করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে দলের নেতা-কর্মীদের মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বুধবার সকালে এক বৈঠকের শুরুতে সভাপতির এ বার্তা নেতা-কর্মীদের কাছে পৌঁছে দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আগস্টে দলের নানা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে সকালে বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলী।
ওই সময় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরে কাদের বলেন, ‘করোনার গণটিকাদান সফল করতে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
‘১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কাজ করবে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিজে টিকা নেবে ও অন্যদেরও টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করতে মাঠে থাকবে।’
দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ রুখতে ১০ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে জানানো হয়, ১১ আগস্ট থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে। তবে কর্মস্থলে যোগ দিতে নিতে হবে টিকা।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে গণটিকাদান শুরু হয়। টিকা সংকটের কারণে কিছুদিন টিকাদানে ধীরগতি থাকলেও গত ৩০ জুন নিবন্ধন কার্যক্রম দ্বিতীয় দফায় উন্মুক্ত করে সরকার। একই সঙ্গে টিকা নিবন্ধনের বয়সসীমা কমানো হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৭ আগস্ট সারা দেশে প্রান্তিক পর্যায় থেকে শুরু হচ্ছে গণটিকাদান কার্যক্রম। ১৪ হাজার কেন্দ্রে টানা সাত দিনে এক কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনবে সরকার। দেশের ৮০ ভাগ মানুষকে পর্যায়ক্রমে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা সরকারের।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের বলেছেন, সরকারের হাতে এখন সোয়া কোটির মতো টিকার ডোজ আছে। এর বাইরেও খুব শিগগিরই দেশে আসছে আরও এক কোটি টিকা।
বৈঠকে বঙ্গবন্ধু হত্যায় দণ্ডিত পলাতক আসামিদের বিষয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যার দণ্ডিত পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার কার্যকরের চেষ্টা অব্যহত আছে।’