বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১৫ আগস্টের পর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের স্বীকৃতি দাবি

  •    
  • ১৫ আগস্ট, ২০২১ ২৩:৫৭

আবদুল কাদের সিদ্দিকী মুক্তিযুদ্ধের নায়কদের একজন। টাঙ্গাইলে তার বিশাল বাহিনী পাকিস্তানিদের নাস্তানাবুদ করেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞের পরেও ভারতে গিয়ে তার দলকে সশস্ত্র করে তোলেন তিনি। সেনাবাহিনীর সঙ্গে একাধিক যুদ্ধও হয়। ময়মনসিংহে একটি প্রতিরোধ যুদ্ধে বেশ কয়েকজন শহীদও হন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের স্বীকৃতির দাবি করেছে তার দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।

রোববার বিকেলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মতিঝিলে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল থেকে এমন দাবি জানানো হয়। তবে ওই অনুষ্ঠানে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন না।

দলের সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম তারেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবুর রহমান পারভেজ, আবুল হোসেন, যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক হাবিব-উন-নবী সোহেল, ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক রিফাতুল ইসলাম দীপ প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর কাদের সিদ্দিকী প্রতিবাদ করে বাঙালি জাতির মর্যাদা রক্ষা করেছিলেন। বঙ্গবীরের নেতৃত্বে প্রতিরোধ যুদ্ধ হয়েছিলো বলেই সেই দিন বঙ্গবন্ধুর অনুসারী অসংখ্য নেতা-কর্মীর জীবন রক্ষা পেয়েছিল।

বঙ্গবন্ধুর কন্যা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলেও এই প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নাম এখনো রাষ্ট্রীয় নথিতে দুষ্কৃতিকারী হিসেবে লিপিবদ্ধ, যা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন তারা।

সভা শেষে ১৫ ই আগস্টের সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

আবদুল কাদের সিদ্দিকী মুক্তিযুদ্ধের নায়কদের একজন। টাঙ্গাইলে তার বিশাল বাহিনী পাকিস্তানিদের নাস্তানাবুদ করেছে।

বঙ্গবন্ধু অন্তপ্রাণ এই রাজনীতিক যুদ্ধ শেষে অস্ত্র সমর্পণ করতে রাজি হচ্ছিলেন না। বলেছিলেন, তিনি সরাসরি বঙ্গবন্ধুর কাছে অস্ত্র জমা দেবেন আর জাতির পিতা পাকিস্তান থেকে ফেরার পর তিনিই নিরস্ত্র করেন কাদেরিয়া বাহিনীকে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞের পরেও ভারতে গিয়ে তার দলকে সশস্ত্র করে তোলেন তিনি। সেনাবাহিনীর সঙ্গে একাধিক যুদ্ধও হয়। ময়মনসিংহে একটি প্রতিরোধ যুদ্ধে বেশ কয়েকজন শহীদও হন।

বর্তমানে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হলেও কাদের সিদ্দিকী দলটিরই নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রতিরোধ যুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া এই রাজনীতিক প্রায় দেড় দশক দেশ থেকে ছিলেন নির্বাসিত। ৯০ দশকে তিনি দেশে ফেরেন।

১৯৯৬ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া কাদের সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের শাসনামলেই দল থেকে বের হয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ করেন। শেখ হাসিনার কট্টর সমালোচক হলেও তিনি বঙ্গবন্ধুর ভীষণ ভক্ত।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেন সিদ্দিকী। তবে নির্বাচনের পর তিনি সেই জোট ত্যাগ করেন।

এ বিভাগের আরো খবর