করোনার সংক্রমণ কমানোর পরিবর্তে তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য দায়ী সরকার ঘোষিত শাটডাউন। এমন মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
জামায়াত থেকে বের হয়ে এসে গঠন করা নতুন দল এ বি পার্টির আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় (ওয়েবিনার) এ কথা বলেন মান্না।
শুক্রবার বিকেলে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা প্রসঙ্গে দাবি উত্থাপন করতে ওই ওয়েবিনার আয়োজন করা হয়।
ওয়েবিনারে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘লকডাউনের নামে যে অব্যবস্থাপনা সরকার করেছে, একবার গাড়ি বন্ধ করছে, একবার চালু করছে। শ্রমিকরা ঈদে বাড়ি গেলো, এখন তারা আসবে কীভাবে? গাড়ি বন্ধ রেখে শ্রমিকদের কর্মস্থলে ডাকা চরম অমানবিক সিদ্ধান্ত। এই লকডাউন করোনা কমানোর পরিবর্তে তা ছড়িয়ে দিতে উল্টো ভূমিকা রাখছে। কাজেই এখনি সবাইকে টিকার আওতায় আনার দাবি আমাদের জোরালো করতে হবে।’
মান্না অভিযোগ করেন, টিকা নিয়েও সরকার নানান টালবাহানা করছে। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বল্প ব্যয়ে টিকা দিতে আগ্রহী হয়েছিল রাশিয়া কিন্তু সরকারের টালবাহানায় সেটাও সম্ভবপর হয়নি।
গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘এই সরকার গড ফাদারদের আনুকুল্যের সরকার। বৈষম্যের চরম অবস্থা তারা সৃষ্টি করেছে। দেশের অর্থনৈতিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে সর্বপ্রথম উচিত ছিল শ্রমজীবী মানুষদের টিকার আওতায় আনা এবং কর্মজীবী মানুষদের দুবেলা-দুমুঠো খাবারের ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে স্বাস্থ্যবিভাগের ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্সদের ঝুঁকি ভাতার আওতায় নিয়ে আসা।’
তিনি আরও বলেন, ‘টিকা সরবরাহে সরকার একটি দেশের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে, কোন কোম্পানির কমিশনের দিকে না তাকিয়ে যদি জনগণের দিকে তাকাতো তাহলে আরও অনেক বেশি টিকা সাশ্রয়ী মূল্যে সংগ্রহ করে জনসাধারণকে দিতে পারত। ব্যক্তি বিশেষের অর্থলোভ জনসাধারণের জন্যে এই চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
ওয়েবিনারে এবি পার্টির আহ্বায়ক সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার। বক্তব্য রাখেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধুরী মনি, গণফোরাম নেতা সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মহসীন রশিদ ও এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।