করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ এলেও তিনি এখনও পুরোপুরি সুস্থ হননি বলে মন্তব্য করেছেন হাছান মাহমুদ।
তার বক্তব্য শুনে মন্ত্রীর এমনটা মনে হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, তার আরও বিশ্রাম প্রয়োজন।
সচিবালয়ের ক্লিনিক ভবন প্রাঙ্গণে বুধবার দুপুরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে তথ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ‘আলোকচিত্র, ডিজিটাল ডিসপ্লে এবং সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনী এবং সংস্থার ওয়েবসাইটে বঙ্গবন্ধু ই-কর্নার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিয়ে বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রিজভী সাহেব অনেক দিন অসুস্থ ছিলেন। সে কারণে কিছুদিন তার বক্তব্য আমরা পাইনি। তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন। আবার বক্তব্য প্রদান করছেন। এ জন্য স্বস্তি প্রকাশ করছি।’
তবে তার সুস্থতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে হাছান বলেন, ‘তার বক্তব্যে মনে হচ্ছে, তিনি এখনও পুরোপুরি সুস্থ হন নাই, তার আরও বিশ্রাম দরকার, আরও চিকিৎসা দরকার। সে কারণে তিনি সম্প্রতি যে বক্তব্য রেখেছেন, সেটি আসলে সুস্থতার লক্ষণ নয়।’
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে বিএনপি নেতার সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘তিনি (রিজভী) অ্যাসট্রাজেনেকার টিকা নেন নাই, মডার্নার টিকা নিয়েছেন। অর্থাৎ সরাসরি খাননি, হাত ঘুরিয়ে খেয়েছেন। কারণ যে টিকাই তিনি গ্রহণ করেন না কেন, সেই টিকাও সরকার সংগ্রহ করেছে।’
সরকারের টিকা কার্যক্রম নিয়ে শুরু থেকে বিএনপি বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বহুজন গ্রহণ করেছেন।’
সাম্প্রতিক বিভিন্ন গবেষণার বরাত দিয়ে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা যেটা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করছে, সেটা অন্যান্য অনেক টিকার চেয়ে বেশি কার্যকর, এমনকি ডেল্টা ধরনের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধেও ৯২ ভাগ কার্যকর। কোনো কোনো গবেষণায় বলা হচ্ছে, এটি দীর্ঘদিন ধরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে থাকবে।’
এই টিকা দিয়ে ভারত করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে বলেও জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘ডেল্টা ধরনের উৎপত্তি হয়েছে ভারতে, আর সেই ভারতে এই টিকা প্রায় ১০ কোটির বেশি মানুষকে দেয়া হয়েছে এবং সেখানে শনাক্তের হার ১ শতাংশে নেমে এসেছে। সুতরাং এই টিকার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো জনস্বার্থবিরোধী অপপ্রচার। রিজভী সাহেব গতকালও আবার জনস্বার্থবিরোধী অপপ্রচার চালিয়েছেন। যেটি বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই আমি তাকে বলব আরেকটু বিশ্রাম নেয়ার জন্য।’
স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির রাজনীতিতে ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা দেশটাই চায়নি, তারা এখনও বাংলাদেশে আস্ফালন করে, রাজনীতি করে এবং বিএনপির মতো একটি বড় দল তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে।’