বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য বিএনপির বিচার দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধোলাইখালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দুস্থদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি জানান।
নাছিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনিই পরবর্তীতে খুনি ও স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনৈতিকভাবে লালন-পালন করতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিএনপি নামক রাজনৈতিক সংগঠন।
‘দেশের ইতিহাসের এই কলঙ্কজনক অধ্যায় মুছতে বিএনপির বিচার করতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলো, তাদের প্ররোচিত করেছিলো। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা পরবর্তীতে দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে বলেছিলো তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, তাদের বিচার করার ক্ষমতা কারও নাই। জিয়াউর রহমান তাদের সঙ্গে আছে। তাদের ইনডেমনিটি দিয়েছেন।
‘জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরের খুনিদের দেশে-বিদেশে চাকরি দিয়ে, ব্যবসা-বাণিজ্য দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলো, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিলো। তারা ফুলেফেঁপে একটি বিশাল দানবের রূপ নিয়েছিলো। আজকে আমাদের সেই কথা ভুলে গেলে চলবে না। জিয়াউর রহমান, ক্যান্টমেন্টের ছাউনিতে বসে বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলের নামে আদর্শ-নীতিহীন, খুনিদের নিয়ে দল গঠন করেছিলো।’
নাছিম বলেন, ‘খালেদা জিয়াও পঁচাত্তরের খুনিদের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেছে। খুনি ফারুক-রশিদচক্রকে নির্বাচন করার সুযোগ দিয়েছে। খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা করোছিলো বেগম খালেদা জিয়া ও জিয়াউর রহমানের বিএনপি।
‘বিএনপি সরকার বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের এমপি-মন্ত্রী বানিয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছে। এই পতাকা অর্জনে আমাদের লাখ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন, অসংখ্য নারী বীরাঙ্গনা হয়েছেন।’
এ সময় খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য বিএনপিকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা উচিৎ বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘একাত্তরেও যেমন ঘাতক দালাল ছিলো বর্তমানেও তারা আছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা। জামাত মানুষ হত্যাকারী, যুদ্ধাপরাধী। তারা বাংলাদেশ বিরোধী শক্তি। যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে জামাতের রাজনীতি আজকে নিষিদ্ধ হয়েছে।
‘ঠিক একইভাবে পঁচাত্তরের খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা, রক্ষা, রাজনীতিতে পুর্নবাসন করার দায়ে, পুরস্কৃত করার অপরাধে বিএনপিকেও বিচার করে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে। খুনিদের আশ্রয়দাতা, স্বাধীনতা বিরোধীসহ সকল দেশ বিরোধী শক্তিকে দলমত নির্বিশেষে রুখে দিতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নামক দলটি করোনার এই সময়ও ইসলামি সংগঠনের নামে, ধর্মীয় উত্তেজনা ছড়িয়ে বাংলাদেশে অরাজকতা, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। এরা যুদ্ধাপরাধীদের প্রশ্রয় দিয়েছে, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রশ্রয় দিয়েছে। এরা এখনও জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেয়। জঙ্গিদের দিয়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চেয়েছিলো।
‘সিরিজ বোমার কাণ্ড ঘটিয়ে বোমাবাজের দেশে পরিণত করেছিলো। তারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছিলো। এই অপরাধীরা এখনও বাংলাদেশ বিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত।’