বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরকে বিএনপি শাসনামলে রক্ষা ও পুরস্কৃত করার বিষয়টি তুলে ধরায় একটি পত্রিকার সম্পাদকের নাম উল্লেখ উল্লেখ না করে তার সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। তিনি বলেছেন, সরকারের আনুকূল্য পেতে এসব লেখা হয়েছে।
সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপি আয়োজিত করোনা হেল্প সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় শোক দিবসে প্রকাশিত একটি নিবন্ধের বিষয়ে ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, ‘একটি সুশীল পত্রিকার সম্পাদক সরকারের ঘনিষ্ঠ হতে এ জন্য একটি প্রবন্ধ ছেপেছে। ওই পত্রিকার সম্পাদকের অতীতের ঘটনা সবারই জানা আছে। মূলত সরকারের আনুকুল্য পেতে তিনি এ কাজ করেছেন। যা অত্যন্ত ষড়যন্ত্রমূলক। ১৫ আগস্টের ঘটনার বিচারের পর, এসবের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে বিএনপিকে নির্মূল করা । দেশকে বিরোধীদল শূন্য করা।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞকে প্রথমবারের মতো ‘অত্যন্ত নিন্দনীয়’ বলেও উল্লেখ করেন বিএনপি নেতা। তবে এই হত্যাযজ্ঞে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে জড়িয়ে ক্ষমতাসীন দল যেসব অভিযোগ আনে, তার সমালোচনা করেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘এর (বঙ্গবন্ধু হত্যা) এত তদন্ত হয়েছে, বিচারও হয়েছে। কিন্তু এখন সে ঘটনা নিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে সামনে আনা হয়েছে অত্যন্ত ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তমূলকভাবে। বিএনপিকে নির্মূল করতে এখন নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে সরকার।’
টিকা আনতে সরকারের ভূমিকা নেই
টিকা নিয়ে মন্ত্রীরা ‘গলাবাজি করছে’ মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘এই যে টিকা আনা হয়েছে তার পেছনে বাংলাদেশি আমেরিকান কয়েকজন চিকিৎসক বাইডেন প্রশাসনে কর্মরত আছেন। তারা লবিং করে বাংলাদেশকে কোভ্যাক্সের তালিকায় অন্তর্ভুত করেছেন। এখন কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আমরা কোটি কোটি টিকা ফ্রি পাচ্ছি। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আরও টিকা আসবে। সেই টিকাই এখন দেওয়া হচ্ছে, গণটিকা দেয়া হচ্ছে। এখানে সরকারের কোনো ভুমিকা নেই।’
সরকার মানুষের জীবন নিয়ে খেলা খেলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আজকে ডানে বামে কত মানুষ মারা যাচ্ছে। কেন্দ্র থেকে তৃর্ণমূল পর্যন্ত কত মানুষ ঝরে যাচ্ছে। এটার একমাত্র কারণ পর্যাপ্ত চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেনি সরকার। দেড় বছরে সরকার শুধু গলাবাজি-চাপাবাজি ছাড়া কিছুই করেনি। ফলে সারাদেশে মৃত্যুর বিভীষিকায় পরিণত হয়েছে।
‘হাসপাতালে অক্সিজেন নেই, আইসিউ নেই, ভেন্টিলেটর নেই। নেই কোনো চিকিৎসা। এসব ব্যবস্থা না করে দলীয় নেতা-কর্মীদের উল্টো দুর্নীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। এখন দেখা গেছে গণটিকা নিতেও টাকা লাগে। দলীয় নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়েও টিকা দিতে গেছে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপির আহবায়ক জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার, বিএনপি চেয়ার পারসনের উপদেষ্টা ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ হালিম ডোনার, সৈয়দ একে একরামুজ্জামান, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।