বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল ক্ষমতালোভী নরপিশাচ কুচক্রী মহল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম ও জঘন্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দাবি করেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
শুক্রবার পল্টন ময়দানে আউটার স্টেডিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের স্মরণে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের উদ্যোগে এক হাজার অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তিনি। বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরশ বলেন, ‘৪৬ বছর আগে ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল ক্ষমতালোভী নরপিশাচ কুচক্রী মহল। বাঙালির মুক্তির মহানায়ক স্বাধীনতা-সংগ্রাম শেষে যখন ক্ষত-বিক্ষত অবস্থা থেকে দেশটির পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন তখনই ঘটানো হয়েছিল ইতিহাসের নির্মম এ জঘন্য হত্যাযজ্ঞ। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে খুনি জিয়ার সম্পৃক্ততা রয়েছে। তাই আমরা জিয়ার মরণোত্তর বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’
কুচক্রী মহল সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'এই নরপিশাচ কুচক্রী মহল কারা; আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তা জানতে হবে। যারা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি, যারা পাকিস্তানি ভাবধারায় পোষণ করতো। রাজাকার, আলবদর, আল শামস বাহিনী। বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হোক তা তারা মেনে নিতে পারেনি।
'আন্তর্জাতিকভাবে যেসকল রাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন মেনে নিতে পারেনি। দক্ষিণ এশিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মত জাতীয়তাবাদী নেতার উত্থান ও বিশ্বনেতা হয়ে ওঠা তারা মেনে নিতে পারেনি। মূলত; দেশীয় ও আন্তর্জাতিক এই দু’য়ে মিলেই কুচক্রী মহল। এই পরাজিত শক্তি এখনও সমগ্র বাংলাদেশের ক্ষতি করার জন্য সজাগ রয়েছে। এদের থেকে, এদের চিন্তাধারা থেকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বার্থে সজাগ থাকতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন- করোনার এই মহাসংকটে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় করোনার শুরু থেকে যুবলীগ সারাদেশে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিটি দুর্যোগে যুবলীগ সবসময় মানুষের পাশে ছিলো এবং থাকবে। বিএনপি-জামাত এর উদ্দেশে তিনি বলেন, তারা সব সময়ে সমালোচনায় ব্যস্ত, করোনার এই মহাসংকটে অসহায় মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে সমালোচনায় ব্যস্ত সময় পার করছে। এটাই বিএনপি-জামায়াতের চরিত্র।
এসময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন খসরু, সোহেল পারভেজ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকতসহ অন্যান্যরা।