সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।
সোমবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বলেছেন, মাঠ পর্যায়ের কিছু পুলিশ কর্মকর্তার আচরণে সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে অবিলম্বে মাঠ পর্যায়ের ঐ সব অতি উৎসাহি পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দাবি জানিয়েছেন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।
এ সময় বাবলু বলেন, দেশের গণতন্ত্র বিকাশের জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন খুবই প্রয়োজন। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসা এবং নির্বাচনের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়া খুবই জরুরী। এই নির্বাচন যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়বে।
তফসীল ঘোষণার পর থেকেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও কর্মীদের প্রতি মাঠ পর্যায়ের কিছু পুলিশ যে আচরণ করছে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য হুমকিস্বরূপ।
এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার একেএম নুরুল হুদা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে যা যা করণীয় তার সব কিছু ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দেন।
এ সময় নির্বাচন কমিশনের সচিব খন্দকার হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন।
সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া বিএনপি নেতা শফি আহমদ চোধুরী ছাড়া তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। তারা হলেন জাহেদুর রহমান মাসুম, জুনায়েদ মুহাম্মদ মিয়া এবং ফাহমিদা হোসেন রুমা। তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
চলতি বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস। তার মৃত্যুতে ১৫ মার্চ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল ঘোষণার পর ৯০ দিন পেছালেও ২৮ জুলাই ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছিল।
গত ২৬ জুলাই করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে জারি করা লকডাউনের মধ্যে ২৮ জুলাই সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করে হাইকোর্ট।
এর আগে সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। গত ৮ জুলাই ওই আসনে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আতিক। সে সময় চলমান শাটডাউনের বিধিনিষেধ অমান্য করে নির্বাচনি প্রচার চালানোর অভিযোগ এনেছেন হাবিবের বিরুদ্ধে।