পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান বঙ্গবন্ধুর ঐন্দ্রজালিক আহ্বানে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন দেশের জন্ম হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের বাংলাদেশ গ্যালারিতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আবেগ। বঙ্গবন্ধুর ঐন্দ্রজালিক আহ্বানে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি দেশ সৃষ্টি হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই এগিয়ে চলেছেন, তার যোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। এইজন্যই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের বাংলাদেশ গ্যালারিতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সম্মানীয় অতিথি অগ্নিনির্বাপণ ও জরুরি পরিষেবা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সুজিত বসু, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা প্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক মানস ঘোষ এবং বিশিষ্ট লেখক ও শিক্ষাবিদ শুভরঞ্জন দাসগুপ্ত। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপহাইকমিশনের কাউন্সেলর রিয়াজুল ইসলাম, কাউন্সেলর মো. বশির উদ্দিন ও অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।
উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান তার স্বাগত ভাষণে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আজ অভিন্ন সত্ত্বায় পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে ঘাতকেরা বাংলার মাটি থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সাম্প্রদায়িকতা এবং সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মূল্যবোধ মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু হলেও তার মূল্যবোধ, নীতি ও আদর্শের মৃত্যু হয়নি। বরং তার আদর্শ জড়িয়ে রয়েছে বাংলার জনগণের হৃদয়ে।’
এরপর বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আবেগ। বঙ্গবন্ধুর ঐন্দ্রজালিক আহ্বানে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি দেশ সৃষ্টি হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই এগিয়ে চলেছেন, তার যোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। এইজন্যই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।’
শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেয়া বাণী পাঠ করা হয় অনুষ্ঠানে।
আলোচনা সভা শেষে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর একটি জীবনভিত্তিক তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
শোক দিবস উপলক্ষে রোববার সকাল থেকেই বাংলাদেশ উপহাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় । বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীর মহালগ্নে এবছরের শোক দিবসে মিশনচত্বরে ক্যাসিয়া নডোসা বা পিঙ্ক শাওয়ার জাতের একটি বৃক্ষরোপন করেন উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান।
এছাড়া মিশনের মসজিদে বাদ জোহর মিলাদ মাহফিল শেষে, দুস্থ ও অনাথ শিশুদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।
এদিন বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত ইসলামিয়া কলেজের (বর্তমানে মৌলানা আজাদ কলেজ) গভর্নমেন্ট হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি কক্ষে, বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।