বিদেশে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করাই এখন মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রোববার ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
তোফায়েল বলেন, ‘খুনি মোশতাক, রশীদ, ফারুক, ডালিম এবং আন্তর্জাতিকভাবে যারা ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত হয়েছিল, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, কিন্তু এর পেছনে কারা ছিল?
‘সে জন্য আজকে কথা উঠেছে একটি কমিশন গঠন করার। যাতে প্রকৃতভাবে কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তা বের করা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনি যারা বিদেশে আছে, তাদের দেশে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করাই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য।’
বঙ্গবন্ধু পৃথিবীর যেখানে গেছেন তা জয় করেছেন জানিয়ে তার ঘনিষ্ঠ এ সহচর বলেন, ‘তিনি ছিলেন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। জাতির পিতাকে এক নজর দেখার জন্য মানুষ ব্যাকুল হতো। তার সাথে হাত মেলাতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করত।
‘জাতির পিতা ছিলেন আন্তর্জাতিক বিশ্বের একজন মহান নেতা। তিনি একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে রাজনীতি করেছেন। তার লক্ষ্য ছিল, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তি। এ জন্য জীবনের ১২টি মূল্যবান বছর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছেন তিনি।’
বঙ্গবন্ধু হত্যার পরবর্তী সময়ে জিয়ার ক্ষমতা গ্রহণ ও তার কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরেই জিয়াউর রহমান জাতীয় চার মূলনীতি বাতিল করেছে। স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে এবং দেশকে পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করেছে।’
জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো. দোস্ত মাহমুদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মমিন টুলু, জাতীয় পরিষদের সদস্য হামিদুল হক বাহালুল, ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকিব।
আলোচনা সভা শেষে জাতির পিতাসহ ১৫ আগস্ট সব শহীদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়।
এর আগে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন দলের নেতা-কর্মীরা। দুপুরে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে দুস্থ ও অসহায়দের মধ্যে বিতরণ করা হয় খাবার।