বিএনপির পরিকল্পিত লকডাউন কী তা জানতে চেয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
তথ্যমন্ত্রী বিএনপি নেতাদের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘বিএনপির পরিকল্পিত লকডাউনটা কী? সেটা ২০১৩-১৪-১৫ সালে ১৫৮ দিন মানুষকে বন্দি করে রাখার মতো কিছু?’
‘লকডাউন নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে একেক সময় একেক ধরনের কথা বলা হচ্ছে। লকডাউন দেয়ার আগে তারা বলেছিল দেশে কঠোর লকডাউন দেয়া দরকার। আবার লকডাউন দেয়ার পর বলছে, এই লকডাউন অপরিকল্পিত। তাহলে তাদের পরিকল্পিতটা কী, সেটার প্রেসক্রিপশনটা তারা দিক।’
তিনি বলেন, ‘আর বিএনপি যে এ সমস্ত কথা বলে, ২০১৩-১৪-১৫ সালে দিনের পর দিন হরতাল অবরোধ ডেকে ১৫৮ দিন মানুষকে বন্দি করে রেখেছিল, জনগণের যে অসুবিধা হয়েছে, সেটা কি তাদের মাথায় ছিল না?’
‘আজকে তো মানুষের জীবন রক্ষার জন্য লকডাউন দিতে হচ্ছে এবং শুধু বাংলাদেশে নয়, পাশ্ববর্তী দেশ ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আজকে প্রায় দেড় বছর করোনা। কিন্তু খেটে খাওয়া মানুষের দেশে একজন মানুষও না খেয়ে মৃত্যুবরণ করেনি। সরকার ও আমাদের দলের পক্ষ থেকে ব্যাপক তৎপরতার কারণে মানুষের মধ্যে কোনো হাহাকার নেই। সাময়িক অসুবিধা যে হচ্ছে না, তা নয়।’
‘অবশ্যই অনেকের সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। তবে এ অসুবিধা সাময়িক। সবাই যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে তাহলে লকডাউন বিলম্বিত করতে হবে না।’
বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে হিংস্রতার রাজনীতি বিশেষ করে ২০১৩-১৪-১৫ সালে যেভাবে মানুষকে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে হত্যা করা, বহু মানুষকে ঝলসে দেয়া, বহু মানুষকে জীবনের তরে পঙ্গু করে দেয়া, এটি বাংলাদেশে আগে কেউ কখনো দেখেনি। পৃথিবীতেও সমসাময়িককালে রাজনীতির জন্য এভাবে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা কেউ দেখেনি।’
‘এখন এই লকডাউনের মধ্যে যদি কেউ ফৌজদারি মামলার আসামি হন, তিনি যদি কোনো দল করেন তাহলে কি তাকে গ্রেপ্তার করা যাবে না?’ প্রশ্ন রাখেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবরা ফৌজদারি অপরাধের আসামির পক্ষ কেন নেন। কোনো রাজনীতিবিদও যদি ফৌজদারি মামলার আসামি হন, আইন এবং আদালত তো তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে। আইন এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার সঙ্গে রাজনীতির কোনো সংশ্লেষ নেই।’