নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর বাড়ি গিয়ে তার মাথায় হাত রেখে সান্ত্বনা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
আইভীর মায়ের মৃত্যুতে সমবেদনা জানাতে মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে শামীম ওসমান তাদের বাড়িতে যান। তার সঙ্গে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারাও ছিলেন।
গত রোববার বিকেলে শহরের দেওভোগের বাসায় ৭০ বছর বয়সে মৃত্যু হয় আইভীর মা মমতাজ বেগমের। মঙ্গলবার আইভীর বাড়িতে যাওয়ার আগে নগরীর মাসদাইর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে গিয়ে তার মায়ের কবর জিয়ারত করেন শামীম ওসমান।
সেখানে তিনি বলেন, ‘পৌর পিতা চুনকার সহধর্মিণী আমার মায়ের মতোই। একজন মা যেভাবে স্নেহ করে, ভালোবাসা দেয়, সেইভাবেই ভালোবাসা দিয়েছেন। আমার জানামতে, উনি আল্লাহওয়ালা মানুষ ছিলেন।
‘একজন সন্তান হিসেবে আমি আমার মায়ের জন্য যেভাবে দোয়া করি, একইভাবে ওনার জন্যও দোয়া করেছি। দোয়া করি আল্লাহর কাছে, আল্লাহ যাতে ওনাকে বেহেশত নসিব করেন।’
এরপর আইভীর বাড়ি গিয়ে তিনি মমতাজ বেগমের স্মৃতিচারণা করেন। আইভীর মাথায় হাত রেখে সান্ত্বনা দেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে। আমি চাচির জন্য দোয়া করি। মানুষ চিরদিন বেঁচে থাকে না। তাই আমাদের উচিত সবাই সবার জন্য দোয়া করা।
‘আমি ১৯৯৬ সালে যখন এমপি হই, তখন এই মেয়রের বাড়ির সামনে তার পিতা আলী আহম্মদ চুনকার নামে সড়ক করে দিই। ওই সময় আমি মেয়রের বাড়িতে আসলে চাচি আমাকে নিজ হাতে খাইয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে বয়সেই হোক না কেন, এতিম হওয়া যে কত কষ্টের সেটা আমি জানি। কারণ আমি নিজেও একজন এতিম। তাই আমি দোয়া করি, আল্লাহ যেন তাদের কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা দেন।
‘বড় বড় ইমারত করে, বড় বড় বিল্ডিং করে লাভ নাই। আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে মা-বাবার প্রতি দোয়া করা।’
নানা সময়ে বিরোধের জেরে আলোচনায় এসেছেন আইভী ও শামীম ওসমান। ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু সড়কে হকার বসানো নিয়ে আইভী ও শামীম ওসমানের সমর্থক এবং হকারদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আইভীসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন।