খুলনার শিয়ালি গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির-বাড়িঘরে হামলায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ হামলায় তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ ধরনের হামলা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি জাতির হাজার বছরের আবহমান ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মূলে কুঠারাঘাতের শামিল। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশে কোন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ওপর যেকোন প্রকার হামলা কোনভাবেই কাঙ্খিত নয়।
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িকতার নীতিকে প্রাধান্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। যেকোন ধরনের ধর্মীয় সহিংসতার বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে হামলাকারীদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে স্থানীয় প্রশাসন তৎপর রয়েছে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দেয়া হচ্ছে।
‘মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে একটি কুচক্রি মহল পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক উসকানি সৃষ্টি করে সবসময় ফায়দা লুটতে চায়। সারা দেশে এ ধরনের সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার। ঐতিহাসিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ-অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক যে চেতনার উন্মেষ হয়েছে তা অক্ষুন্ন রাখা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।’
বিবৃতিতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সকল অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান কাদের।