বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জননিরাপত্তায় হুমকি হলে আইনি ব্যবস্থা: কাদের

  •    
  • ১৬ আগস্ট, ২০২১ ১৬:৫০

ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার দেশকে কখনোই বিএনপিশূন্য করতে চায়নি, এটি আওয়ামী লীগের রাজনীতিও নয়। বরং বিএনপি নীতিবিবর্জিত হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের রাজনীতিকে বৈধতা দিয়েছে। অতীত কর্মকাণ্ডের ফল হিসেবে বিএনপি আজ নিশ্চিহ্ন প্রায়।

দমন-পীড়ন নয়, বরং জননিরাপত্তায় যারা হুমকি তৈরি করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সোমবার তিনি এ কথা বলেন। তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের দেয়া সরকারবিরোধী বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত সরকার। আমরা কারও ওপর দমন-পীড়নে বিশ্বাসী নই। আইনের শাসন ও বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ বদ্ধপরিকর।

‘যেসব ব্যক্তি বা সংগঠন রাষ্ট্রের শান্তিশৃঙ্খলা পরিপন্থি বা জননিরাপত্তা ভঙ্গ ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একজন ছাত্রদল নেতার জামিন না হওয়ায় ‘নির্লজ্জভাবে’ সরকারের সমালোচনা করেছেন। অথচ যেকোনো ব্যক্তির জামিনপ্রাপ্তি একটি সুনির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়া, এটি সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ার। এখানে সরকারকে দোষারোপের বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যার বেনিফিশিয়ারি গ্রুপ এবং খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতাকারীদের প্রতিনিধি মির্জা ফখরুল। তিনি তথাকথিত ভয় ও আতঙ্কের গল্পের আড়ালে বাঙালির কষ্টার্জিত আইনের শাসনের প্রতি যে রক্তচক্ষু প্রদর্শন করেছেন, বাঙালি জাতি তার পরোয়া করে না।

‘সরকার দেশকে কখনোই বিএনপিশূন্য করতে চায়নি, এটি আওয়ামী লীগের রাজনীতিও নয়। বরং বিএনপি নীতিবিবর্জিত হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের রাজনীতিকে বৈধতা দিয়েছে। এমনকি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। অতীত কর্মকাণ্ডের ফল হিসেবে বিএনপি আজ নিশ্চিহ্ন প্রায়।’

বিএনপির সমালোচনায় তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি রাজনৈতিক মাঠে নয়, নিরাপত্তা বেষ্টনীতে বসে আছে। তারা শুধু লিপ সার্ভিসের মাধ্যমে গণমাধ্যমের ওপর ভর করে টিকে আছে। বিএনপি ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি, নেবেও না। জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন সেনাশাসক জিয়াউর রহমান। তারপর সেনা আইন ও সংবিধান লঙ্ঘন করে সেনা ছাউনিতে প্রতিষ্ঠা করেন দলটি। জন্মলগ্ন থেকেই বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলে উন্মত্ত। তারা গণতান্ত্রিক নিয়মনীতি রক্ষা করে রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনায় সর্বদা ব্যর্থ হয়েছে।’

‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী স্বৈরশাসক জিয়া ও এরশাদ বাংলাদেশকে খাদের কিনারায় নিয়ে গিয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি-ঘাতক চক্র তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের চরিত্র হননের হীন অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। তেমনিভাবে একটি চিহ্নিত মতলবি মহল শেখ হাসিনা সরকার ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর