নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন বলে যে খবর ছড়িয়েছে তাকে বিভ্রান্তিমূলক বলছেন তিনি। রাজনীতি ছাড়েননি জানিয়ে বলেন, সংবাদভিত্তিক একটি বেসরকারি টেলিভিশন এ বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেসবুক লাইভে এসে একরামুল বলেন, ‘আজকে শেখ কামালের জন্মদিন ছিল। আমি সেখানে এসেছিলাম। সেখানে বক্তব্য রেখেছি। যমুনা টিভি ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছে যে আওয়ামী লীগ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছি। সেখানে আমি এটা বলেছিলাম যারা আমার বঙ্গবন্ধুকে তার মৃত্যুর পর ফেরাউন বলেছিলেন হিথ্রো বিমানবন্দরে, আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলেছিলাম যে এরা চায় আমি যেন রাজনীতিতে না থাকি।
‘গত সম্মেলনে যারা আমার ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের পিঠের চামড়া তুলে নিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে কিছু কথা বলেছিলাম। যমুনা টিভি সব সময়ই বিভ্রান্তিমূলক খবর ছড়িয়ে আমাদের দলকে বিশৃঙ্খলা করতে চায়। আমি ঘৃণিতভাবে এই লেখনিকে ঘৃণা করি।’
শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে নোয়াখালীতে বৃহস্পতিবার সকালে এক আলোচনা সভায় একরামুল বলেন, ‘আমি একদম স্ট্রেটকাট কথা বলি। আমার ছেলে, আমি আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা রাজনীতির সঙ্গে থাকব না। নোয়াখালীর রাজনীতির সঙ্গে, নোয়াখালী না সারা বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে আর থাকব না। নিজেদের ইনকাম দিয়ে বা নোংরামো... এ রাজনীতি না করাই ভালো।’
সকালের এ বক্তব্য তুলে ধরে কিছু সংবাদমাধ্যম জানায়, রাজনীতি ছাড়ছেন একরামুল। এই নিয়ে যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা চলছিল তখন ফেসবুক লাইভে এসে তিনি জানান, তার বক্তব্য বিভ্রান্তিকরভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
একরামুল বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমার প্রাণ। আমার পরিবারের অনেকেই এসব নোংরামির কারণে চান আমি যেন রাজনীতি ছেড়ে দেই। কিন্তু যারা আওয়ামী লীগ করে তাদের রক্তের মধ্যে হলো নেশা। একবার আওয়ামী লীগ করলে কেউ আর ছাড়তে পারে না।’
এ সময় বঙ্গবন্ধুকে যারা ফেরাউনের সঙ্গে তুলনা করেছিল তাদের শাস্তির দাবিও জানান এই সংসদ সদস্য। বলেন, ‘আমি একটা জিনিস বলব প্রধানমন্ত্রীর কাছে, যারা আমার জাতির পিতাকে ফেরাউনের সঙ্গে তুলনা করেছে তাদের এতদিন পরে হলেও বিচারের আওতায় আনা উচিত। যারা গত সম্মেলনে আমার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পিটিয়েছিল তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য… কারণ আমি নোংরা রাজনীতি করি না।
‘নোংরা রাজনীতি করলে অনেক আগেই নোয়াখালীতে অনেক কিছু ঘটতে পারতো। আমি আওয়ামী লীগকে ভালোবাসি। আমি নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি। যত দিন দল মনে করবে আমার থাকা দরকার তত দিন আমি থাকব এবং দলের কাজে নিজেকে বিসর্জন দেবো।’