বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রণোদনার টাকা আ. লীগ নেতারা নিয়ে যাচ্ছে: ফখরুল

  •    
  • ২৬ জুলাই, ২০২১ ২০:০১

‘আজকের পত্রিকাতে আছে সরকার যে ১ লাখ ২৮ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছে তার শতকরা ৮৬ শতাংশ ভুয়া। অর্থাৎ তারা যে নামগুলো দিয়েছে সেখানেও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নামগুলো দিয়েছে, যাতে করে তারা সেই টাকা নিয়ে নিতে পারে। এটা সর্বক্ষেত্রেই হচ্ছে।’

করোনার প্রভাব মোকাবিলায় সরকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, তার টাকা সরকার নিয়ে যাচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

প্রণোদনার অর্থের একাংশ ব্যবসায়ীরা অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় করেছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের পর এই মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা।

সোমবার এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় ফখরুল বলেন, ‘আজকের পত্রিকাতে আছে সরকার যে ১ লাখ ২৮ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছে তার শতকরা ৮৬ শতাংশ ভুয়া। অর্থাৎ তারা যে নামগুলো দিয়েছে সেখানেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামগুলো দিয়েছে, যাতে করে তারা সেই টাকা নিয়ে নিতে পারে। এটা সর্বক্ষেত্রেই হচ্ছে।’

করোনার প্রভাব মোকাবিলায় সরকার এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি প্রণোদনা দিয়েছে। এই অর্থ বিতরণ করা হয়েছে ব্যাংকের মাধ্যমে আর ব্যবসায়ীরাই এই সুবিধা বেশি পেয়েছেন।

‘লকডাউন অপরিকল্পিত’

করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধে চলমান লকডাউনকে ‘অপরিকল্পিত’ দাবি করে বিএনপি নেতা বলেন, এর কারণে ‘জনজীবন বিপন্ন’ হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারির সময়ে এই সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়েছে। তাদের উদাসীনতা, অযোগ্যতা, ব্যর্থতা ও দুর্নীতি আজকে দেশ এবং দেশের মানুষের জীবন বিপন্ন-জীবিকা বিপন্ন করে ফেলেছে।

‘হাসপাতালগুলোতে বেড নেই, অক্সিজেন নেই, আইসিইউ বেড নেই এবং ওষুধ নেই। এমন একটা অবস্থা সরকার সৃষ্টি করেছে। এর ভয়াবহতায় জনগণের জীবন আজকে বিপন্ন। করোনা হবে চিকিৎসা পাবে না, ভুল চিকিৎসা হবে, গরিব মানুষ চিকিৎসার অভাবে রাস্তায় পড়ে থাকবে এটা মেনে নেয়া যায় না।’

দেশ বাঁচাতে হলে সরকার হটাতে হবে

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকারকে যদি না সরানো যায় তাহলে ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের যে মূল লক্ষ্য ছিল তা পুরোপুরিভাবে ধবংস হয়ে যাবে।’

সরকারকে হটানো ‘সারা দেশের মানুষের দায়িত্ব’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই সরকারকে সরিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।’

ফখরুল বলেন, ‘তথাকথিত পার্লামেন্টে চিৎকার করে আওয়ামী লীগের নেতারাই বলছে আমলারা এখন সব কিছু দখল করে নিয়েছে। আমলারা দখল করে নিয়েছে এ জন্য যে, তাদের দখল করতে দেয়া হয়েছে।

‘রাজনীতি নেই, রাজনীতিবিদরা দূরে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। এই সরকার কার ওপরে টিকে আছে? জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নাই। আমলা এবং কিছু দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তিদের যোগসাজশে আজকে তারা ক্ষমতায় টিকে আছে।’

সরকার হটাতে বিএনপিকেই নেতৃত্ব নিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের কখনও হতাশ হওয়া যাবে না, হতাশা ও ব্যর্থতা নিয়ে এগুনো যাবে না। আমাদের অবশ্যই আশাবাদী ও জনগণকে সংগঠিত করতে হবে।

‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সেই লক্ষ্যে কাজ করছেন। অনেক বাধা-বিপত্তি, অনেক সুবিধা-অসুবিধার মধ্যেও কাজ হচ্ছে। সেই কাজগুলোকে আমাদের একত্রিত করতে হবে।’

গোটা বিশ্বেই ‘নষ্ট রাজনীতি’

পুরো বিশ্বেই এখন ‘নষ্ট রাজনীতি’র সময় চলছে বলেও মনে করেন বিএনপি মহাসচিব। বলেন, ‘যে নষ্ট সময়টাতে রাজনীতিবিদদের ভালো থাকা, রাজনীতিবিদদের সঠিক রাস্তায় যাওয়া, রাজনীতিবিদদের সঠিকভাবে রাজনীতিকে নির্মাণ করা-এটা অত্যন্ত কঠিন কাজ। সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে যে, এখন রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করছেন না, রাজনীতিবিদরা রাজনীতিতে নেই।

‘এখন রাজনীতি নির্মিত হয় রাজনীতির বাইরে কিছু শক্তিশালী মহল, কিছু শক্তিশালী দেশ, শক্তিশালী রাষ্ট্র অথবা কিছু শক্তিশালী শক্তি ইন্টারনাল ইনসাইড দ্য কান্ট্রি তারা রাজনীতিকে নির্মাণ করে… এই রাজনীতি ট্র্যাম্পট হয়ে চলে গেছে যেখানে রাজনীতিবিদদের হাতে আর সেই ক্ষমতা নেই।’

খালেদার নেতৃত্বই বিএনপির ঐক্যের কারণ

ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপিকে ধরে রেখেছি, ধরে রাখার চেষ্টা করেছি এবং ধরে রাখতে পেরেছি। বিএনপিকে অনেকবার ভাঙার চেষ্টা হয়েছে।

‘অনেকবার ধ্বংস করে দেয়ার চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু কখনোই ভেঙে ফেলতে পারেনি। কারণ একটাই আমাদের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে দর্শন দিয়েছেন, সেটা জনগণের অন্তরের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গেছে।’

এই ভার্চুয়াল আলোচনার আয়োজন করা হয় বিএনপির প্রয়াত সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আউয়াল খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে। আয়োজক সংগঠনের নাম আবদুল আউয়াল খান ফাউন্ডেশন।

গত বছরের ২০ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান আবদুল আউয়াল খান।

ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়ার সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ও প্রয়াত আবদুল আউয়াল খানের ছেলে আসাদুজ্জামান খান।

এ বিভাগের আরো খবর