকি রাজনীতির শিষ্টাচার ও সৌজন্যতাবোধ নেই। কারণ আমি বলেছি বেগম জিয়ার জন্মদিন ছয় দিন।

‘তার কাছে জানতে চাই একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছয় দিন জন্মদিবস কেন? আগে ছিল পাঁচটা। সর্বশেষ করোনা পরীক্ষার সময় দেখলাম আরেকটা। ফখরুল সাহেব, এখানে শিষ্টাচার ও সৌজন্যতার বিরুদ্ধে কী করলাম? সত্য তুলে ধরলাম। এসব জন্মদিবস আপনাদেরই সৃষ্টি। আওয়ামী লীগের সাজানো কিংবা বানানো কিছু নয়।’

তিনি বলেন, ‘এবারও জন্মদিবস পালন করেছেন। প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার মানসিকতা থেকে এখনও সরে আসেনি বিএনপি। কেক কাটেন নাই, কিন্তু ফুল তো দিয়েছেন। মিলাদ মাহফিল করেছেন। মানে হলো ১৫ আগস্টও জন্মদিবস। আপনারা এটাই করবেন। শিষ্টাচার আমাদের শেখাতে আসবেন না।’

বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব জোসিকে সরকার গুম করেছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। কিন্তু থলের বিড়াল বের হয়ে এসেছে। সে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছে। অস্ত্র ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাদের এ রকম গুমের অনেক সাজানো নাটক রয়েছে।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি।

এ বিভাগের আরো খবর